উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবকরা এদেশের সবচাইতে অসহায় প্রাণী। পরিবার, সমাজ ও দেশ তার প্রতি কতটা নিষ্ঠুর তা প্রতিটি বেকার যুবক হাড়ে হাড়ে টের পায়। প্রতিটা চাকুরীর জন্য আবেদন করতে বেকারদেরকে গড়ে সাড়ে ৩শত টাকা করে পরীক্ষা ফী দিতে হয় আর বেকারদের পক্ষে এই টাকা যোগার করা কতটা কষ্টকর সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আর তা ছাড়া এদেশে একটি চাকুরীর পরীক্ষা দিয়েই চাকুরী পাওয়াও তো সম্ভব নয়, কারণ চাকুরী ক্ষেত্রে আছে দুর্নীতির কালো থাবা।
আগামী ২৮ শে আগষ্ট ২০১৫ কৃষি ব্যাংক সিনিয়র অফিসার, পিএসসি এর অধীনে এনবিআর এর এ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা যদি একই সময়েই নিবে তাহলে এসব প্রতিষ্ঠান তো বেকার যুবকদেরকে সার্কুলার দেওয়ার সময়েই জানাতে পারতো, তাহলে তো আর বেকারদের এত কষ্টের টাকা জলে যেত না এবং অনেক কষ্ট করে চাকুরীর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সেই চাকুরীর পরীক্ষাটা না দিতে পারার আফসস তো আর করতে হত না।
আশা করি পিএসসি (এনবিআর), কৃষি ব্যাংক, এনটিআরসিএ এবং প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয় বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
এত অত্যাচার সহ্য করে যে সরকারী চাকুরী পাবে তার কাছ থেকে কী দুর্নীতিমুক্ত ভাল সেবা আশা করাটা বোকামী নয়?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩