নামে কি যায় আসে। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হইলেই কি আর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় হইলেই কি! পড়ালেখা হইলেই হইলো।(কিন্ত এই পড়ালেখা জিনিসটারই দিনকে দিন হোমাসা করা হইছে সেভেন্টি টু এর পর থিকা)। নটরডেম কলেজ খ্রিশ্চিয়ান মিশনারীদের কলেজ। তবু মোল্লা-মৌলভী, আস্তিক-নাস্তিক, পুরোহিত সবার ছেলেকেই সেখানে পড়তে দেয়। আমাদের দেশের আম-জনতা কখনো এইসব নিয়া অত ভাবে না। আগের জগন্নাথ কলেজ আর হালজামানার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে কেউ চিন্তা করে না জগন্নাথ নামের একটা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা ক্যামনে করি। বরং চান্স পাওয়া নিয়েই সবাই ইয়া নফসি ইয়া নফসি করে।
সুতরাং জাহাঙ্গীর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় না হয়ে যদি সাভার হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বঙ্গবন্ধু ক্রীশ্চান বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাতে কি কিছু আসে যায়? আসলেই যায় না। নাম দিয়া তো পড়ালেখা হয় না। কে পড়াইলো, কি পড়াইলো আর কি পড়লো, কয়টা রিসার্চ হইলো এইগুলা ম্যাটার করে।
কিন্তু আমার একখান ব্যক্তিগত কুশ্চেন আছে।
এই নামগুলা চেইঞ্জ করতে হয় ক্যানো?
ক্যানো কাজী নজরুল ইসলাম নামের কলেজের লেজ থেকে ইসলাম কেটে দিতে হয়? তাতে কি নজরুল কলেজে খুব পড়ালেখা বেশি হয়? কেনো অরিজিনালি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় তার নাম থেকে আবার বহু আয়োজন করে মুসলিম নাম কেটে দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় করতে হয়।
এতে লাভ কি? কেনো করা হয়েছিল এসব।
আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে। যারা এসব করেছিলেন তাঁরা কেন করেছিলেন? আর এইসব নাম পরিবর্তনের তো একটা জবাবদিহিতা থাকা উচিত তাই না? মন চাইলো ইসলাম, মুসলমান কাইটা দিলাম, ঠিক কি উদ্দেশ্যে এসব করা হয় আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে।
কেউ জানলে জানায়েন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




