ছাত্র: আপনার জন্য ম্যাম আমাকে আজ কানের নিচে থাপ্পারাইছে …..
আমি : ক্যান কি হয়েছে ?
ছাত্র : আপনার কথা মত আমি মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে লিখে ম্যামের কাছে জমা দিলাম । ম্যাম মন দিয়ে পড়ে , কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে , কানের নিচে এক থাপ্পর । আর বলছে বেয়াদব।
আমি : কি !!! দেখি খাতা ……কি লিখছো।
ছাত্র: আপনি যা বইতে দাগায়া দিছেন তা এ লিখছি…… দেখেন।
আমি : খাতা পড়া শুরু করলাম ………… ”মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি ঘর বলা হয়। এরা দন্ডাকার , বৃত্তাকার বা তারকাকার হতে পারে। এরা দুই স্তন বিশিষ্ট ঝিল্লি দিয়ে আবৃত্ত থাকে । বাইরের স্তন মসৃণ কিন্তু ভিতরে স্তনটি ভাজ যুক্ত ।”
ছাত্র : বলেন স্যার আমার কি ভুল ছিলো?
আমি : তোমাকে কয়টা থাপ্পর দিছে?
ছাত্র: একটা…..ক্যান?
আমি : কপাল ভালো… এক বার না, দুইবার না , তিন বার স্তর এর বদলে স্তন লিখে দিছো । তিন বারের জন্য কমপক্ষে তিনটা থাপ্পর দেওয়া দরকার ছিলো।
ছাত্র: স্যার ম্যাম বলছে আপনাকে নিয়ে যেতে , বাকি দুই টা আপনাকে মারবে । কারন আপনি তো এইটা লেখাইছেন ।
আমি : আর এ কি বলে আমি তো বইতে দাগাই দিছি । লিখছো তুমি , সো দায়িত্বও তোমার।
ছাত্র: সামান্য র আর ন এর কারনে আমাকে মারলো।
আমি : ইহা সামান্য ব্যাপার না রে পাগলা।
( পোলটা আমার দিকে অসহায়ের মত তাকাই ছিলো। বেচারা র আর ন এর ফারাক বুঝলো না।)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫