কালের কণ্ঠ পত্রিকায় আসল খবরটা,অনেকের ই কাজে লাগবে,নতুন যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হতে ইচ্ছুক,তাই শেয়ার করলাম......।
[quote]সরকারের নির্দেশ অনুসরণ না করায় আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী মাস থেকে আর শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার অথবা ওই সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আটটি প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
[color=red]নির্দেশ অমান্য করা আট প্রতিষ্ঠান হচ্ছে_দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
[/color]
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গত বছরের ডিসেম্বরে ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে 'রেড অ্যালার্ট' জারি করেন। সেগুলোর মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ব্যাপারে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া উদ্যোগ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। [color=red]বাকি আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেফ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের আংশিকও অনুসরণ করেনি।' [/color]
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, [color=green]'সরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে হবে।'[/color]
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সহসভাপতি আবুল কাশেম হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন,[i] 'এই আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করার জন্য জমি খুঁজছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের আরো কিছু সময় দিতে হবে। কারণ, জমি পেলেই তো হবে না, কেনার বিষয়টি প্রসেস করতে একটু সময় লাগে।' তিনি বলেন, 'যেসব বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেছে তারা সময় পেয়েছে ১২ বছর। অন্যদিকে, এই আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রাই শুরু হয়েছে মাত্র সাত থেকে আট বছর আগে। কাজেই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য সবাইকে একইরকম সময় দেওয়া উচিত।'[/i]
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল মান্নান চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দুই একর জমি কেনা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠানোও হয়েছে।' ইউজিসি তাহলে কেন বলছে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না, ইউজিসি কেন এ রকম করছে। তারা কি ভেবেছে, আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাস্তায় বসব!'
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে গত ৩ আগস্ট বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও রেজিস্ট্রার আবদুল কাশেম মোল্লা কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেন, এ জন্য জমি কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে স্বপন নাহা নামে প্রাইম ইউনিভার্সিটির সাবেক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য উদ্যোগ কর্তৃপক্ষ নেয়নি জানতে পেরে সম্প্রতি আমার ছেলেকে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছি।'
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সম্প্রতি ইউজিসির কাছে জানতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ইউজিসি গত ৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জবাব পাঠায়। সেখানে বলা হয়েছে, দেশে এখন ৫৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন রয়েছে কিন্তু আইন অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ জমি নেই। ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনলেও অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেনি। সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে। আর তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের হিসাবে আসেনি।
ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলি কালের কণ্ঠকে, 'চাহিদা অনুসারে প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।'
[quote]ইউজিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো_
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।[/quote]
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সাভারে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করেছে বলে ইউজিসিকে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়নি এবং সেখানে পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।
[quote]স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনে অবকাঠামো নির্মাণ করছে এমন প্রতিষ্ঠান হলো_ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, গণবিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। [/quote]
[color=green]যেসব বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কেবল জমি কিনেছে সেগুলো হলো-
-আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, [/color]
[color=green]-এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, [/color]
[color=green]-শান্ত মরিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, [/color]
[color=green]-ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, [/color]
[color=green]-ইউনাউটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=green]-সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, [/color]
[color=green]-ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, [/color]
[color=green]-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=green]-ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, [/color]
[color=green]-লিডিং ইউনিভার্সিটি-সিলেট, [/color]
[color=green]-ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সেস, [/color]
[color=green]-ইবাইস ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=green]-মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি-সিলেট, [/color]
[color=green]-গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, [/color]
[color=green]-ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, [/color]
[color=green]-উত্তরা ইউনিভার্সিটি [/color]
[color=green]-নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
[/color]
[quote][color=blue]নিজস্ব ভবন থাকলেও নির্ধারিত পরিমাণের কম জমি থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো_
-দ্য পিপলস ইউনিভর্সিটি অব বাংলাদেশ, [/color]
[color=blue]-মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=blue]-স্টেট ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=blue]-প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি,[/color]
[color=blue]-ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=blue]-ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, [/color]
[color=blue]-দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও [/color]
[color=blue]-সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।[/color][/quote]
অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তারাও এক বিঘা জমি কিনেছে।
এ ছাড়া, আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চালু থাকা তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।[/quote]
আর ও নতুন ৪০ টা ভার্সিটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে,বাংলাদেশে এতগুলা ভার্সিটি দিয়ে করবে কি ?