ভাষার মাসে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু করছি
বিশ্বকাপ ফুটবলের পর রস+আলোতে দেখেছিলাম এমন এক সময় আসবে যখন মানুষের কোন বাড়তি সময় থাকবেনা তখন মানুষ মাত্র আধা ঘন্টায় বিশ্বকাপ খেলা শেষ করবে। তখন সবাাই ততটুকু সময়ের জন্য ফ্রি হবে এবং পলেরমত কোন জোতিষী বলে দিবে বিশ্বকাপ পেল অমুক দেশ তো সবাই খুশি, হয়ে গেল বিশ্বকাপ। এখন আসি দিবসের কথায় দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত ব্যাসত হয়ে উঠছে, কমে যাচ্ছে সময়ও সেই সাথে শটকাট করছে অপ্রয়োজনীয় কাজগুলিও। মানুয়ের আর সময় নেই রাত জেগে জারি গান সারি গান শোনার। সময় কমে গেছে ভালবাসারও। কিনতু সব কিছু ঠিক তো রাখতে হবেই, তাই মানুষ জন্মদিল দিবসের। কিন্তু আমরা যা করছি তা কি ঠিক দিবসের নামে আমরা ভুলতে বসেছি আমাদেও নিজস্ব সত্বাকে। ভালবাসা দিবসের নামে কি করছি শুধু একদিন সবাইকে ভালবাসার অভিনয় দেখিয়ে বাকি দিনগুলিতে সব কিছু ভুলে থাকছি।মা দিবসের দিনই কি শুধু মাকে মনে করবো?
আজ ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, কিন্তু সরষেতেই ভূত, ভূত সরবে কিসে ২১ফ্রেব্রুয়ারীর বাংলা কি? আমরা সারা মাস ইংরেজী ইংরেজী করে এখন বড় বড় বক্তৃতা দেই, ইংরেজীতে টুস টাস না করতে পারলে নাকি আন্ড কালচার হতে হয়। তাহলে আমরা বাংলার সন্মান রাখলাম কই? তা হলে বাংলাকে এতই ভালবাসি? শুধু কি ভাষা দিবসের দিন ভাষাকে শ্রদ্ধা করবো? তাই আমাদের সত্বাকে ফিরে পেতে হলে ভাষা দিবসকে ভুলে যেতে হবে এবং আমাদের প্রতিটি দিনকেই ভাষা দিবসের মত মনে করতে হবে। প্রতিটা দিনই মনে করতে হবে আমাদের ভাষা শহীদদের।
আসুন আমরা আমাদের ঘৃনিত অতীতকে ভুলেগিয়ে ভাষা দিবস মুক্ত দিন গড়ি।
(২য় বার)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




