somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধক্ষেত্রে অযাচিত প্রবেশ আমাদের সকলের...

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সেই তো ন্যচারাল সিলেকশনের জন্যই আমারা অপেক্ষা করছি। এতো এতো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, উন্নত চিকিৎসা, আর্টিফিশিয়াল ইমিউনাইজেশন কোন কিছুই তো কাজে আসছে না। কিছু দিন যাবত শুনছি , এন্টিবায়োটিক ফুরিয়ে যাচ্ছে, এবং মানুষ এক অনিশ্চিত ভয়ংকর অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরকম মাহামারি গুলো হয়তো আসে সমগ্র মানব জাতির মাঝে ন্যচারাল ইমিউনিটি তৈরি করতেই। এই সময়গুলতে প্রকৃতি দুর্বলদের প্রতিহত করে মানুষের মাঝে ন্যচারাল ইমিউনিটি তৈরি করে দিয়ে যায়। এজন্যই কি একটি ভাইরাস প্রতিটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে পরখ করে নেয় কে কতোটা শক্তিশালী! শক্তিহীন হলেই তাকে আনফিট উপাধি দিয়ে বিদায় নিতে বলে এই উন্মত্ত হিংস্র পৃথিবী থেকে ! এভাবেই কি প্রকৃতি নির্বাচন করবে কার টিকিট আগে আর কার পরে! তবে সময় যার যখনি হোক , ভয় পেয়ে তেমন কোন লাভ নেই অথবা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ড্যাম কেয়ার এটিচিউট নিয়ে থাকলে তার জন্যও বিপদ অপেক্ষা করতে পারে।

ভয়, বিশ্বাস এবং করোনা ভাইরাস এই তিনটিই ভীষণ ভীষণ ভাবে সংক্রামক । আপনি যার কাছা কাছি বেশী থাকবেন সেটি দ্বারাই বেশী সংক্রামিত হবার সম্ভাবনা থাকবে। করোনা ভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যান্ডেমিক অর্থাৎ বিশ্বব্যপি এক সংক্রমিত রোগ হিসেবে চিহ্নত করেছে। কাজেই এই তিনটি সংক্রামক ভাইরাস থেকেই দূরে থাকতে হবে। তিনটি ভাইরাসের নাম আবারও বলছি ভয়, বিশ্বাস এবং করোনা ভাইরাস।

অতি মাত্রায় করোনা ভাইরাসকে ভয় পেয়ে যেমন নিজেকে রোগী বানানো উচিৎ নয়, আবার অতিরিক্ত অন্ধবিশ্বাসী অর্থাৎ করোনা ভাইরাস কিছু করতে পারবে না এমন ভাব নিয়েও অসতর্ক হয়ে থাকার আর কোন সুযোগ নেই। সেটা হয়তো ইতিমধ্যেই টের পাওয়া যাচ্ছে। ভয় যেমন আপনাকে পাথর বানিয়ে আপনাকে সতর্ক হতে বাঁধা দেবে, তেমনি অয়েতুক নির্ভীকতাও আপনাকে সতর্ক হতে বাঁধা দেবে। কাজেই যুদ্ধক্ষেত্রে যেহেতু অযাচিত প্রবেশ ঘটেই গেছে তাকে সঠিক পন্থায় প্রতিহত করাটাই উত্তম।

ভাগ্য যেদিকেই যাক চেষ্টা তো করতেই হবে । পরিনতি কোথায় কার কি হবে তা তো কেউই জানে না। জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থের হিসাব তো সৃষ্টিকর্তা আমাদের হাতে দেয়নি। সেটা যেহেতু অনিশ্চিত। তাই ঐ অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তা না করে যতটুকু ডিফেন্স যুদ্ধক্ষেত্রে নেয়া যায় সেদিকে খেয়াল দেয়া উচিৎ।

শুধু বলতে চাই ভোগান্তির অবসান ঘটুক, সবাই সুস্থ থাকুক এবং ভালো থাকুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×