somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চায়না সিরিজ ৫ - খাওয়া আর কালচারাল শক

০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


- জিবু শহরের রাজপথ

আগের পর্বের লিংকঃ চায়না সিরিজ ৪ - এবার জিবু শহরে

১২/
Zhuozhou শহরে আমাদের হোস্টেরা অনেক আরামে রেখেছিল। জিবু শহরের হোস্টরাও আমাদের খুব আদর-আপ্যায়ণ করছেন। বিশেষ করে আমাদের যে হোটেলে থাকতে হচ্ছে এবং যেসব গাড়ি দেয়া হচ্ছে সেসব অতুলনীয়। কিন্তু, বিভিন্ন ইন্ড্রাস্ট্রিতে যাবার কারণে চাইনিজ কর্মীদের কাজের পরিবেশ দেখে চীনের অন্য একটা দিক ধীরে ধীরে আমাদের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। সেটা একটু পরে বলছি।

জিবু শহরের আনাচে-কানাচে আর বিভিন্ন ইন্ড্রাস্ট্রি ঘুরে আমার মনে হল, ম্যানুফ্যাকচারিং ও অনান্য শিল্পে চীন এতটা এগিয়ে গিয়েছে যে এদের টেক্কা দেয়া অন্য দেশের পক্ষে বলতে গেলে অসম্ভব। আর চীনের আকার বিশাল হওয়ার কারণে কাঁচামালের জন্য এদের অন্য দেশের উপর নির্ভর করতে হয় না। তাছাড়া এদের রয়েছে বিপুল পরিমাণ দক্ষ জনগোষ্ঠী যারা কাজের ভিতরেই আনন্দ খুঁজে পায়। তাই চীনের চেয়ে সস্তায় কোন কিছু তৈরি করা অন্য দেশের পক্ষে বলতে গেলে অসম্ভব। তবে কাজের পরিবেশ নিয়ে যেটা একটু আগে বললাম সেটা হল চীন পণ্য উৎপাদণে যথেষ্ট মনোযোগী হলেও কর্মীদের নিরাপত্তা ও পরিবেশের প্রতি উদাসীন। শিল্পকারখানাগুলোতে কর্মীদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখলাম সেটা খুব আশাপ্রদ না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই অপ্রতুল। কোন কারণে একটা হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন ফার্নেস ফেইল করলে সাথে সাথে হাজার হাজার কর্মীর জীবন বিপন্ন হতে পারে। তবে কর্মীদের মুখেই শুনলাম এই খারাপ অবস্থার নাকি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে এবং আগের চেয়ে কারখানা মালিক ও সরকার পরিবেশ ও কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যপারে অনেক সজাগ। তবুও চীনকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

১৩/
মানুষ বিভিন্ন দেশে গিয়ে কি কি ব্যাপারে “কালচারাল শকড” হয় সেই নিয়ে বিস্তর লেখালেখি আছে। যদিও এক এক জনের এই “শকড” হবার বিষয়টা ভিন্ন ভিন্ন। একজন এটা দেখে শকড হয় তো অন্যজন ওটা শুনে শকড হয়। আমারো চীনে গিয়ে একটি জিনিস দেখে কালচারাল শকড হবার উপক্রম হল। সেটা হল চীনের পাবলিক টয়লেটগুলোর স্কোয়াট সিট (বসার জায়গা)।

চীনের বিভিন্ন কলকারখানা ও বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে যেসব স্কোয়াট টয়লেট আছে সেগুলোর সিট একেবারেই বিদঘুটে। প্রথমত, টয়লেটের সিটগুলো অসম্ভব চিকন। এতটাই চিকন যে সেখানে আমাদের উপমহাদেশীয় মানুষদের বিশাল পাছা নিয়ে বসা প্রায় অসাধ্য। টয়লেটগুলো মেঝের একটু উপরে না থেকে বলতে গেলে একেবারে ভিতরে ঢুকানো থাকে। আবার সেই টয়লেটের পিছন দিকটা কেমন ঢেউ খেলানো উঁচু হয়ে মেঝের উপরে উঠে আসে যার কারণে নোংরা পানি শরীরে ছিটকে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। কিছু কিছু জায়গাতে টয়লেটের রুমটা এত ছোট যে টয়লেটের সিটে কেউ বসলে দরজা লাগানো যায় না। মাথাটা টয়লেট-রুম থেকে বের হয়ে থাকে। দেখতে অনেকটা ঘোড়ার আস্তাবলের ঘোড়াগুলোর মত। আস্তাবলে ঘোড়ার শরীরটা একটা ঘেরের ভিতরে থাকলেও মাথাটা বাহিরে বের হয়ে থাকে অনেকটা সেই রকম অবস্থা এখানে। এইরকম অবস্থায় যখনই আমার কোন চাইনিজের সাথে চোখাচোখি হয়েছে আমি ততবারই দ্রুত চোখ সরিয়ে নিয়েছি। অবশ্য, চাইনিজদের তেমন কোন বিকার দেখিনি, বরং অনেকেই হাসিমুখে “হাই-হ্যালো” দেবার চেষ্টা করেছে। আমি এটা দেখেই ভীষণভাবে শকড হয়েছি। মানুষ এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকার সময় আবার “হাই-হ্যালো” দেয় কিভাবে? আর অনেক জায়গাতে তো টয়লেটের কোন দরজা পর্যন্ত দেখিনি। আমাদের দেশের মসজিদে ছেলেদের প্রসাব-খানাতে যেরকম বুক পর্যন্ত উঁচু দেয়াল দিয়ে প্রস্রাব-খানাগুলো আলাদা করা হয় ঠিক সেই রকমভাবে এখানে অনেক জায়গাতে স্কোয়াট টয়লেটগুলোকে আলাদা করা হয়েছে।

চীনে শুধু আমি না, আমার মত আরো হাজার হাজার পর্যটক টয়লেটে গিয়ে নানারকম বিড়ম্বনায় পড়েছে। পর্যটকদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে চীনের সরকার “টয়লেট রেভ্যুলেশন ইন চায়না” নামক এক প্রকল্প ২০১৫ সাল থেকে শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় চীনের বিভিন্ন শহরে লক্ষ লক্ষ আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষকরে চীনের গ্রামাঞ্চলে কৃষি আধুনিকায়তনের সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর টয়লেট তৈরীর ব্যাপারে চীনের সরকার বিশেষ জোর দিচ্ছে।

কিন্তু আমাকে এসব জ্ঞানগর্ভ জিনিস টানেনা। আমি কোথাও গেলে ভুলেও এদের পাবলিক টয়লেটে আর ঢুকি না। যা করার তা সকালবেলা হোটেল থেকে ঠিকঠাক মত করে বের হই যাতে সারাদিন আর কোন বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।


- চীনের পাবলিক প্লেসের টয়লেটগুলো দেখতে অনেকটা এরকম। তবে এত পরিস্কার না। এই ছবিটা ইন্টারনেট থেকে নিয়েছি। ওদের টয়লেটের ছবি তোলার রুচি হয় নাই। তবে আমাদের হোটেল ও ভালো ভালো রেস্টুরেন্টের টয়লেটগুলো এমন না।

১৪/
মালয়শিয়াতে থাকতে দেখেছিলাম আমার লিবিয়ান বন্ধু মাহের মেয়ে পটাতে বিশাল রকমের পটু। একটা মেয়ের সাথে কয়েক সেকেন্ড কথা বলেই মাহের কিভাবে যেন একটা মেয়েকে আকৃষ্ট করে ফেলতে পারে।

একবার আমি ইউনিভার্সিটির লেকের সামনে এক ছাউনিতে বসে জীবন নিয়ে ভাবছিলাম। সেই সময় অনেক দূরে মাহেরকে দেখলাম হেঁটে যাচ্ছে। আমি একটু নিজের মত থাকতে চাচ্ছিলাম, তাই মাহেরকে আর ডাকলাম না।

মাহের যেদিকে যাচ্ছিল, তার উল্টোদিক দিয়ে একটা কাশ্মীরি মেয়ে আসছিল। মেয়েটা নতুন এসেছে। এসেই সে অনেক ছেলের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। আমি দূর থেকে মাহের ও মেয়েটাকে লক্ষ্য করতে থাকি। মেয়েটাকে দেখে মাহেরের ভিতরের চাঞ্চল্য আমি দূর থেকেই টের পাই।

মেয়েটা যখন মাহেরকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল, তখন মেয়েটাকে সে কি যেন বলল। মেয়েটা প্রায় পাশ কাটাতে কাটাতেই দাঁড়িয়ে গেল। তারপর প্রায় পনেরো মিনিট ওরা ওখানেই দাঁড়িয়ে কথা বলল। আমি দূর থেকেই দেখলাম আস্তে আস্তে মেয়েটির আড়ষ্টতা কেটে গিয়ে সেখানে সপ্রতিভ হাসি-হাসি মুখ চলে এসেছে। আরো কিছুক্ষণ কথা বলার পরে তারা একসাথে কোথায় জানি চলে গেল।

এরপরের কয়েকদিন আমি যেখানেই যাই সেখানেই মাহের আর মেয়েটাকে একসাথে দেখি। তারা ক্যাফেতে থাকে, লাইব্রেরিতে থাকে, লেকের সামনে থাকে, ট্যাক্সিতে থাকে। মেয়েটার চোখেমুখে থাকে মুগ্ধতা।

পরে একদিন আমি মাহেরকে জিজ্ঞেস করলাম, “মাহের তুমি তো রাস্তাতে তোমাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া মেয়েটাকেও কি যেন বলে পটিয়ে ফেলতে পারো। তুমি কিভাবে একটা অচেনা মেয়েকে এত তাড়াতাড়ি পটাতে পারো? রাস্তাতে হেঁটে যাওয়া মেয়েটাকে আকৃষ্ট করতে তোমার হাতে সময় থাকে দুই সেকেন্ডেরও কম। কি এমন “পাঞ্চ লাইন” তুমি বল যে মেয়েটাকে থেমে গিয়ে তোমার কথা শুনতে হয়।”

মাহের কি আর তার “পাঞ্চ লাইন” কাউকে বলে! আমি অনেক জোরাজুরি করে হাল ছেড়ে দিলাম মাহেরের গুপ্ত রহস্য জানার ব্যাপারে।

আমি ব্যাপারটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু আবার মনে পড়ল চীনের এই জিবু শহরে এসে। ব্যাপারটা খোলাখুলি বলি।

চীনে এসে খাবার নিয়ে আমাদের দলের কয়েকজন খুব বিড়ম্বনাতে পড়ল। প্রথমত, কি খাবার খাচ্ছে সেটা তারা বুঝতে পারছেনা। কি খাবার খেতে চাচ্ছে সেটাও কাউকে বুঝাতে পারছেনা। আর হালাল-হারামের ব্যাপারটা তো থেকেই যাচ্ছে।

আমরা সকালের নাস্তা আর রাতের ডিনার হোটেলেই করি। এখানে আবার বারোয়ারি রেস্টুরেন্ট না। বরং, এক গ্রুপের লোকেরা একটা নির্দিস্ট রুমের গোল টেবিলের চারপাশে বসে। এক রুমে শুধু এক গ্রুপের লোকেরাই খাবে। সেই রুমে টিভি চলবে, মিউজিক বাজবে, আয়েশ করার জন্য সোফা থাকবে, নিজেদের আলাদা ওয়াশরুম থাকবে। এলাহি কারবার।

যাইহোক, যেই ওয়েটার মেয়েগুলো খাবারের অর্ডার নেয় তারা ইংরেজি একেবারেই পারে না। এদিকে আমাদের দলের কয়েকজনের ভাবসাব এমন যে তারা লইট্টা শুটকি আর ডাল-ভাত না হলে খাবার খাবে না। খাবার নিয়ে এদের কারো কারো আচরণে আমি নিজেই বিরক্ত। হোটেলের ওয়েটারগুলোও বিরক্ত। অবশেষে তারা বাধ্য হয়ে প্রথম দিনেই তাদের সুপারভাইজারকে ডেকে আনল।

সুপারভাইজর এক সুন্দরী মেয়ে। নাম নাকি স্যান্ডি। আসলে এই নাম সে বিদেশীদের জন্য ব্যবহার করে। সম্ভবত, সেও জানে তার আসল নাম বিদেশীরা সহজে উচ্চারণ করতে পারবে না। তাই একটা সহজ ইংরেজি নাম সে বেছে নিয়েছে।

স্যান্ডির বয়স আমার কাছাকাছি। সেই একমাত্র ইংরেজি বলতে পারে। আমি স্যান্ডিকে নিয়ে ওদের কিচেনে গেলাম। সেখানে ওকে সব বুঝিয়ে বলার পর সে নিজেই আমাকে বিভিন্ন খাবার বেছে দিল। সে আরো আশ্বস্থ করল যে খাবার নিয়ে যেকোন প্রয়োজনে যেন আমরা তাকে ডাকি। সে সদা প্রস্তুত। আমি স্যান্ডির কাজ ও ব্যবহারে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

পরে খাবার খেয়ে আমি সোফাতে বসে একটা ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাচ্ছি। আমার দলের বাকিরা তখনো খাবার খেতে ব্যস্ত। এমন সময় স্যান্ডি আমাদের রুমে প্রবেশ করে সোজা আমার পাশে এসে বসে বলল “আরাফাত আমার ডিউটি এখন শেষ। আমি বাসাতে চলে যাচ্ছি। আবার কালকে সকালে আসব। কিন্তু তোমরা যদি খাবার নিয়ে কোন সমস্যাতে পড় আমাকে নির্দিধায় কল দিও। এই নাও আমার ফোন নাম্বার।”

এই বলে স্যান্ডি একটা কলম দিয়ে আমার হাতের তালুতে তার নাম্বার লিখে দিল। কারণ, রুমে লেখার মত কোন কাগজ ছিল না। স্যান্ডি আমার হাতের তালুতে তার নাম্বার লিখে হাসিমুখে “বাই” বলে বিদায় নিল।

স্যান্ডি যাওয়ার পর খেয়াল করলাম আমার গ্রুপের সবাই তাদের খাবার ফেলে বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। স্যান্ডি আমাকে কি বলেছে সেটা তারা শুনতে পায়নি। কিন্তু, স্যান্ডি হাসিমুখে আমাকে ওর নাম্বার আমার হাতের তালুতে লিখে দিয়েছে সেটা সবাই দেখেছে। ওরাতো আর জানে না স্যান্ডি কি কারণে আমার হাতের তালুতে ওর নাম্বার লিখে দিয়েছে। ওরা ভেবেছে আমি স্যান্ডির সাথে কিচেনে যাওয়ার পথে কোন এক “পাঞ্চ লাইন” বলে তাকে পটিয়ে ফেলেছি। এখন সেই মেয়ে পাগলের মত আমাকে ভালোবেসে তার নাম্বার হাতে লিখে দিয়েছে।

গ্রুপের সবাই আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করতে লাগল কিভাবে একটা মেয়েকে আমি এত তাড়াতাড়ি পটালাম।

অনেকদিন পর আবার সেই মাহেরের ঘটনা মনে পড়ল। মাহের আমাকে ওর পাঞ্চ লাইন বলে নাই। আমিও কি আমার গ্রুপের কাউকে আমার গুপ্ত রহস্যের কথা বলব! বরং “আরেহ ব্যাপার না। এসব তো আমার সাথে অহরহই ঘটে” – এমন একটা ভাব নিয়ে ঘুরতে লাগলাম।

যাইহোক, মাহেরের প্রসঙ্গে আবার ফিরে আসি।

মাহের কোন মেয়েকে অনেক তাড়াতাড়ি পটাতে পারলেও কোন মেয়েই তার সাথে দুই মাসের বেশি সম্পর্ক রাখে না। অথচ, আমার প্রতি কোন মেয়ে যদি আগ্রহ দেখায় সেটা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের কথা ভেবেই আগায়।

তো একদিন মাহের আমাকে দুঃখ করে জিজ্ঞেস করছিল, “আরাফাত তুমি কি এমন করো যে একটা মেয়ে তোমার সাথে সারাজীবন থাকতে চায়?”

মাহের আমাকে ওর “পাঞ্চ লাইন” বলেনি। আমিও কি আমার গুপ্ত রহস্যের কথা এত সহজে বলি!

১৫/
এবার কিছু ছবি আর ক্যাপশনঃ


- এই রকম গোলটেবিলে আমরা খেতাম। আমাদের টেবিলের জন্য একটা রুম বরাদ্দ থাকত। আর চাইনিজ খাবার বেশ মজার ছিল।


- আমাদের লান-হাই হোটেলের রেস্টুরেন্ট। সকালে এখান থেকেই নাস্তা করে বের হতাম। এই হোটেলে ওয়েস্টার্ন সিস্টেমে খাবার পরিবেশন হত। অবশ্য ওদের ট্রাডিশনাল কিচেন ছিল আগের ছবির মত। ট্রাডিশনাল কিচেনে সাধারণত লাঞ্চ বা ডিনার করতাম।


- হোটেলে আমার রুমের জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া বাড়ি-ঘর।


- জিবু শহরে ছিল এই রকম সারি সারি দালানকোঠা আর প্রায় জনমানবশূণ্য পথ-ঘাট।


- শহরের পথে-ঘাটে মানুষজন তেমন দেখা না গেলেও অফিস আওয়ারে কিছুটা যানজট দেখা যেত।


- চায়নাতে বহাল তবিয়তে টিকে আছে কে-এফ-সি আর ম্যাকডি।


- হেবেই শহরের এক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি যেখানে আমাদের কাজ ছিল।


- কোম্পানির মালিকের অফিসরুম। তিনিই আবার সি-ই-ও।


মালিকের রুমে স্বর্ণ-খচিত হাতি।


- জিবু শহরের এক কারখানার সাধারণ পরিবেশ। বিভিন্ন গ্যাস তেমন কোন পরিশোধন ছাড়াই বাতাসে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। কারখানাগুলোতে ধোঁয়াময় পরিবেশ। কিছু কিছু কারখানায় হাজার হাজার মেট্রিকটন ফার্নেসে মাটি-সিরামিক গলানো / প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ওর পাশেই মানুষজন তেমন কোন সেফটি ছাড়া কাজ করছে। কোন কারণে যদি ফার্নেস ফেইল করে ভিতরের জিনিস বের হয়ে আসে পুরো এলাকা গলিত লাভায় চাপা পড়ে যাবে। ওসব জায়গায় ছবি তোলা নিষেধ ছিল। এমনকি কিছু কিছু কারখানার লোকেরা আমাদের ওই এলাকা পর্যন্ত নিয়েও যেত না। ফ্যাক্টরির একটা অংশ দেখানোর পর আমাদের বলত যে এর পরে যাওয়া নিষেধ।
_______________________________________
পরের পর্বের লিংকঃ চায়না সিরিজ ৬ - চায়নার উন্নতির রহস্য
চায়না সিরিজের সময়কাল ২০১৭ সাল।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×