গত ২৭শে নভেম¡র রাত আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে ভোলার লালমোহনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কোকো-৪ ঘাটে ভেড়ার সময় নাজিরপুরে তেতুঁলিয়া নদীতে ডুবে যায়। এর পরবর্তী ঘটনা চত্র“ আপনাদের সবারই জানা।
আমাদের দেশে যখনই লঞ্চ ডুুবীর এই সব ঘটনা ঘটে তখনই দায়ছাড়া ভাবে কিছু তদ›ত কমিটি গঠন আর সমবেদনা জানানো ছাড়া সরকার কাজের কাজ কিছুই করে না। উপর›ত্ত এই সকল রিপোর্ট কখনই আলোর মুখ দেখে না বা সরকার নিজেও উদ্দোগী হয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করে না এই সকল র্দূঘটনা রোধে। অথচ সরকার একটু তৎপর হলে কি›ত্ত এই সকল র্দূঘটনা রোধ করা যেতে পারে। আমাদের দেশে সারা বৎসর যে পরিমান লঞ্চ ডুুবীর ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশেরই কারণ অতিরিত্ত“ যাত্রী বহন। তাছাড়া অন্যান্য কারনগুলির মধ্যে রয়েছে ত্র“টিপূর্ণ নৌযান, ত্র“টিপূর্ণ ডিজাইন, মালিক পক্ষের দায়িত্বহীনতা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ইত্যাদি। এইসব অনাকাংখিত র্দূঘটনা খুবই মর্মা›িতক কি›ত্ত এর চেয়ে মর্মা›িতক হলো র্দূঘটনা ঘটার পর নৌপরিবহন ম›ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ম›ত্রী মহোদয়ের বত্ত“ব্য। এতিহ্যগত ভাবেই লঞ্চ ডুুবীর পর এই ম›ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ— ম›ত্রীরা দায়িত্বহীন ভাবে কিছু বত্ত“ব্য ও র্দূঘটনাস্থল পরির্দশন ছাড়া দায়িত্বপূর্ণ কোন ভূমিকাই রাখেন না। আমাদের এখনকার নৌপরিবহন ম›ত্রী মহোদয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতয় ঘটেনি। তিনি ঘটনাস্থল পরির্দশনে গেছেন র্দূঘটনা ঘটার পরদিন দুপুরে। তার ভাষ্য মতে লঞ্চটির মালিক একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোক। লঞ্চটির মালিক এই লঞ্চ দিয়ে ঐ এলাকায় মনোপলি ব্যবসা করেন। আবার ঢাকাতে থেকেই উনি লঞ্চ ডুুবীর কারনও উৎঘাটন করে ফেলেছেন! তার মতে মনোপলি ব্যবসাই র্দূঘটনার কারণ। একবার ভেবে দেখুন কি ধরনের দায়িত্বহীন বত্ত“ব্য! দায়িত্বপ্রাপ— ম›ত্রী হিসেবে তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ছিলো স¡ল্পতম সময়ের মধ্যে উদ্ধার কাজ শুরুর নিশ্চয়তা বিধান করা যেন হতাহতের সংখ্যা রাখা যায় র্সবনি¤ন। কেননা লঞ্চ ডুুবীতে উদ্ধার কাজ যত দ্রুত শুরু করা যায় ততবেশী আহত বা আটকে পড়া মানুষকে বাঁচানো স¤ভব হয়। মানুষের জীবন বাঁচানোর চেয়ে লঞ্চের মালিক কে, তার কত ব্যবসা হচেছ বা র্দূঘটনার জন্য কারা দায়ী এসবের সাওয়াল জবাব নিশ্চয়ই জরুরী বা বড় নয়। নিহত বা নিখোজ যাত্রীদের স¡জন ও স্থানীয় জনগন অভিযোগ করেছেন সরকার ইচছা করেই উদ্ধার কাজে দেরী করেছে। বরিশাল থেকে ঘটনাস্থলে যেতে ১০ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হলেও র্দূঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা পৌছে। যার কারনে এলাকাবাসি ও যাত্রীর স¡জনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকে এ সময় বিক্ষোভও প্রর্দশন করে।
বিশে¡র উনèত দেশগুলিতে এমনকি আমাদের পার্শ¡বর্তী দেশ ভারতেও এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোন র্ব্যথতার দায়ভার নিজ কাধে নিয়ে তাদের ম›ত্রীরা পদত্যাগ করতেও দি¡ধাবোধ করেন না। আর আমাদের দেশের ম›ত্রীরা........ পদত্যাগ সেতো চি›তারও অতীত। নিজের ব্যর্থতা ডাকতে অন্যের উপর তার দায়ভার চাপিয়ে র্নিলিপ— থাকতেই তাদের আনন্দ।
আচছা, আমার খুব জানতে ইচছা করে লঞ্চটিতে যদি ম›ত্রী মহোদয়ের পরিবারের কোন সদস্য থাকতেন তাহলেও কি উনি এমন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিতে পারতেন ? এর সদুত্তর মাননীয় ম›ত্রীই ভাল দিতে পারবেন। তবে দেশের সাধারন নাগরিক হিসেবে আমি অ›তত মনে করি মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মানুষ। তার পরিচয় রাজনৈতিক দল/ শ্রেণী বা ধনী /দরিদ্রের পরিমাপে নয়। আমাদের দেশের সাংর্ঘষিক রাজনীতির কল্যানে রাজনীতিবিদরা যেন তাদের মানবীয় গুনাবলীও হারাতে বসেছে আজ।
কবে আসবে সে ভোর যে ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখবো দেশের রাজনীতিবিদরা সহনশীল ও সংহতির রাজনীতির চর্চায় মত্ত।
কবে দেখবো আমাদের দেশের ম›ত্রীরা দায়িত্ববান নেতাদের মত নিঃসংকোচে নিজের র্ব্যথতার দায়ভার স¡ীকার করে গদী থেকে পদত্যাগ করতেও পিছপা হচেছন না।
সে ভোর ..... কত দূর আর কত দূর ....