কবিমাত্রই প্রেমে পড়ে, প্রেম করে; আবার উল্টোটাও হয়, প্রেমে পরেও অনেকে মৌসুমী কবি হয়।
কিন্তু প্রেমে পড়াটা কবির জন্য আমোঘ নিয়ম; আর সে যদি হয় বাঙালী, তবে তো কথাই নেই।
স্বয়ং রবি ঠাকুরও নাকি এর থেকে উর্দ্ধে নন।
অন্যরা তো কোন ছার।
অনুরুপ এক বাঙালী কবি প্রেমে পড়িলেন, তিনি আবারও প্রেমে পড়িলেন এবং স্বয়ং নিজেকে অবাক করে দিয়ে আবারও প্রেমে পড়িলেন।
প্রতিবারই তার কলম ফল্গু ধারার মত কবিতা প্রসব করতে লাগল।
তার ডায়েরিতে বেশ কিছু রোমান্টিক কবিতা জড়ো হল সাথে সাথে পরিচিত মহলে 'কবি' হিসেবে তার পরিচিতি বাড়তে লাগল।
অবশেষে কোন এক অনিন্দ্য সুন্দরী তাকে জয় করতে পারল। এখন কবি আর বারবার প্রেমে পড়েন না।
আর এই সুন্দরী তার লেখা রোমান্টিক কবিতা পড়তে লাগল এবং বিমোহিত হতে থাকল। "ইস কত্ত রোমান্টিক!"
বিপত্তি বাধল তখনই, যখন সুন্দরী প্রতিটি কবিতার শানে নুযুল, পটভূ্মি ও ইতবৃত্ত'র ব্যাখ্যা দাবি করল।
কবি পড়ল মহাবিপদে, যখনই সে পটভূমি বলে তখনই তার প্রেমিকা রেগে যায়, এবং পুনশ্চ ব্যাখ্যার দাবি করে।
কবি আছে মহা ফাপরে। ভয়ে সে এখন আর কলমই ধরে না; আবার যদি ভেতর থেকে কবিতা বের হয়ে আসে, তবেতো আবার সেই পুলিশি জেরা।
"কি দরকার রে বাপ।
কবিতা ছাড়াইতো ভাল আছি।"
পুনশ্চ: এখন আর কবির কলম থেকে কোন কবিতাই আসে না। হয়তো তার কবি আত্মার মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৩