মানুষ সহজ বাপার কেন বুঝে না? আপনারা ইসলামের নবীকে ভালবাসেন কিন্তু আমেরিকানরা তো আর তাকে ভালবাসে না এবং ভালবাসতে বাধ্য না. আপনাদের দেশে আপনারা সারাদিন নবীর স্তুতি গাইতে পারেন কিনবা নবীর অসম্মান এর বিরুধ্যে আইন করতে পারেন, আমেরিকানরা বাধা দিতে আসবে না. কিন্তু তাদের দেশে তারা কি আইন করবে, কোনটা সহ্য করবে আর কোনটা কবে না, তা আপনাদের কথা মত করবে তা আপনারা মুসলিমরা কিভাবে আশা করেন?
একটা সহজ উদাহরণ দেই. বাংলাদেশে প্রতি বছর ঈদ উল আজহা তে হাজার হাজার গরু জবাই করা হয়. আপনারা জানেন গরু অনেক হিন্দু দের কাছেই পূজনীয়. এখন ভারতীয় হিন্দু লোকজন যদি বলে উঠে বাংলাদেশের যে গরু জবাই করা হচ্ছে তা তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করছে, এবং দাবি করা শুরু করে যে বাংলাদেশে আইন করে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হোক. আপনারা কি সেটা মেনে নেবেন? আপনাদের সরকার যদি সেই দাবি মানার চেষ্টা করে সেই সরকার কে কি আপনারা ক্ষমতায় থাকতে দিবেন? তারপরে যদি দেখেন ভারতীয় হিন্দু রা বাংলাদেশের গরু জবাই এর প্রতিবাদে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী দুতাবাসে আক্রমন করে বাংলাদেশী দূত সহ চার জন বাংলাদেশীকে মেরেই ফেলেছে এবং অন্যান্য ভারতীয়রা ওই মেরে ফেলাটার নিন্দা না করে বাংলাদেশে কেন এখনো গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না তা নিয়ে লিখে যাচ্ছে আর আন্দোলন করে যাচ্ছে, তাহলে আপনারা এই হিন্দু গুলো কে বর্বর ছাড়া আর কি বলবেন? তাদের বাপারে আপনাদের কি ধারণা হবে? মুসলিমদের কার্যকলাপে আজ বাকি পৃথিবীর সেইরকমই ধারণা হচ্ছে মুসলিমদের সম্পর্কে. কোনো মানুষের জীবনের চেয়ে কারো ধর্মানুভূতি বড় হতে পারে না. আপনার ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগলে আপনার হয়ত খারাপ লাগবে, মরে তো যাবেন না.
অনেকেই বলেছেন মা কে নিয়ে কেউ বাজে কথা বললে কেমন লাগত? অবশ্শই খারাপ লাগত. কিন্তু কোথাও আমার মা কে নিয়ে কেউ খারাপ বলেছে শুনলে আমি বড়জোর তাকে বা তার মাকে নিয়ে খারাপ কথা বলব. দা কুড়াল নিয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ব না. যদি পড়ি তবে আমি অবশ্শই একজন বর্বর হিসেবেই বিবেচিত হব এবং সেক্ষেত্রে শীঘ্রই দেখা যাবে বাকিরাও আমাকে আর আমার মা কে নিয়ে খারাপ কথা বলছে. কজনকে আমি কোপাবো? মুসলিমদের ক্ষেত্রেও এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে. ফ্রান্স জার্মানি সবাই নবীর ব্যাঙ্গত্মক কার্টুন বের করা শুরু করেছে. আপনাদের ধর্মানুভূতি যে বাকিরা শেয়ার করতে বাধ্য না তা দয়া করে বুঝুন.
অনেকে বলছেন মুভিটা ban করে দিলেই তো লেঠা চুকে যায়. উপরের উদাহরণটার আলোকে একবার ভাবুন, ভারতীয় হিন্দুরা বলল গরু জবাই নিষেধ করে দিলেই তো লেঠা চুকে যায়. আপনারা কি সেক্ষেত্রে লেঠা চুকাবার জন্য দেশে গরু জবাই নিষেধ করাটা মেনে নেবেন? অবশ্শি মানবেন না. কারণ ওটাই আপনাদের way of life. কারো ধর্মানুভূতির জন্য আপনারা সেটা কেন পরিবর্তন করবেন? তেমনি ধর্মীয় (এবং অন্যান্য বিভিন্ন) বিষয়ে total and complete freedom of speech হচ্ছে তাদের way of life. আপনাদের ধর্মানুভূতির কারণে তারা সেটা কেন পরিবর্তন করবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



