(গত পর্বের পর)
> ইলমের ফযীলত
আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কুরআনে এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সুন্নাতে ইলম এবং ইলমধারীদেরকে প্রশংসা করেছেন এবং আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে ইলম শিখতে উৎসাহ দিয়েছেন। ইলম নেককাজসমূহের সবচেয়ে ফযীলতপূণ এবং ইবাদতের মধ্যে তা সবচেয়ে বরকতময়। ইলম আল্লাহর পথে জিহাদের একটি অংশ। উল্লেখ্য, আল্লাহ্র পথে জিহাদ চার প্রকার। যথাঃ
1. আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদ,
2. শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ,
3. কাফির এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ ও
4. অত্যাচার, বিদ‘আত প্রভৃতির লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ।
ইলম আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদের মধ্যে পড়ে। এ জিহাদ চার ভাগে বিভক্ত। যথাঃ
1. আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদ করা, যাতে আত্মা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয় এবং ঐ দ্বীন সম্পর্কে আত্মায় যথেষ্ট জ্ঞান থাকে, যে দ্বীন ব্যতীত অন্য কোন দ্বীনে কল্যাণ নেই, দুনিয়াতে বসবাস করলে যে দ্বীন ব্যতীত অন্য কোন দ্বীনে শান্তি নেই এবং যে দ্বীন ছেড়ে দিলে দুনিয়া ও আখিরতে সে কল্যাণকামী হতে পারবে না।
2. আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদ করা, যাতে আত্মা যে জ্ঞান লাভ করেছে সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল করে।
3. আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদ করা, যাতে আত্মা যে জ্ঞান লাভ করেছে সে জ্ঞানের দিকে দাওয়াত দিতে রাজি হয়। তা নাহলে সে ঐ ব্যক্তিদের মধ্যে পড়বে, যারা আল্লাহর হিদায়াত এবং নিদর্শণসমূহ লুকিয়ে রাখে। তখন তার ইলম তার কোন কাজে আসবে না এবং আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
4. আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদ করা, যাতে আত্মা আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার সময় যে দুঃখ-কষ্টে পড়ে, সেগুলোর উপরই ধৈর্য ধারন করে এবং এ দুঃখ-কষ্ট আল্লাহর জন্য- একথা মনে করে সহ্য করে।
যদি কারও এ চার প্রকার পূর্ণ হয়, তবে সে আল্লাহ্ভক্ত মানুষ হবে। কারণ সমস্ত সালাফে সালেহীন একমত যে, কাউকে আল্লাহ্ভক্ত মানুষ বলা যাবে না যতক্ষন সে ইলম শেখে, অতঃপর সে অনুযায়ী আমল করে এরপর তা অন্য মানুষদেরকে শেখায়। [এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে দেখুনঃ যাদুল মা‘আদ লি হাদয়ি খাইরিল ইবাদ, (পর্যালোচনা: শু‘আইব আল-আরনাঊত ও আব্দুল কাদির আল-আরনাঊত, দারুর রাইয়ান লিত তুরাস, পঞ্চদশতম সংস্করণ ১৪০৭ হি./১৯৮৭ খ্রি.) খ. ৩ পৃ. ৫-১২।] এ চার প্রকারই আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আসরে সুন্দরভাবে উল্লেখ করেছেন।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০০৭ সকাল ৮:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




