আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখে লজ্জার হার, ‘চাঁদ’ ধরতে গিয়ে ‘বামন’ বাংলাদেশ
সাংবাদিক সম্মেলনে লিটন দাশ দাবি করেছিলেন, প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা সামলে উঠবেন তাঁরা। বলেছিলেন, ‘‘আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০০ করতে পারি।’’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামান্য লড়াইও করতে পারল না বাংলাদেশ। রাবাদার দুরন্ত পেসের সামনে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে গেল তারা। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও জঘন্য ব্যাটিং করে বাংলাদেশ হারল ইনিংস ও ২৫৪ রানে।
প্রথম টেস্টে ভরাডুবির পরে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশা ছিল সে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের। কিন্তু টসে জেতা সত্ত্বেও ফিল্ডিং নিয়ে শুরুতেই যেন ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুরের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রোটিয়াজ অধিনায়ক ডুপ্লেসিস বলে দেন, ‘‘উইকেট চেনে না, এ কার বিরুদ্ধে খেলতে নামছি আমরা? এই ধরনের উইকেটে ১০ বারের মধ্যে ৯ বারই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেবে যে কেউ। এটা খুবই সাধারণ একটা উইকেট।’’
শুরু থেকেই ম্যাচের দখল নিয়ে নেয় প্রোটিয়াজরা। চার-চারজন সেঞ্চুরি করেন সহজ ব্যাটিং উইকেটে। ৫৭৩/৪ তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় তারা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে মাত্র ১৪৭। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ভাবে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। কায়েস (৩২), মাহমুদুল্লাহ (৪৩) ছাড়া খানিকটা লড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর (২৬)। কিন্তু ৪২৬ রানে পিছিয়ে থেকে ফলো অন অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে এইটুকু প্রতিরোধে চিঁড়ে ভেজার কথা নয়। ভেজেওনি। ফল, বিরাট ব্যবধানে ইনিংসে হার ও ২ টেস্টের সিরিজে ২-০তে পর্যদুস্ত হওয়া।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে লিটন দাশ ৭০ রান করেছিলেন। দলের প্রায় অর্ধেক রান এসেছিল তাঁরই ব্যাট থেকে। উইকেট রক্ষক লিটন হয়তো সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলে বসেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁরা ৬০০ করতে পারেন। তুলে ধরতে পারেন প্রতিরোধ। কিন্তু তিনি নিজে ১৮ রানে বোল্ড হয়ে যান। আর তাঁর দলও উপমহাদেশের বাইরে লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের ধারাটা বজায় রেখে দিল।
বাংলাদেশীরা এবার ভারতের ক্রিকেটারদের সমালোচনা করাটা বন্ধ করুক যতই চিল্লাক না কেন বাংলদেশ ক্রিকেট এখনও ভারতের নখের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। বাংলাদেশের উচিত এখন ডান্ডাগুলি নিয়ে প্রাক্টিস করে নেপাল ভুটান এর সংগে ক্রিকেট ম্যাচ খেলা, সেখানেও জিততে পারবে কিনা সন্দেহ আছে
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৭