২০০৮ সালের পূর্বে দেশে প্রায় ১৫ কোটি জনগণ থাকা সত্ত্যেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ১ লক্ষেরও কম । আর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটিরও বেশি । পূর্বে ওয়েবসাইট বলতে বিশাল কিছুকে বুঝানো হলেও এখন ওয়েবসাইট খুলা হচ্ছে ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের মত ।
দেশে ৬ লক্ষেরও বেশী ফ্রীল্যান্সার আউটসোর্সিং এ জরিত, প্রতি মাসে দেশে আসছে লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার । যা আমাদের উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে । প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ব এখন হাতের মুঠুই; শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবসা-বাণিজ্য চাকুরী সবই এখন ভার্চুয়ালি হয়ে উঠছে । যানজটময় এই দেশে ঘরে বসে কেনাকাটা যেন উন্নয়নের আর এক মাইলফলক ।
অঁজপাড়া গাঁয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করা ছেলে কিংবা মেয়েটি ঘরে বসেই বিশ্বের উন্নত দেশ থেকে উন্নত শিক্ষা গ্রহণ, ভাল কোম্পানিতে চাকুরী করা কিংবা বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে অনলাইনে কেনা কোনো পণ্য ঘরে বসেই তা হাতে পাচ্ছে । এ যেন এক হাতের মুঠুর পৃথিবী ।
ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিসংখ্যান দেখেই বুঝা যায় আমাদের দেশে ইন্টারনেট কতটা জনপ্রিয় হচ্ছে আর এই বৃদ্ধির পরিমাণটা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে ।
২-৩ বছর পূর্বে দেশে যেই হারে ব্লগসাইটের সংখ্যা বেড়েছিল তার থেকে বহুগুণ হারে এখন অনলাইন পত্রিকার সংখ্যা বাড়ছে । অনলাইন পত্রিকা সমূহের এই বৃদ্ধির ফলে অঁজপাড়া গাঁয়ের সংবাদটি পাওয়া যায় মুহূর্তের মধ্যেই এর ফলে বাড়ছে কর্ম সংস্থান যা এ দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর করতে সহায়তা করছে ।
কয়েক বছর পূর্বে ওয়েবসাইট বিষয়ক বেশীরভাগ সেবাগুলো বাহিরের দেশ থেকে নিতে হত কিন্তু এখন আমাদের দেশীয় অনেক কোম্পানিই উন্নতমানের সেবা দিয়ে থাকে ।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি উন্নয়নে তরুণরা যেভাবে অবদান রাখছে, বেশী দূর নয় যে দিন ক্রিকেটের মত প্রযুক্তিতেও এদেশের নাম থাকবে স্মরণীয় ।
#ফেইসবুকে আমি
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১