somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ: মতবাদগ্রন্থ বনাম ”স্যাটানিক ভার্সেস”

২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মতবাদগ্রন্থ তথা ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কিছু বলতে বা লিখতে হলে আপনাকে পুরাণতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব এবং অধ্যাত্মতত্ত্ব এ তিনটি বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। এর মধ্যে আবার ’অধ্যাত্মতত্ত্ব’ শুধু জানলে বা শুনলে হবে না একে নিজের ভেতর আত্মস্থ করে এর ভেতর ঢুকতে হবে তবেই জানা যাবে সৃষ্টি রহস্য এবং নিজের রহস্য। এ তিনটি বিষয়ের জ্ঞান না থাকলে আপনি হয় ধর্মান্ধ অথবা নিরীশ্বরবাদী। ধার্মিক বলে কিছু নেই, তারাও একপ্রকার ধর্মান্ধ। সৃষ্টিকর্তা বলে একজন আছেন এ অন্ধবিশ্বাস নিয়েই তারা ধর্ম-কর্ম করে।
পুরাণতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব এবং অধ্যাত্মতত্ত্ব এ তিনটি বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান না থাকার কারণে কোরআনের একেকটি তাফসীরগ্রন্থ পরিণত হয়েছে গোঁজামিলের আখড়ায়। কোরআন পুরোটাই একটি মানবদর্শন এবং জীবনদর্শন। অথচ না জানার কারণে ধর্মান্ধ লোকেরা একে বিশ্ব এবং মহাবিশ্বের কল্পকাহিনী বানিয়ে ফেলেছে! কোরআনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য তাফসীরগ্রন্থ গুলো কম দায়ী নয়। আর এসব ভুলে ভরা তাফসীরগ্রন্থ, শান-এ-নুযূল এবং হাদীস সংকলন পড়ে সালমান রুশদীর মতো নিরীশ্বরবাদী লোকেরা ”স্যাটানিক ভার্সেস” লিখতে প্রবুদ্ধ হয়। তারপর মার খায়। দোষ উভয়ের। অজ্ঞানীর মতো কাজ করলে সমালোচনাও শুনবেন (যেমন আমি এখন তাফসীরগ্রন্থ গুলোর সমালোচনা করছি), মারও খাবেন।
তাফসীরগ্রন্থ গুলোর সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি। এখানে আরো একটি উদাহরণ দিচ্ছি।
”সূর্য অতিক্রম করে না চন্দ্রকে এবং রাত্রি অগ্রে যায় না দিনের এবং প্রত্যেকেই নৌকায় ভাসমান” (সূরা ইয়া সীন, আয়াত ৪০)।
আমি এখানে হুবহু অনুবাদ দিয়েছি। তাফসীরগ্রন্থ গুলোতে কোরআনের সূর্য হয়ে গেছে মহাবিশ্বের নক্ষত্র, চন্দ্র হয়ে গেছে পৃথিবীর উপগ্রহ আর নৌকা হয়ে গেছে কক্ষপথ (আরবী ফুলকা অর্থ হচ্ছে নৌকা)। সূর্য, চন্দ্র, রাত্রি, দিন এবং নৌকা এগুলো সব রূপক শব্দ। সবগুলোই মানবদেহে বিরাজমান। অজ্ঞানতার কারণে আমরা এগুলোকে মহাবিশ্বের সাথে গুলিয়ে ফেলেছি। এখন বলবেন ব্যাখ্যা করুন। করব না। অধ্যাত্মবাদে আসুন। ব্যাখ্যা আপনিই পেয়ে যাবেন।
মতবাদগ্রন্থ তথা ধর্মগ্রন্থ গুলোর উৎস কী? অলৌকিক কোন সত্তা নাকি মহামানবেরা? প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে আপনাকে অধ্যাত্মবাদে আসতে হবে। নচেৎ নীরব থাকাই শ্রেয়। আন্দাজে বিতর্ক করবেন মার খাবেন। কেউই চরম জ্ঞানী নয়, সবারই সীমাবদ্ধতা আছে। সুতরাং কোন বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেয়ার আপনি আমি কে? না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
বই পড়ে কেউ জ্ঞানী হয় না। জ্ঞানের খোঁজ পায় মাত্র। ’জ্ঞান’ হচ্ছে শোনা, জানা এবং দেখা এ তিনটি বিষয়ের একত্রিত রূপ। সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আপনি শুধু শুনেছেন আর বই পড়ে জেনেছেন কিন্তু দেখেননি। অতএব সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আপনি অজ্ঞানী। তাই সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে কোন কিছু বলারও কোন অধিকার আপনার নেই। বললেই ঝামেলা হবে এবং লিখলেই স্যাটানিক ভার্সেস তথা শয়তানের পঙক্তিমালা হয়ে যাবে। এবং হচ্ছেও পৃথিবীতে।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×