®
এই ক্যাম্পাসে পড়তে হলে প্রেম করতেই হয়। কেও স্বেচ্ছায়, কেও অনিচ্ছায়। রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কিত ক্লাসমেটদের চাপ সবচে কম প্যাসকেলের চাপ ( SI পদ্ধতিতে চাপের একক প্যাসকেল)। সিনিওর ভাই, সিনিওর নেতা, ক্লাস টিচার এদের সাথে অনেক মেয়েই প্রেম করতে বাধ্য হয়। এ থেকে বাচার দুটো অপশন আছে। এক-কেও চাপ দেওয়ার আগেই নেতা টাইপের কারো সাথে প্রেম শুরু করা। দুই-ডিপার্টমেন্টের টিচার বা প্রভাবশালী সিনিওর ভাইকে আপন ভাই/বাপ বানিয়ে ফেলা।
-আপনি দেখতে সেইম আমার ভাইয়ের মত।
-তাই নাকি? তা কাঁদছ কেন?
-ভাইয়া আর নেই, বাইক এক্সিডেন্টে... হুহুহুহুহুহুহ। আপনাকে ভাই ডাকলে মাইন্ড করবেন?
®
দীপাবলি ছিল আমাদের ক্লাসের সবচে সুন্দরী সবচে বুদ্ধমিতি মেয়ে। অরিয়েন্টশন ক্লাসে ওকে প্রপোজ করতে গিয়ে বিরাট উপকার হয়েছিলো আবীরের। ঘেমে গায়ের জামাটা এতই ভিজে গিয়েছিলো যে ডিটারজেন্ট দিয়ে আধা ঘনটা ভিজিয়ে রাখা লাগেনাই। দীপ বুদ্ধিমতি মেয়ে। ডিপার্টমেন্টের দুর্ধর্ষ বড় ভাইয়ের সাথে আপন ভাই পাতিয়ে ফেলেছিল ক্যাম্পাসে পা দিয়েই। আবীরের সুযোগ হয়নাই আর এগুনোর।
®
বেশ কিছুদিন দীপাবলি একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। ঠিক মত ক্লাসে আসেনা, কারো সাথে কথা বলেনা। প্রাণোচ্ছল ভাবটা একদম হাওয়া। বন্ধুরা চেপে ধরলো, ঘটনা কি ? বলতেই হবে। এবার সত্যি সত্যি কান্না শুরু করলো মেয়েটি। যে হারামিটাকে ভাই বানিয়েছে সে এখন দীপাকে ভোগ করছে নিয়মিত। ভাইয়ের বাসায় চল, বলে মেসে ডেকে নিয়ে প্রথম দিন জোরপূর্বক। ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এখন নিয়মিত। এখন আর একা না, ভাইয়ের বন্ধুরাও যোগ হচ্ছে। দীপাবলি ইদানীং জন্মনিয়ন্ত্রক ব্যাগে নিয়ে চলাফেরা করে। এই কখন ডাক আসে...।