এই লেখাটিকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে পারে:
১. মতিউর রহমানরা যেহেতু জানতেন যে সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদী হস্তক্ষেপ কখনোই মঙ্গলজনক হয় না, সেহেতু তাদের উচিত ছিলো শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব থাকা। কিন্তু তারা তা করেননি। এর পেছনে কী কারণ?
২. মতিউর রহমান প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে কি না। তার লেখা থেকে এটা স্পষ্ট যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি বেশি একটা। বরং নতুন ধরনের ভয়াবহ জটিলতার পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে এখন মতিউর রহমানরা তাদের সেই অকার্যকর রাষ্ট্র তত্ত্ব কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন?
৩. সিপিডি তার অনুগত সুশীল সমাজদের নিয়ে যে সংলাপ করে বেড়াতো সেই সংলাপ আমরা এখন আর দেখছি না কেন?
৪. আইআরআই নামের একটি প্রতিষ্ঠান তরুণ নেতৃত্ব বিকশিত করার জন্য দেশজুড়ে ফান্ড জুগিয়ে চলেছে। কাজও চলছে। দাতাসংস্থাগুলো হঠাৎ করেই তরুণদের নানাভাবে প্রচারণার আলোয় এনে নতুন সুশীল টাইপের একটি কমিউনিটি গঠনের পথে এগিয়ে চলেছে। এর নেপথ্যে কোন পরিকল্পনা?
৫. মতিউর রহমানের এই লেখা প্রকাশের আগেই দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই দৈনিকের প্রভাবশালী দুই সম্পাদকের দু'টি ভূমিকা আলোচিত হচ্ছে। যুগান্তর থেকে গোলাম সারোয়ার পদত্যাগ করেছেন। তিনি দীর্ঘ সময় বসবাসের প্রস্তুতি নিয়ে আমেরিকা যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। সমকালের সম্পাদক আবেদ খান মে থেকে আর সমকালে থাকবেন না বলেও শোনা যাচ্ছে। আবেদ খান ইতিমধ্যে লন্ডনে গেছেন। হঠাৎ করে দেশের এমন পরিস্থিতিতে এই দুই শীর্ষ সম্পাদকের কর্মস্থল ত্যাগ ও বিদেশ অবস্থানের কারণ কী?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




