পি মুন্সী বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ - গ্লোবাল অর্থনীতি নিয়ে ছয় কিস্তিতে লিখেছেন । যারা মিস করেছেন তাদের জন্য আলোচনার একটা অংশ তুলে দিলাম ।
কলি-যুগ এর মন্ত্যব
;১. এরশাদ বা এরকম যে কেউ বলপ্রয়োগের শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসা মানে আর্ন্তজাতিক পুজির স্বার্থের দিক থেকে একটা মানে থাকা। একটা সংযোগ সম্পর্ক থাকা। আবার সেই বলপ্রয়োগের ক্ষমতাকে টিকে থাকার জন্য, সামাজিক ভিত্তি অর্জনের জন্য, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে নিজের ন্যায্যত এবং ভিত গঠনের জন্যও কাজ করতে হয়। তৈরি হতে হয়। এটা সেই শর্ত না মিটিয়ে একতরফা বলপ্রয়োগের শক্তি ব্যবহার করে বহাল থাকতে পারে না। '
সহমত ।
কলি-যুগ এর মন্ত্যবর প্রেক্ষিতে আমার মন্ত্যব নিচে দিলাম----
ক.
আমাদের মানে বাংলাদেশের আধুনিক-অনাধূনিকদের হয়ে উঠার ইতিহাসের দিকে তাকালে আমারা দেখি ইংরাজ উপনিবেশিক শাসক, তাদের উত্তরসরী পাকিস্তান পর্বের নেতৃত্ব এবং স্বাধীন বাংলাদেশের শাসক রা পুজিঁর ধর্ম বা দৃষ্টি ভঙ্গীকে নিজের শিক্ষা-রুটি-রুচি-স্বার্থের স্পিরিট আকারেই দেখেছে । এই দেখার সাথে সাথে তারা জ্ঞাত-কি-অজ্ঞাত সারে পুজিঁর নিজের বিকাশের সৈনিকে পরিনত হয়েছেন । কারণ পুজিঁর ভাগ্য আর তাদের ভাগ্য একাকার হয়ে গেছে । এই হল উপনিবেশিক শাসন-শিক্ষার ফল ।
খ.
এই শিক্ষিত অলাদের একটা অংশ বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য বিশ্বপুজিঁর স্বার্থ রক্ষাকারী সংস্থার টাকায় এনজিও প্রতিষ্ঠান বানায় এবং উন্নয়ন কাজকাম মানে এনজিঅও'র মাধ্যমে পুঁজির সেইভ গার্ডের জন্য নানান ছোটলোকি কাজকাম করে । তারা গরিবগ ঘরে ঘরে যায়, তাদের বলে আপনার ত এই সম্যাসা । আপিন আমগ কথা শুনেন --এই এই করেন । টাকা লাগলে আমরা আছি । ড. ইউনুস ভাই সহ আরঅ অনেকে আছেন টাকা নিয়া সুদসহ দিবেন । আপনি স্বাধীন । টাকা নিয়া যা ইচ্ছা করবার পারেন । কিন্তু মাগার সুদসহ টাকা দেয়া লাগব কিন্তু । আপনি বাড়ি-বিটা বেচেন,বউ বেচেন, নিজেরে বেচেন যেমনে পারেন সুদ সহ টাহা দিতে হইব ।
অন্যদিকে বিশ্বপুজিঁর দালালরা নানান বিত্তের মধ্যবিত্ত'রে নানান তত্ত্ব কথা খাওয়ায় সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কর্মশালা ইত্যাদি ইত্যাদি তৎপরতার মাধ্যমে । কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এনজিও তথা উন্নয়ন বানিজ্যরের কামলা কিংবা আমলা কিংবা মতার্দশিক কর্মী তৈয়ারির জন্য নতুন নতুন বিষয় খোলা হয় । যেমন - ঢা.বি.--তে ডেবেলপম্যান্ট স্টাডিজ; পিস এন্ড কনফিলিক্ট ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় খোলা হয়েছে ।
খোলা হয় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন - সিপিডি, টান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল । যারা গবেষনার ফলাফল প্রকাশ করার নামে পুজিঁ পক্ষে সামাজিক মতামত তৈয়ার করে ।
এই সব গবেষক গবেটরা নানান প্রোপাগান্ডা করে রাজনৈতিক দল গুলোর উপর চাপ তৈয়ার করে । অথবা রাজনৈতিক দল গুলোর উপর জনগনের আস্থা কমানোর মধ্য দিয়ে অন্য পথে রাষ্টকে পুজিঁর স্বার্থে সংস্কার করার স্লোগান নিয়ে হাজির হয় ।
যেমন -- ১/১১ তে এদেরই অংশ মইন-ফকরউদ্দীনরা সংস্কারের স্লোগান তুলেছিল । তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে গবেষক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন- সিপিডি,টিআবি---এনজিও কামলা এবং পরার্মশ দাতা জিল্লুর রহমান প্রমূখ ব্যক্তিরা কর্মী আকারে কাজ করেন । যাদের দীর্ঘ দিন ধরে নানান মাধ্যমে টাকা ছড়িয়ে গবেষক বা সুশীল হিসাবে তৈয়ার করা হয়েছে ।
আর সাবাই ত জানেন ই ফকরউদ্দীন ত নিজেই বিশ্বব্যাংক এর সাবেক খাস কামলা ।
গ.
সমাজে একই ব্যাকগ্রাউন্ডের কেউ কেউ রাজনৈতিক বা অন্য ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকার-সম্পত্তির মালিক হচ্ছে আর সামরিক কিংবা অসামরিক বাহিনীর একই যোগ্যতা সম্পুর্ন অন্যরা পিছিয়ে পড়ছে । ফলে সম্পত্তি আর কোটি টাকা কামানোর বাসনা এবং ক্ষমতা চর্চার মোহে অস্ত্র হাতে কেউ কেউ ক্ষমতা নিয়েছেন । আর নিজেদের ক্ষমতার বৈধতা তৈয়ারির জন্য সংখ্যা গরিষ্ট গরিবকে নানান আশা-ভরসার কথা বলে মন ভুলাতে চেয়েছেন । যেমন- এবার সংস্কার এর কথা দূর্নীতির কথা ইত্যাদি ।
একই ভাবে নানান সময় অস্ত্রধারীরা সামরিক-অসামরিক মধ্যিবত্তের কোন কোন অংশকে আন্তর্জাতিক নানান চক্রের স্বার্থের সাথে আতাত করে ক্ষমতায় এসে; বার বার একই কাজ করেছে, মানে পুজিঁর স্বার্থে কাজ করেছে ।
প্রসঙ্গত মনে করা যায় কারা ফ্রি মার্কেট ইকনমিকে স্লোগান আকারে বাজারে হাজির করেছিল ।
ঘ.
প্রগতিশীল বা বিপ্লবী বলে যারা পরিচিত তাদের চৈতন্যে এখনো বিশ্বপুজিঁকে অতিক্রম করে যাবার মত চিন্তা-চেতনা-চর্চা নিয়ে বাজারে হাজির হতে না পারার ব্যর্থতা । স্লোগানে অনেককে দেখি বা আমি নিজেও সামরাজ্রবাদ বিরোধী কিন্তু জীবন যাপনে তাদেরই পোশাক-ফ্যাশন-রুচি-খায়েশ এর চর্চা। ফলে স্লোগান আর যাপন এক হয়ে উঠে না । ফলে পুজিঁকে ঠেকবেকে । মোল্লা-পুরোহিত-প্রগতিশীল-সুশীল সবই এক কাতারে একই গোসল অযু খানায় । আর একটু আরামের জীবন চাই ।
এই সব বাস্তবতার জন্যই আমাদের দেশে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ ইত্যাদি সংস্থা আমাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তথা রাষ্ট্র তাদের স্বার্থে সংস্কার করার সুযোগ বার বার নিচ্ছে ।
বিশ্বপুজিরঁ ইনহেরেন্ট তাগিদ এবং আমাদের মত দেশের অভ্যন্তরে উপরে উল্লেখিত শর্ত গুলো হাজির থাকার বা রাখার কারণে ই আমরা; বিশ্বপুজিঁ যখন যেভাবে চায় আমরা সেভাবেই তৈয়ার হচ্ছি । এর বাইরে ভাবনা বা যওয়ার রাস্তা তৈয়ারির জন্য পুজিঁর আন্তরজাতিকএবং স্থানীয় শর্ত উভয়কে বিবেচনায় রেখেই আমাদের ভাবতে হবে ।
এই ভাবনার সৈনিক হিসাবে--
পি মুন্সী, কলি-যুগ
এবং আরও যারা এই আলোচনায় অংশ নিয়ে আমাদের ভাবনা গুলো পরিষ্কার কারার কাজ করেছেন সবাইকে লালা সালাম ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




