somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাপ্তবয়স্কদের নিষিদ্ধ ভার্জিন কোলা - ইটস ইওর লাইফ, কালার ইট

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।

নতুন একটা ইয়ো ইয়ো বান্ধবী হইছে। তুর্কি। মাত্র অল্প কিছুদিন হইল, সে আগের বয়ফ্রেন্ডের কাছে চরম একটা ছ্যাঁকা খাইছে। আর ছ্যাঁকা খাইবার পরে তার মনে বদ্ধমুল ধারণা হইছে যে, আরাফাতের মত ভালা পোলা এই দুনিয়াতে আর হয় না। ওই একমাত্র পোলা, যারে পুরা ট্রাস্ট করা যায়। আর আমার মত সুযোগ সন্ধানী পোলা তো এইরকমই বান্ধবী খুঁইজা বেড়ায়। তো তার সেই বিখ্যাত sms টার কথা মনে পইড়া গেল,

Hi Arafat….how r u? I want 2 come ur house. R u free? Coz I understand that, u r the only guy to whom I can trust among all of my boy friends. U understand, what I mean?

না, আমার মত নাদান পোলা বুজে নাই, অয় আমারে আসলে কি বুজাইতে চায়? তয় এইখানে একটা কথা কইয়া রাখা ভালা যে, আমি ওর একমাত্র বয়ফ্রেন্ড না, হের আরো অনেকগুলি বয়ফ্রেন্ডের মইধ্যে আমি অইন্যতম একজন।

হে তারপর থেইকা, প্রতি রাইতে আমারে ফোন দিয়া ফুসুর-ফাসুর করে। বাড়িত আইসা মুভি দেখে। আমার লগে এইদিক-সেইদিক ঘুরবার চায়। তো ফার্স্ট যেইদিন সে আমার বাড়িত আইছিল, সেই দিন তারে দেশী কায়দায় আপ্যায়ণ করছিলাম। যেইটা ওরে কইতে চাইছিলাম, সেইটা হইল, “আসেন, আসেন, গড়িবের ঘরে হাতির পাড়া পড়ছে...হে হে হে”

তয়, ইংলিশে এইডা কইতে যাইয়া একটু বেড়াছেড়া কইরা ফেলছিলাম। ওরে কইছিলাম, “come, come, in the poor man house, step of a big elephant…he he he”

এইটা শুইনা অয় আমারে কয়ছিল, “Hey Arafat, I am not that kind of fat, not like an elephant. I am beautiful Arafat. May be, since you are thin, that’s why you are saying so. I will make you healthy and happy darling.”

ওরে বাপরে। আমি ওইদিন কেন জানি খুব ভয় খাইয়া গেসিলাম।


২।

পরে একদিন ওরে কইছিলাম, “আইচ্ছা তুই যে মাইয়া হইয়া এতগুলা পোলার লগে ঘুরতেছস, তো একটা পোলারে তুই তোর পার্মানেন্ট বয়ফ্রেন্ড বানাইয়া ফালা না?”

সে এই কথা শুইনা আমার দিকে কেমুন জানি ঢুলু ঢুলু চউক্ষে তাকাইয়া ছিল। তারপরে আমার কান্ধে হাত দিয়া কইছিল, “আমি এরপরে যেই পোলারে বয়ফ্রেন্ড বানামু, তার দুইটা কোয়ালিটিই থাকা লাগব।”

আমি কইছিলাম, “কি কি কোয়ালিটিরে?”

সে কয়, “ওই পোলারে ফার্স্টে হ্যান্ডছাম হওয়ন লাগব। আর সেকেন্ডে” সে একটু থাইমা কয় “হেরে দুইদিক দিয়াই লম্বা হওয়ন লাগব।”

এইডা শুইনা তো আমি সেইদিন পুরা থ খাইয়া গেসিলাম। পরে ওরে কইলাম, “আইচ্ছা ওই, তোর আগের বয়ফ্রেন্ড কি দুইদিক দিয়াই লম্বা ছিলনা? এমনিতে তো পোলাটারে আমার কাছে বেশ লম্বাই লাগত।”

এইটা শুইনা সে আমার আরেকটু ঘনিষ্ঠ হইয়া কইছিল, “তুই এইগুলি কি কস আরাফাত? আমারে তোর কি মনে হয়? তুই কি জানস না যে, আমি এখনো ভার্জিন?”

আমি যে কি পরিমাণ অবাক হইছিলাম এই কথাডা শুইনা, সেইটা আর কওয়ার মতন ছিলনা। পরে ওরে আমি চামে কইছিলাম, “আইচ্ছা তুই যে নিজেরে এত ভার্জিন ভার্জিন কস...তা সেইটা কোনদিক দিয়া? সামনের দিক দিয়া, নাকি পিছনের দিক দিয়া? সামনের দিক দিয়া তো তোর ভার্জিন হওনের কোন চান্সই নাই, তয় পিছন দিক দিয়া তুই ভার্জিন হইলেও হইতে পারস।”

সে কেমুন জানি ঘোর লাগা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাইয়া ছিল। তারপরে আমারে ফিসফিস কইরা কইছিল, “আইচ্ছা, এই যে আমি তোর লগে এত ঘুরাঘুরি করি, তোর বাড়িতে আইসা বইসা থাকি, তোর কি আমারে কিছুই করার ইচ্ছা করেনা?”

আমি কইছিলাম, “কি করার আবার ইচ্ছা করব রে?”

“পোলাগো যেই সব করতে ইচ্ছা করে” সে কয়।

আমি কইছিলাম, “চুম্মা-টুম্মা খাওনের ইচ্ছা করে মাঝে মইধ্যে।”

সে কয়, “এতটুকুই?”

আমি কইছিলাম, “হ রে, আমরা বাঙ্গালতো। তাই এর বেশি কিছু ইচ্ছা করলেও উপায় নাই।”

যাই হোক, এই কথা কওয়নের পর থেইকা আমাগো ফ্রেন্ডশীপ আরো গাঢ় হইছিল।


৩।

এই মাসের আট তারিখে আমার জন্মদিন ছিল।

আগের সেই আফ্রিকান ফ্রেন্ডগুলার লগে আর তেমন পুলের ধারে আড্ডা দেওয়ন হইতনা অনেকদিন ধইরাই। জন্মদিন উপলক্ষে রাইতে ওগো লগে আড্ডা দিতাছিলাম। সেই সময় আমার হেই বান্দুবী সবার সামনে আমারে হাগ কইরা ঘোষণা দিছে, “আরাফাত, খালি তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, খালি তুই রে। আমি খালি তোরেই ট্রাস্ট করি রে...খালি তোরেই পুরা স্ট্রাস্ট করি রে...তুই আমার সব............”

হ্যাপি বার্থডে টু মি... ... ...
জন্মদিনে এর চেয়ে ভালা উপহার, এর আগে আমি কোনবারও পাই নাই। হে হে হে...খিক খিক...

পুনশ্চঃ

নোটটা আরো বাড়ামু কিনা ভাবতেছি। আর এইডা ইচ্ছা কইরাই কথ্য ভাষাতে লিখছি। আসলে সব কথাগুলা ইংলিশে ছিলো, কিন্তু বেস্ট ফ্রেন্ড্রের লগে কথা কইছি তো, তাই কথাগুলা ইংলিশে কইলেও তুই-তোকারি আপনা আপনি চইলা আসে। আশা করি বিবেচক পাঠকেরা বুজিয়া লইবেন।
৩৩টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×