ভাবতেই অবাক লাগে আমি শ্রেষ্ঠ নবীন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে মনোনীত হয়েছি।কোনদিন ভাবিনি এমন একটা ব্যপার আমার সাথে হবে। ব্যবসা শুরু করেছিলাম খেয়ে পরে ঠিক ঠাক বেঁচে থাকার তাগিদে।খবরটি বাবাকে জানানোর জন্য অস্থির লাগছে। এজন্যই ছুটে যাচ্ছি বাবার সাথে দেখা করতে আমাদের গ্রামের বাড়ির শান্তিময় বাগানে যেখানে বাবা চির নিদ্রায় আছেন। ঢাকা থেকে দু'ঘণ্টার পথ। আমি ড্রাইভারকে নিয়ে একাই যাচ্ছি।যেতে যেতে অজান্তেই দুঃস্বপ্নের মত কিছু পুরনো স্মৃতি টেলিকাস্ট হচ্ছে চোখের সামনে । মনে পরে যায় বান্ধবীদের সবার একে একে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ।আমার বিয়েটাই আটকে ছিল অজানা কারনে। ব্যপারটি এমন নয় যে আমাকে কারো পছন্দ হচ্ছে না বরং পরিবারের সবাই কন্যা দান বেশ বুঝে শুনে করতে চাচ্ছিল, প্রথম কন্যা বলে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রস্তাব আসছে কিন্তু আমার থেকেও পরিবারের আপত্তিটাই বেশী ছিল । বোনেরা সবার আগে দেখবে ছেলের উচ্চতা কত, নাক বোঁচা অথবা দেখতে হ্যান্ডসাম কিনা। সে বিষয়ে চিন্তা করতে করতে কাউকেই তাদের দুলাভাই হিসেবে ভাবতে পারছিলো না । মায়ের এক কথা ছেলের ঘর বাড়ি এবং বংশ পরিচয় যেন কোন ক্রমেই আমাদের থেকে ছোট না হয়। মা জামাই পক্ষকে একটু উপরের দিকে দেখতে চান । তা না হলে খালাদের কাছে মা ছোট হয়ে যাবেন । বাবা কেমন জানি নীরব ছিলেন এ ব্যপারটিতে। আর এদিকে আমার স্বামী টাইপের কিছু হলেই চলবে।
এক্সপেক্টেট সময়ের চেয়ে একটু আগেই পৌঁছে গিয়েছি গ্রামের বাড়ি । দেরি না করে সাথেসাথেই চলে গেলাম বাবার কবরের পাশে । কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে বাবা আমার সাথেই রয়েছে। জায়গাটি এতো শান্তিময় আর নির্জন যে একটি পাতাও নীরবে ঝরে যেতে পারে না।পাতা ঝরার হাই ডেফিনেশন শব্দ সর্বাঙ্গ স্পর্শ করে। নিজেকে মুক্ত পাখির মত মনে হচ্ছে আজ । মনে হচ্ছে, ইচ্ছে করলেই এই তপ্ত দুপুরের খড়খড়ে মাটিতে প্লাবন নামাতে পারি আমি ।আমার হাতের মুঠোয় যেন আজ সবকিছু।জীবনের একটি অসাধ্য অর্জন হয়তো মানুষকে এভাবেই আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। মনের অজান্তেই নিজেকে অতি মানব ভাবতে শেখায়। কিন্তু হঠাৎ একটি দীর্ঘশ্বাস মনে করিয়ে দিলো, বাবা তো আমার এই শক্তি দেখে যেতে পারেনি। এক ফোঁটা চোখের জল শুকনো তপ্ত মাটিতে পরে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়, সাথে করে নিয়ে যায় আমার কষ্টগুলো ক্ষুদ্র আকারে, ধীরে ধীরে।
বাবা পরম শান্তিতে সুয়ে আছে এই শান্তিময় বাগানে , পাশে দাঁড়িয়ে কত কথা যে মনে পরে গেলো!
কে যেন ফিশ ফিশ করে বলছে, " পারু , এই পারু । "
কিন্তু কোথাও কেউ নেই। বাতাস বড়ই রহস্যময়, কী সব শব্দ যে বয়ে নিয়ে আসে !
চোখের কোণ ভিজে উঠছে বার বার । ঝাপসা চোখে পুরনো স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে চোখের সামনে । অনেক দিন পর আমার চোখ সামান্য ভিজে উঠেছে।বহু দিন ধরে কষ্টগুলো জামাট হয়ে মনের ভেতর দানা বেঁধে আছে। মনে হচ্ছে কতদিন কাঁদি না। জীবনের সর্ব শক্তি দিয়ে শুধু কাজ করেছি । কাঁদার জন্যও কিছু শক্তি লাগে, সে শক্তিটুকুও কাজে লাগিয়েছি ।আজও ঝর ঝর করে কাঁদতে পারছি না। আসলে আমি আর কাঁদতে চাইও না। ভেতরের যে জমাট বাঁধা কষ্টগুলো আছে সেগুলো থাক নাহয় নিজের মত। ওগুলো আমাকে এক অদৃশ্য শক্তির মত ধাবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে।
বেঁচে থাকতে মন খুলে সেভাবে কথা হয়নি বাবার সাথে। বাবার সাথে বেশ দূরত্ব ছিল, আর সেই দূরত্বের জায়গায় একটি ভয় জায়গা করে ছিলো সবসময়। বাবা ছিলেন শিক্ষক । সে সবসময়ই চাইতেন তার পাঁচ ছেলেমেয়ের মাঝে কেউ না কেউ তার মত শিক্ষক হোক। কিন্তু কেউই তার মত শিক্ষক হয়নি। তবে সামাজিক ভাবে পরিচয়যোগ্য কাজ আমি ছাড়া সবাই করছে। বাবা এরকমই ভাবতো ।আমার ফুলের দোকান দেয়াটা বাবার কোন দিনও পছন্দ ছিলো না। কিন্তু ঐ সময় কি বা করার ছিলো আমার। কিছু দিন একটি প্রাইভেট স্কুলে চাকরি করতাম ।সম্মানের চাকুরী কোণ সন্দেহ নেই , তবে বেশিভাগ সময়ই মাসের বেতন আসতো না। বড় বোন হয়েও হাত পাততে হতো অন্যান্য বড় বড় চাকুরীজীবী ভাই বোনদের কাছে। ব্যপারটি বেশ অসম্মানের ছিলো আমার কাছে।
আমার জীবনের মোর সম্পূর্ণ রূপে ঘুরে যায় দুই বছর আগে বিজয়ের সাথে পরিচয় হয়ে।বিজয় একজন ফটোগ্রাফার।ফুলের দোকানের সুবাদেই বিজয়ের সাথে পরিচয়।আমি তখন ফুলের দোকানের ফুলের কারবারি। ফুলের তোরা বানানো , বিয়ের গাড়ি সাজানো এবং বাসর ঘর সাজানো - এসব কাজ করি।ফুলের দোকান দিয়ে আমার বেশ ভালোই চলে যাচ্ছিলো ।প্রায়ই কোন না কোন অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে যেত বিজয়ের সাথে। আমাদের আগ্রহের জায়গা একই রকম ছিলো। শুরু হলো আমাদের যৌথ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস।আমাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির নাম রাখা হয় "বৈভব"। আমার দেয়া নামটি যদিও বিজয়ের খুব একটা পছন্দ হয়নি। তারপরও আপত্তি করেনি।আমাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিটি দারুন নাম করেছে। বড় বড় সব কাজগুলোই আমরাই পাচ্ছিলাম । আমাদের বৈভব প্রাচুর্যে টইটুম্বুর।
হঠাৎ নির্জনতা ভেদ করে কে যেন ডাকছে, " আফা , আফা ।" একটু পরেই দেখলাম আমাদের বাড়িঘর দেখাশোনা করে যে ছেলেটি পারভেজ সে এগিয়ে আসছে এদিকে। বলল -
" খাইবেন না আফা ? দুপুর তো প্যারায় শ্যেষ"
আমি তাকে জানিয়ে দিলাম একেবারে সন্ধ্যার সময় খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেব। আর আমি কিছুক্ষণ এখানেই থাকবো।
তারপর হাটতে হাটতে পুকুরের শানবাঁধানো ঘাটে এসে বসলাম। এই পুকুর পারে খুব একটা কেউ আসে না, পুকুরের একপাশে কবরস্থান।পাখিদের বিচিত্র সব শব্দ ছাড়া সেরকম কোন শব্দ নেই এখানে। মাঝে মাঝে কিছু শব্দ বাতাস ঠেলে নিয়ে আসলেও কেমন অদ্ভুদ নির্জনতায় থমথমে ভাব রয়েছে এদিকটাতে। ঘাটের সিঁড়িগুলো কেমন শ্যাওলায় ভরে গেছে। বাবা থাকতে এ ঘাট চকচক করতো। প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে দেড় দু'ঘণ্টা জার্নি করে আসতেন বাবা।
ঘাটের একপাশে চক দিয়ে কুত কুত খেলার ছক কাঁটা দেখে মনে পরে গেলো, কিশোরী বেলার বান্ধবীদের সাথে এক ভয়ংকর খেলার কথা। চক দিয়ে স্কুলের পাকা করা গ্রাউন্ডে ছক করে করে একেকটি ছকে একেকটি ইংরিজি অক্ষর লেখা হয়েছিলো আর একটি ছকে লেখা ছিলো "নো হাসবেন্ড"। পেছন ফিরে একটি গুটি ছুড়ে মারতে হবে আর যে অক্ষরে যার গুটি পড়বে সে অক্ষর দিয়ে তার হাসবেন্ডের নাম হবে বলে ধরে নেয়া হবে। একে একে সবার বিভিন্ন অক্ষরে গিয়ে গুটি পড়লো। কারো পরেছে A তো কারো K। এরকম আট বান্ধবীর সবার কোন না কোন অক্ষর পরেছে।আমার বেলায় "নো হাসবেন্ড"।সবার সে'কি হাসি! সেই থেকেই মনের ভেতর এক খটকা। প্রথম প্রথম ব্যপারটিকে খুব একটা পাত্তা দিতাম না। কিন্তু ভীতিটি ধীরে ধীরে বেশ পেয়ে বসেছিলো, যখন দেখছিলাম বান্ধবীদের সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ।
শেষ বারে যখন দোলনের বিয়ের অনুষ্ঠানে সবগুলো বান্ধবী তাদের হাসবেন্ড সহ গিয়েছিলো, কেউ কেউ তাদের বাচ্চা সহও গিয়েছিলো তখন নিজেকে পরিতাক্ত মনে হচ্ছিলো। জীবনকে কেমন যেন নিরর্থক মনে হচ্ছিলো, আর কানের মধ্যে বারে বারে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিলো ' নো হাসবেন্ড' , 'নো হাসবেন্ড'।
এজন্যই পাত্রের গুণাবলী নিয়ে খুব একটা চিন্তিত ছিলাম না আমি । শুধু একটা বিয়ে হোক সেটাই চাচ্ছিলাম।
যখন আমার বয়স আঠাশ ছুঁই ছুঁই তখন পরিবারের সবাই বেশ ক্লান্ত আমার জন্য যোগ্য পাত্র দেখতে দেখতে । বোনেরাও যার যার বিয়ের চিন্তায় মগ্ন। এবার আমার বিয়েটা হয়ে গেলেই সবাই যেন বাঁচে। আমার জন্য অন্যান্য বোন গুলোরও বিয়ে আঁটকে আছে। বেশ তাড়াহুড়ো করেই আমার বিয়েটা একজন কাস্টমস অফিসারের সাথে হয়ে গেল। ভালো পাত্র পেয়ে বাড়ির সবাই খুব খুশী। সারকারি চাকরি, বংশাবলীও বেশ ভালো। বাড়িঘরের অবস্থা অর্থাৎ সব মিলিয়ে সোনায় সোহাগা।দেরি করে হলেও বেশ ভালো পাত্র পেয়েছে পারু , এমনটিই সবাই বলছে।
তখনো কেন জানি বিশ্বাসই হচ্ছিলো না আমার বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হচ্ছে। কেমন যেন একটি স্বপ্নের ঘোরের মত সব ঘটে যাচ্ছে। যে স্বপ্নকে কন্ট্রোল করার কোন ক্ষমতাই আমার নেই।বরের দিকে একবার ভালো মত তাকিয়েও দেখিনি। শুধু অবাক হচ্ছিলাম বিয়েটা সত্যিই হচ্ছে!
বিয়ের পরপরই আমাকে নিয়ে সজল চলে যায় বেনাপোল ।বাবাকে কোন দিন কাঁদতে দেখেনি । আমার বিদায়ে বাবা ঝর ঝর করে কেঁদেই যাচ্ছে।
বিয়ের চার বছরের মাথায় দুই বাচ্চার মা হয়ে গেলাম। এতেও সবাই বেশ খুশী। কারন আমার বয়সটা একটু বেশীই হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি বাচ্চা না নিলে নানান কমপ্লিকেশন হবে।
এর পর বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় সজলের সাথে কিছুতেই মানাতে পারছিলাম না। দুই বাচ্চা নিয়ে চলে আসি ঢাকায় বাবার বাড়ি। সজল মাঝে মাঝে আসে বাচ্চাদের দেখতে কিন্তু আমাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা কখনোই বলে না। পরে জানতে পারি সজল তার পূর্ব সম্পর্কিত প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে তার এক বাচ্চা সহ। আমার এক বোন উকিল। সে চাচ্ছে মামলা করতে, কিন্তু আমি করতে দেই নি। কি হবে এসব মামলা করে। সজলের প্রথম স্ত্রি হসেবে রয়ে গেলাম বাবার দেয়া একটি ফ্ল্যাটে ঢাকায়। সবাই আমাকেই ব্লেইম করছিলো, আমিই নাকি স্বামী ধরে রাখার কৌশল জানি না। কিন্তু আমার কেন জানি কৌশল করে স্বামী ধরে রাখার ইচ্ছাটি ছিলো না কখনোই।
প্রথমে রাগ করে সজলের দেয়া কোন পয়সাই নিতাম না। একটি স্কুলে চাকরি করতে শুরু করি। কিন্তু এখানে আমার ভাগ্য প্রসন্ন হয়নি। জীবন যে কত কঠিন হারে হারে টের পাচ্ছিলাম । তারপর বাধ্য হয়ে সজলের পাঠানো টাকা নিতে শুরু করি। ছেলেমেয়ের ভরন পোষণ ঠিক ঠাক মত পাঠিয়ে দেয় আর আমি কোন প্রকার মামলায় যাইনি বলে আমাকে বেশ মোটা অংকের টাকা দিয়েছিলো সজল। সেটা দিয়েই শুরু করি ফুলের ব্যবসা বাবার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও। আমার কেন জানি মনে হয় বাবা আমার এই কষ্ট সহ্য করতে পারেনি বলেই চলে গেছেন ওপারে।
সজলের সাথে আলাদা থাকার তিন বছরের মাথায় আমার যখন পরিচয় হয় বিজয়ের সাথে তখন থেকেই সজলের চোখ পরে আমার দিকে।
সে কখনোই চাইতো না আমি কোন রকম কাজ করি বিজয়ের সাথে। সে আমাকে দূর থেকে শুধু করুণা করতে চেয়েছিলো, খুব কৌশলে আমাকে তার অধীন করে রেখেছিলো আমার অজান্তেই । কয়েকবার স্বামিত্ব ফলাতেও এসেছিলো। কিন্তু আমার জাদরেল উকিল বোনের কাছে বেশী দিন টিকতে পারেনি । নিজের সরকারী চাকরি বাঁচাতে শেষমেশ ডিভোর্সটা হয়ে গেল।
বাবার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার ডিভোর্স হওয়ার পরপর আমরা বোনেরা সবাই এসেছিলাম গ্রামের বাড়ি। সব বোনেরা তাদের স্বামী সহ এসেছিলো। আমি ছিলাম স্বামী বিহীন একা । উৎসুক গ্রামবাসী কয়েকজন জানতে চাচ্ছিলো বড় জামাইয়ের কথা। আমার মনে যখন ' নো হাসবেন্ড' ' নো হাসবেন্ড' ঘণ্টা বাজছিলো তখন মা আগ বাড়িয়ে বলল, " বড় জামাই সরকারী কাজে দেশের বাইরে গিয়েছে"। মার কাছে আমার ডিভোর্স এবং জামাইয়ের দ্বিতীয় বিয়েটা মেনে নেয়াটা খুবই কষ্টকর এবং লজ্জার ছিলো।
সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এসেছে। পুকুর পারটি পাখিরা যেন মাথায় করে নিয়েছে। সেকি কিচির মিচির শব্দ! পারভেজের বউ তার পাঁচ বছরের কন্যা নিয়ে আমার দিকে এসে বলল, " আফা, সন্ধ্যার সময় চুল মেলা দিয়া এই হানে বইসেন না, জায়গাডা বেশী ভালো না।"
আমারও সময় বেশী নেই। বেচারি আমার জন্য কষ্ট করে যা রান্না করেছে সেটা মুখে দিয়েই ছুটলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। পথে আমাকে চমকে দিয়ে হঠাৎ বিজয়ের ফোন।কিন্তু আমি ফোনটি ধরবো না। যে চলে গেছে সে তো চলেই গেছে, তার সাথে আমার আর কি বা কাজ থাকতে পারে! পৃথিবীতে কিছু মানুষ আসে শুধু কাজ করতে, ভালোবাসা দিতে, কিন্তু ভালোবাসা নিতে নয়। আমিও তাদের মধ্যে একজন।
গাড়ির জানলা একটু খুলে ফ্রেশ বাতাস নিয়ে ভিতরের যন্ত্রণা বের করে দিয়ে ছুটে চলি জীবনের অজানা কোন গন্তব্যে।
ছবিঃ গুগোল ইমেজ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪১