somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজয়ের মাস... বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান... চেতনায় ৭১... কি করবো আমি??

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিখতে খুব ভালো লাগছেনা কিন্তু না লিখলেও নিজের বিবেকের কাছে ছোট হয়ে থাকবো সারাটা জীবন । তাই অনেক কস্ট বুকে চেপে লিখতে বসলাম । একটা সময় ছিল যখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে এবং আদর্শ পিতার আদর্শ সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়ে যেকোনো ভালো কাজের উদ্দেশ্যে হাতের মুঠুয় প্রান নিয়ে ঝাপিয়ে পরতে দ্বিধা করতামনা । কিন্তু ইদানিং বুকের ভিতরে কাটার মত কিছু কথা খোঁচা দিয়ে উঠে। যার সন্তান হিসাবে আমার এই গর্ব ছিল সেই মুক্তিযোদ্ধার নিজের এক বিজয় ইতিহাস বিকৃত করে তার অসামান্য কৃতিত্ব চুরি করে কি নির্লজ্জভাবে একটি খেতাব চুরি করে নিলেন অপর এক মুক্তিযোদ্ধা । বিষয়টা নিয়ে একেবারে যে কোন লেখা লেখি বা খোঁচা খুচি হয় নাই তেমন নয়। কিন্তু সবায় কেমন যেন হাপিয়ে উঠার মত ২ / ৪ দিন লাফিয়েই পরক্ষনেই ডুব মারেন। বিষয়টি অচেনা অজানা কোন এলাকার নয় । বরং বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ জিল্লুর রহমান সাহেবের জন্ম এবং নিরবাচনী এলাকা ভৈরব বাজার নিয়ে।

১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভৈরব বাজারসহ তার চারপাশের কিশোরগঞ্জ , ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী এলাকার নিয়ন্ত্রন ছিল সম্পুর্ন রাজাকারদের হাতে। এবং এই এলাকাটির ত্রাস হিসাবে পরিচিত ছিল কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার , খুনি,রক্ত পিপাসু ও লম্পট মোমতাজ পাগলা। ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গ্রামের মোমতাজ পাগলা ছিল সাক্ষাৎ যমদূত । তার হাতে বলীর শিকার হয়েছে রইছ চেয়ারম্যান সহ অসংখ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারন জনতা । কিন্তু এই মোমতাজ পাগলা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা খুব শক্ত ঘাটি গেড়ে বসে ভৈরব এর মাটিতে । একপর্যায়ে ভৈরব বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার মুক্তিবাহিনীর মাথায় আশে কি ভাবে এই নরপিশাচ মোমতাজ পাগলার হাত থেকে মুক্ত করা যায় ভৈরব বাজারকে।

১৯৭১ সালের মে / জুন মাসের দিকে সেই কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার মোমতাজ পাগলা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গদের উৎখাতের উদ্দেশ্যে একটি অপারেশন পরিকল্পনা করেন স্থানীয় মুক্তিযদ্ধারা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির একটা বড় অংশ । একটা অপারেশনের ব্যেবস্থা করেন যার নাম দেওয়া হয় "অপারেশন মোমতাজ পাগলা" । এই অপারেশনের মুল নেতৃত্বে ছিলেন ঈদ্রিছ আলী মোহন , সঙ্গী ছিলেন নুরুল হক নুরু এবং আতিকুল ইসলাম আতিক, এই তিনজন মুক্তিযোদ্ধার উপর অর্পিত হয়েছিল মুল দায়ীত্ব । সহযোগী হিসাবে যারা সক্রিয় ভুমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ভৈরবের সাবেক মেয়র জনাব, ফখরুল আলম আক্কাস , ণারায়ানপুর গ্রামের বাম নেতা {বর্তমান কৃষক লীগ নেতা } জনাব বাবর আলী মাস্টার, বাম নেতা আঃ হাই সহ আরও অনেকেই যাদের অনেকেই এখনও জীবিত থাকলেও কিছুদিন পর হয়ত আর কোন স্বাক্ষী প্রমান মিলবেনা । তখন বিকৃত ইতিহাস টাই হয়ত আমাদের বিশেষ করে আমার মত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মাথা পেতে নিতে হবে। কিন্তু এটা যে জীবন থাকা অবস্থায় আমার জন্য মেনে নেয়া বড়ই কঠিন ।

১৯৭১ ইং সালের ৪ঠা জুনে অবশেষে আসে সেই ভয়ংকর অপারেশনের " অপারেশন মোমতাজ পাগলা " দিন। যেদিন মুক্তিযোদ্ধা মোহনের নেত্রিত্বে ৩ সদস্যের এক সুইসাইড স্কুয়াড (নুরু, আতিক এবং মোহন) রাজাকারদের পুর্ব নির্ধারিত এক কর্মী সম্মেলন যেটা হচ্ছিলো তৎকালীন ছবিঘর সিনেমা হলের ভিতরে। সেই অপারেশন শুরুর দিকেই প্রচণ্ড আঘাত খান মুক্তি বাহিনীর এই ছোট দলটি। গ্রেনেড বিস্ফরনে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন আতিক এবং নুরুল হোক মারাত্মক আহত হন । তার একটি হাত এবং একটি পা গ্রেনেদের স্পিল্টারের আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরও মোহন একা মোমতাজ পাগলা সহ প্রায় ২৭ জন রাজাকারকে হত্যা করে অপারেশন সফল করেন । পরবর্তিতে নুরুল হক রাজাকার বাহিনীর পালটা আক্রমনে আটক হন কিন্তু মোহন বিজয়ী হয়ে ফিরে আসেন। পরে জানা যায় নুরুল হক রাজাকারদের হাতে বন্দী অবস্থায় শহীদ হন। এই দুই শহীদের প্রতি স্রদ্ধা জানাতে পরবর্তিতে ভৈরব হাজী আসমত কলেজের পাঠাগারের নাম করন করা হয় " শহীদ নুরু - আতিক পাঠাগার" । অবশ্য মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধা মোহনকেও বিভিন্ন স্মমাননা প্রদান করেছেন ভৈরব বাজার এর কিছু সংগঠন । এই ঘটনার পুঙ্খানু পুঙ্খ বর্ণনা পেতে হলে ভৈরবের সাবেক মেয়র জনাব ফখরুল আলম আক্বাস এবং নারায়নপুর এর বাবর আলী মাস্টার সহ এলাকাবাসীর নিকট যোগাযোগ করতে পারেন।

কিন্তু ১৯৯২ ইং সালের ১৬ ই ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯.০০ টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠানে জনৈক (অবঃ সার্জেন্ট) রফিকুল ইসলাম ভৈরব রেলওয়ে জংশন এর পাশে দাড়িয়ে সম্পুর্ন কল্পনা প্রসুত একটি ঘটনা বর্ননা করেন যার সাথে প্রকৃত ঘটনার কোন মিল নাই। তিনি নিজেকে “অপারেশন মোমতাজ পাগলা” এর নেত্রিত্বদানকারী হিসাবে দাবী করেন। শুধু তাই নয় , তিনি এও দাবী করেন যে “ অপারেশন মোমতাজ পাগলা” সফল ভাবে সম্পন্ন করার সম্মান হিসাবে তিনি “বীর প্রতিক” খেতাবে ভুসীত হন । তিনি শহীদ নুরু ও আতিক কে পথচারী হিসাবে উল্যেখ করেন। এর প্রতিবাদে ভৈরবের সাবেক মেয়র জনাব ফখরুল আলম আক্বাস সাহেব কিছুদিন কিছু লেখালেখি করেছিলেন কিন্তু কালের আবর্তে সেটাও এক সময় হারিয়ে যায়। আমি নিজেও উনার সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার পিতাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সহ যখন বিভিন্ন হামলা ও মামলার মধ্যে ফেলতে থাকেন তখন আমার পিতা আমাকে এই প্রতিবাদ থেকে সরে গিয়ে সংসারের দায়ীত্ব নিতে বলেন। দারিদ্রের চাপে অবশেষে মুক্তিযদ্ধা পিতার আদর্শ, সততা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে চাকুরী করতে থাকি। যেখানেই দুর্নীতি বা অনিয়ম দেখেছি সেখানেই প্রতিবাদ করেছি ।প্রয়োজনে চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিয়েছি ।কিন্তু কোথাও কোন দুর্নীতি বা অনিয়মকে মেনে নেই নাই। সর্বশেষ আঘাতটা আসে আমার সর্বশেষ কর্মস্থল “ জেনুইটি সিস্টেমস লিঃ ‘ এর পক্ষ থেকে। তারা আমাকে একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে সম্পুর্ন উদ্দেশ্য মুলকভাবে আমার সারা জীবনের অর্জিত সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে। এটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারি নাই। নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করার সুযোগ চেয়ে তাদের কাছে বারংবার প্রত্যাখ্যাত হবার পর আমি আর আমার ধর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যায়। আমি অহিংস আন্দোলন শুরু করি তাদের এই অমানবিক ও আসত্য সিদ্ধান্তের বিরোধে

বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি হিসাবে পরিচিত আওামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমার পিতার এবং আমার উপর মিথ্যার যে খরগ তুলে দিয়েছে এই সমাজ ব্যাবস্থা তার বিরুদ্ধে একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবী করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিগত ২০শে আগস্ট ২০১১ ইং হতে আমরন অনশন শুরু করি এবং কতিপয় শুভাকাঙ্খির সহযোগিতায় স্যালাইন সাপোর্ট নিয়ে বেঁচে থাকি। গনমাধ্যমের তীর্থ স্থানে অনশন না করলে বর্তমান সাংবাদিকতার প্রকৃত চেহারা আমার নিকট সম্পুর্ন অচেনাই থেকে যেত ।বর্তমান সমাজে প্রচলিত গনমাধ্যম সমুহের প্রায় সকল প্রতিনিধিই আমার ইন্টারভিউ নিয়েছেন অথবা ফটো সেশন করেছেন কিন্তু প্রতিপক্ষের (অসম্ভব ক্ষমতাশালি ও অঢেল অর্থের মালিক)লোকের সাথে সাক্ষাৎ করে বুঝে নিয়েছেন আমি একজন সাইকো প্যাশেন্ট । অথবা পাগল প্রকৃতির লোক । যার ফলে কোন পত্রিকায় আমার সম্পর্কে কোন প্রতিবেদন লেখা হয় নি এবং কোন চ্যানেলেও প্রচারিত হয় নি কোন সংবাদ। শুধু তাই নয় যখন আমাকে অনশন থেকে উঠে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন তখন আমি শাহাবাগ থানায় আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করি । কিন্তু আমার ডায়েরীর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশের পোশাক পরিহীত অবস্থায় আমাকে শাহবাগ থানার এস, আই জলিল আমাকে ২৯/০৮/২০১১ ইং তারিখ ভোর ৫টার দিকে এসে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং বলেন এখান থেকে ভাগ , বলেন তুই কাদের পিছনে লেগেছিস টের পাস নাই । আজকের পর যদি তকে এখানে পরে থাকতে দেখি তাহলে এমন ব্যবস্থা করবো যেন সারা জীবিন এখানেই পরে থেকে ভিক্ষা করে খেতে হয়। আর যদি বেশী বারাবারি করিস তাহলে একেবেরে পরপারে পাঠিয়ে দেব। পুলিশের এইরকম আচরন দেখে আমি দিশাহারা হয়ে পরি। কিন্তু আমি অনশন ছেরে যাইনি। যখনই আমার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে তখন আমার বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা পিতা ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগীতায় বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে জনাব ইমামুদ্দিন কবির সাহেব আমার পক্ষে যাবতীয় বিচারের ও তদন্তের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে আমার অনশন ভঙ্গ করান ।
অনশন ভঙ্গের পর মাস খানেক সময় আমাকে নিজের চিকিৎসা করাতে হয়েছে । এরপর যখন আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ লিখিত আকারে নিয়ে য্য তখন দেখতে পায় তাদের অন্যরকম আচরন। আমার অভিযোগ গ্রহন করতে তারা বিভিন্ন তাল্বাহানা করতে শুরু করেন। এটা ভুল হয়েছে ,পরে আসেন, স্যার ঢাকার বাইরে আছেন , ওটা ঠিক করে নিয়ে আশুন । ইট্যাদি। তার পরও আমি লাগাতার তাগাদা দিতে থাকি ফলে তারা তাদের নিরদেশনা মত একটি অভিযোগ ( স্মারক নং- জা মা ক / অভিযোগ / ৫১ / ২১২ ) গ্রহন করেন । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল উনারা বিগত প্রায় ২ বৎসরে শুনানীর নামে কয়েকটি চিঠি চালাচালি ব্যাতীত তেমন কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেন নাই । শুধু তাই নয় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন এক শুভাকাঙ্খীর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে মানবাধিকার কমিশন তাদের পক্ষ হয়ে আমাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘুরাচ্ছে। যেন একসময় নিজেই হাল ছেড়ে দেই ।কিন্তু আমি তাদের মৃত্যু হুমকির পরোয়া না করে আমার চেষ্টা বা আন্দোলন চালিয়ে যাই।
চাত্রজীবনে এবং পরবর্তি সময়ে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে রাজনীতি করার সুবাদে আমি বর্তমান সরকারের অনেক নেতা কর্মীর সাথে পরিচিত। তাই সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং বর্তমান শ্রম ও জনকল্যান মন্ত্রী জনাব রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাহেবের স্মরনাপন্ন হই এবং তাকে সব খুলে বলি। ঊনি তার এ পি এস মুরাদ কে আমার বেপারটা দেখার আদেশ দেন। আমি মুরাদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এই বিচারের ফল পেলে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকার সুবিধা পাবো । তাই এখনি তাকে ৩ লক্ষ টাকা না দিলে উনি কোন কাজ করতে পারবেন না। আমি তাৎখনিকভাবে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় উনি আমাকে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু তার অয়েকদিনের মধ্যেই মুরাদ লোকমান হত্যা মামলায় জড়িয়ে পরেন ফলে আমার আর বিচার পাওয়া হয় নাই।
আমার প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সামান্য একটু ধারনা না দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন না তাদের ক্ষমতা কতটুকু । বিগত ৮ বৎসরে উনারা অর্থাৎ উনাদের চক্রটি এত বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়েছেন যে পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক বা দাতা গোষ্ঠীর কোন প্রয়োজন পরবে না । শুধুমাত্র তাদের ১৫-২০ জনের উপার্জন করা অবৈধ টাকা দিয়ে অনায়াসে পদ্মা সেতু নির্মান ও রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব।শুধু তাই নয় মিডিয়া থেকে প্রশাসনের সকল স্তরে সাজানো আছে উনাদের কেনা গোলাম। এটা আমার কথা নয় উনারাই আমাকে অনশন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি স্বরুপ এসকল কথা বলেছেন।
আমি আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে এবং মানবাধিকার কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছি । আমার পিতা হাসিমুখে আমাকে বলেছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় তাকে আশ্বাস দিয়েছে তারা এই ব্যাপারে সঠিক তদন্তের ব্যাবস্থা নেবেন এবং সত্যের জয় হবেই । আর মানবাধিকার কমিশন বলেছে চিকিৎসা ও সুস্থতার পর আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে টা যেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সবই করবেন।

কিন্তু আসচর্য্য হলেও সত্যি এই যে প্র্য ২ বৎসর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও মুক্তিযদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকেও কোন খোঁজ কেউ করেনি এবং মানবাধিকার কমিশনের কেউ এই বেপারটার কোন সুরাহার জন্য এগিয় আসেনি।বরং সুনানির নাম করে মাসের পর মাস এই মানবাধিকার কমিশন পার করে দিচ্ছে। যোগাযোগের চেষ্টা করলেও উনারা কেমন যেন বিরক্ত ও অনীহা প্রকাশ করছেন ।
ইদানিং লক্ষ্য করিতেছি যে জামাত ও শিবির এর কিছু পরিচিত লোক আমাকে সহযোগিতা করার জন্য বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু এখানে বাধ সাধছে আমার চেতনা, আমার বিশ্বাস ও আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতার ইতিহাস............আমি এখন কি করবো?? কেউ কি আছেন যিনি আমার এই ক্রান্তিকাল থেকে উত্তরনের একটা রাস্তা দেখাবেন???
২০টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×