বলিউড মুভি "পাঠান" দেখলাম,
অবশ্য এটারে উপভোগ করা বলা যায়।
কিং খানের দীর্ঘ বিরতির পরের প্রজেক্ট।
মূলত সিনেমা দেখি, সময় কাটানোর জন্য, আই মিন ফুল এনজয়মেন্টের জন্য, আর নিজেরে ডিস্ট্রাক্ট রাখার জন্য।
সিনেমারে তখনই সফল বলব, সেইটা যখন আমারে ডিস্ট্রাক্ট করতে পারবে, এবং এই ডিস্ট্রাক্ট করার ক্ষেত্রে "পাঠান" ভালোই সফল।
পাঠান একটা পিওর বলিউড মাসালা মুভি, হেয়ার নাথিং সিরিয়াস।
ঐ যে কিছুদিন আগে আমরা পত্রিকার পাতায় পড়েছিলাম, এমবিএ পড়া ছেলেমেয়েরা বগলে ল্যাপটপ, হাতে নোটপ্যাড নিয়ে সিনেমার প্রডাকশন এ আসছে, তারা হিসেব নিকেশ করে, কিভাবে ঐ সিনেমারে ব্লকবাস্টার বানানো যায়।
এই ক্ষেত্রে সিনেমার জগতের অনেক পূর্বসূরীদের আফসোস ও দেখতে পাইছিলাম।
সেই মাসালা মুভির থিওরিতে একটা "ভারত মাতা কি জয়", দেশপ্রেম, খানিক প্রেম, একজন স্পাই, আরেকজন এক্স স্পাই এর দেশ বিরোধী কর্মকান্ড, একশান, সাথে দুইখান আইটেম ও হ্যা আরেকখান সুপারস্টার, এইবারে যা করতে হবে, দিতে হবে ঘুটা, যা আসছে ঐটা একটা পিওর মাসালা মুভি, এইটার প্লট, টার্ন আর টুইস্ট প্রেডিক্টেবল।
আসবে ট্রেলার, দেইখা খানিক বিতর্ক উস্কে দিবে।
ও হ্যা, বিতর্কের উর্ধে কিছু নাই, মনে পড়ে গেল, নেগেটিভ মার্কেটিং ইস দা বেস্ট।
সো বিতর্ক অবশ্যাম্ভাবী, খেয়াল রাখতে হবে, এই বিতর্ক যেন লিমিট ক্রস না করে, তাতে ব্যাকফায়ার করতে পারে।
মুভিতে আসি, "পাঠান"!
এন্ট্রি, প্রোটাগনিস্টের এন্ট্রি হবে সুপারহিরো এন্ট্রি।
পাঠান এর এন্ট্রি, সুপার হিরোইক, তবে এই ক্ষেত্রে খেয়াল করবেন তার ভয়েসের টেক্সটার, তার সেই চিরচেনা ফ্যাস্ফ্যাসে রোমান্টিক যক্ষ্মার রোগীর ভয়েস থেইকা পুরাই ইউটার্ন, এইটা ভাল্লাগছে, আসলেই!
শাহরুখ খানের বুইড়া হাড়ের যে একশন, মানে হ্যান্ড টু হ্যান্ড কম্ব্যাট সিন এর কথা বলছি, এই কোরিওগ্রাফিটা অসাধারণ, সাথে তার এক্সিকিউশনটা ন্যাচারাল ই লাগছে, আরোপ করা লাগেনি।
সিনেমা মূলত অডিটওরিয়াম এ দেখার মত বিষয়, বাংলাদেশ এ বসে সেটা দেখার সুযোগ তো আর নাই, হল প্রিন্ট দেখে নিলাম।
হল প্রিন্ট দেখার যে সুবিধা, আপনি বাসায় বইসা হলে দেখার ফিল পাইবেন, হলের দর্শকের উল্লাসধ্বনি, সিটি মারা এইসব আর কি।
যেমন ধরেন, শাহরুখ খানের এ্নট্রিতে হল ফাইটা পড়ল, উল্লাসে, সিটিতে, শিষধ্বনিতে, আবার ধরেন ট্রেন এ ভাই এর এন্ট্রি, ইউ গট টু খানস ইন আ ফাইট সিকোয়েন্স টুগেদার, গেস হোয়াট ক্যান হ্যাপেন ইন দা অইটোরিয়াম, জাস্ট কান ফাটানো উল্লাস।
মুভির মিউজিক অতটা ভালো লাগে নি, গান দুইটা তো না ই।
আর জন! আব্রাহামের কথা না বললেই নয়, ওর অভিনয় অতটা ভালো না, বাট এই মুভিতে সে ১টা ব্যাড এস ভিলেনের পার্ট এ দারুন করেছে।
দিপিকার চরিত্রটারে আরেকটু ভালো কইরা গড়া যাইত, তার ব্যাকগ্রাউন্ড ইতিহাস এর খানিক হিন্ট দেয়া আছে, বাট নট এনাফ।
সে যাই হউক, এইটা একটা পুরাই এন্টারটেইনিং মুভি, আই গট দ্যাট।
কিং খান কিং এর মতই কামব্যাক করেছে, ওয়েল ডিজার্ভড!
অনলাইন এ অনেকে ট্রল করছেন, এইটার অনেক দৃশ্য ই ঠিক লজিক্যাল না, মানে সায়েন্টিফিক না, আরে ভাই আমরা পাঠ্যবই থেকে সায়েন্স উঠাইয়া দিচ্ছি, আর মাশালা মুভিতে আপনারা লজিক খুজেন!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৫