আপনার লেখায় আবেগ বেশি চিন্তা কম । তারচেয়েও কম রাজনৈতিক বিবেচনায় মেহেরজান ছবির পর্যালোচনা।
পৃথিবীব্যাপী যুদ্ধে খুনের পাশাপাশি ধর্ষনের ঘটনা কমন। যেমনটা আমাদের মুক্তিযোদ্ধেও।
পরিচালক অস্বীকার করে নাই ৭১ এ খুন-ধর্ষণ কম হইছে । বলছে পরিসংখানের স্বস্থা রাজনীতির বিপরীতে গবেষণাটা নাই। এটা কি মিছা কথা?
আর একরৈখিক মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী বয়ান ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের আরো কোন বয়ান সমাজে হাজির নাই। অথচ নানান শ্রেণীরাজনীতির কথা চারদিকে শুনা যায়; সেই দৃষ্টিহতে অসংখ্যা বয়ান হতে পারে। সেগুলো কই ?
ডান-বাম কি একই শ্রেণীস্বার্থের রাজনীতির করে? যদি ভিন্ন হয়; তাহলে সমাজে ভিন্ন বয়ান কই?
ডান রোবায়াত ফেরদৈাস আর বাম বাকির বয়ানে এত মিল কেন? তাহলে কি ইতিহাস বিচার-জ্ঞানে ডান-বামের ভেদ এখনো তৈয়ার হয়নি? তাহলে বিপ্লবের কি হবে?
আর জাতি রাষ্ট্র তৈয়ারি বা ভাষা ভিত্তিক আত্মপরিচয় নির্মাণের সাম্প্রদায়িক প্রয়াসে ডানে-বামে কি কোন ভেদ নাই ? বাঙ্গালীর রাষ্ট্রে আদিবাসি ভাইদের স্থান কি হবে?
বঙ্গবন্ধুর ভাষায়--- তোরা বাঙ্গালী হয়ে যা?
সমস্যা আরো বহুত আছে ---------?
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বা সেকুলার হওয়া আর সমাজের সেকুলার হওয়া এককথা না
(যদিও পশ্চিমা পুজিঁ, তার বিকাশের রাকজনীতি মানে ইমপিরিয়ালীজম,আধুনিকতা,টেকনোলজি ইত্যাদির পেটেই সেকুলারিজম বা গনতন্ত্রের জন্ম)---
এই কথা মাথায় রাখলে আলাপ অল্প কথায় তুলা যাবে।
উপনিবেশিক কাল পর্বে জাতীয়তাবাদি আন্দোলন সংগঠিত করার তাগিদে; একটি জাতির আত্মপরিচয়ের বয়ান নানান কিছুকে ভিত্তি করে ঐতিহাসিক ভাবে তৈয়ার হতে পারে বা হয়েছে। যেমন ভাষা,ধর্ম,ভূগোল,বর্ণ ইত্যাদি।
আমাদের ইতিহাসে ভাষাকে ভিত্তি করে আত্মপরিচয়ের রাজনীতি ৭১ সালে এসে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র তৈয়ার হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক(সেকুলার) রাষ্ট্র নির্মানের কাঠামো তৈয়ার হয়েছে।
কিন্তু সমাজ? সমাজে ধর্ম নাই হয়ে গেছিল?
দৃশ্যত অসাম্প্রদায়িক(আদৈা তা না) ভাষাকে আশ্রয় করে মধ্যবিত্ত তথাকথত শিক্ষিত হিন্দু-মুসলমান মিলে বাঙ্গালী আত্মপরিচয়ে মিলিত হলাম।
কথিত মূর্খ কখনো কখনো শিক্ষিত হিন্দু-মুসলমান স্ব স্ব ধর্মে রয়ে গেল । এই কথিত মূর্খরা রাষ্ট্র বানালো সেকুলার কিন্তু ধর্ম ছাড়ল না। কেন ?
ভাষাকে আশ্রয় করে আপাত নিরাপদ বাঙ্গালী পরিচয় নিয়ে সেকুলার- সেকুলার বলে ধর্মকে বকাদিয়ে বুলি কপচালে কি ধর্ম শেষ হয়ে যায়? যায় না । বরং বহু গুণ শক্তি নিয়ে হাজির হতে পারে। যার নজির পৃথিবী জোড়া ভুড়ি ভুড়ি। সংকটটা খোদ আধুনিকতা বয়ানের অনুমানে। করপোরেট বিজ্ঞান আর পুজিঁর উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে মানুষের মাথা ধোলাই করে ধর্ম নামক কুসংস্কারকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিবে। কিন্তু মানুষ ত আর করপোরেট বিজ্ঞান অার পুজিঁর গোলামির জন্য মানূষ না। মানুষ সত্যের নামে ধর্মকে বা ধর্মের নামে সত্যকে অাগলে ধরতে চায় কিংবা বিপ্লবের নামে দাসত্বের অবসান চায় বলেই সে মানুষ।
তাই দুনিয়া ব্যাপি আধুনিকতাবাদী প্রলাপের এই সংকটে ধর্মের শান্তিবাদি ব্যাখ্যার চেষ্টা
(বিশেষ করে ইসলাম শান্তির ধর্ম শেখ হাসিনা টু ওবামা প্রতিদিন বলতে বলতে মাওলানায় পরিনত হয়েছেন)
সাম্রারাজ্যবাদিরা দুনিয়া ব্যাপি শুনাচ্ছেন ।
তারই একখন্ড বাংলাদেশী প্রয়াস রুবায়াত হোসাইনের মেহেরজান ছবি ।
পরিচালক আওমি রুবাইয়াত হোসেনের আর্ন্তজাতিক রাজনীতি পর্যবেক্ষন পর শত্রু-মিত্র হুশজ্ঞানের তারিফ সর্তক পাবলিক করলেও তথাকথিত প্রগতিশীল আওমীবামদের অজ্ঞতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার মাত্রা দেখে বন্ধুরা নাখোশ না হয়ে পারবেন না।
প্রগতিশীলরা যত বেহুশ থাকবেন ধর্মের সামরাজ্যবাদী বয়ান নিয়ে রুবাইত-হাসিনা-খালেদা-নিজামী-ওবামা নানান ভাবে আপনাকে অস্বস্থি দিতে আসবে?
প্রশ্ন জাগতেই পারে ধর্মের সামরাজ্যবাদী ব্যাখ্যা ওবামা-হাসিনা-রুবাইয়েতের পক্ষে সম্ভাব হলে ধর্মের বিপ্লবী বয়ান কি বিপ্লবীদের পক্ষে সম্ভব?
গৈাতম ভদ্র ভরসা আমাদের ইতিহাসে নানান কৃষক বিদ্রোহে ধর্মে ভূমিকাকে ভদ্র ইতিবাচক রূপেই দেখতে পেয়েছেন। আগ্রহীরা তার ইমান ও নিশান গ্রন্থ উল্টাতে পারেন।
দেরীদা সাহেব পশ্চিমা চিন্তুকদের একজলশায় প্রশ্ন রেখেছেন ধর্ম এই আধুনিক সমাজে আবার কেন ফিরে আসছে ? আমরা কোথায় কি ভুল করিছি তা খতিয়ে দেখতে হবে।
আমরা যদি আগামি দিনে স্বাধীন-সার্বভৈাম-সুন্দর বাংলা চাই আমাদের ভাবনার নতুন নতুন দিগন্তে হাটতে হবে। মুখস্ত আবেগ দিয়ে বেশি দুর যাওয়া যায় না । যেতে হবে চিন্তা এবং ইতিহাসের নির্মোহ চর্চা দিয়ে।
সবাইকে লাল প্রণাম!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




