যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে আমেরিকার সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর ও মূল্যবান সম্পদ কি?
আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে বলব: এর গ্রন্থাগারসমূহ।
এই দেশের প্রতিটি শহর, প্রতিটি উপশহর, এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও আপনি একটি গ্রন্থাগার ঠিকই খুঁজে পাবেন। শুধু তাই নয় এই গ্রন্থাগারগুলোর তাকেই আপনি খুঁজে পাবেন সদ্যপ্রকাশিত বেস্টসেলার থেকে শুরু করে শতাব্দী প্রাচীন দুর্লভ পাণ্ডুলিপি।
সারা আমেরিকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে প্রায় ১,২০,০০০ গ্রন্থাগার। যা কেবল পরিসংখ্যান নয় বরং এটি এক বিশাল জ্ঞানচর্চার জাল। যা চিন্তা, কল্পনা, গবেষণা ও নিঃশব্দ অন্তর্জগৎকে মানুষের হাতের কাছে এসে হাজির করেছে।
প্রতিটি সুন্দর মননশীল বই মানুষের চেতনা জগতে যে বিপুল আলোড়ন তুলতে পারে তার শক্তি যেন একেবারে নিঃশব্দে লাইব্রেরী কক্ষে গড়ে ওঠে।
আপনি কী খুঁজছেন?
ইতিহাসের বিশ্লেষণ, আত্ম-উন্নয়নের অনুপ্রেরণা, দর্শনের গভীর জিজ্ঞাসা, ধর্মতত্ত্বের সূক্ষ্ম ধারা কিংবা শিশু-কিশোর সাহিত্য? যাই হোক না কেন প্রতিটি বই আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এক স্বতন্ত্র জগতের গভীরে। তাই বলা যায় চিন্তার শ্রেষ্ঠতম সূতিকাগার হলো গ্রন্থাগার।
অথচ এই লাইব্রেরী বিশাল জ্ঞানের ভাণ্ডার আর নির্জনতা ছেড়ে মানুষ কত তুচ্ছ বিষয়ে তার এক বিপুল জীবনকে নষ্ট করে।
জার্মান কবি গ্যেটে বলেছিলেন, যে মন বিগত তিন হাজার বছরের ভাবনার ছোঁয়া পায় না, তার জীবন যেন এখনো শুরুই হয়নি। গ্রন্থাগার এই ভাবনার ইতিহাসকে স্পর্শ করার সুযোগ করে দেয়। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের এক অন্তরঙ্গ সংলাপ এখানে মানুষের সাথে গড়ে ওঠে।
আর আপনি যদি সেই দুর্লভ পাঠকদের একজন হন যিনি নিঃশব্দে ডুবে যান চিন্তার গভীরতায়। তবে আপনার জন্য লাইব্রেরি হলো সবচেয়ে ভালো ভ্যাকেশান স্পট আর বইয়ের পাতা হলো সবচেয়ে সুন্দর ডেস্টিনেশন।
আপনার পড়া সেরা বই কোনটি?
আপনি এখন কোন বইটি পড়ছেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


