
চাইলেই দু লাইন লিখে দিলাম
কাগজে পড়ে গেল দুই চার ছত্র
রক্তের ধারা যাচ্ছে ছুয়ে কলম
বিলায়ে দিচ্ছি খানিক যত্র তত্র
তীব্র অতীব্র স্রোত, জল গড়ায়
কল্পনা সম কামের ঝর্নাধারায়
পোয়াতি হলে মেঘ বৃষ্টি ঝড়ায়
গাওয়ের সুর ভাসে বাশুরিয়ায়
ভরা পূর্ণিমায় জোয়ার বান
ফুসে ওঠে ঢেউ তীব্র গর্জন
জলো-চ্ছ্বাস ভাঙার গান
ক্রোধ উন্মত্ত পসাইডোন
ঝোড়ো হাওয়ায় ওরে বালুকনা
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাঙে নদী তার
ভাঙে মৌন স্রোতে জলে কামনা
ভূমিকম্প আগাম চৌচির পাহাড়
চেপে থাকা ক্রোধ আর আগুন
দিলে বাস করে হাজার ফাগুন
সুপ্ত থেকে বাড়ে শত-সহস্র গুন
সুতীব্র চাপে এটমে বিস্ফোরন
এমনই হয়, অতল শীর শরীর
অন্তরের অ-তলে, কৃষ্ণ গহর
অজান্তে হারায়ে যাচ্ছি আধার
হচ্ছে নাই, জীবনের রুপান্তর
ঢেকে ওঠে ভেতর কু-ডাক
ডানা ভাঙা কইতর বাকুম বাক
গর্বিত ভংগিমায়, উচ্চ শীর
দানব ও সেই দানবের নীর
ভেঙে যায়, ফেটে যায়, চুরমার
ধ্বংস হয়ে প্রতিক্ষণে বেশুমার
নিজেরই আগুনে পুরে অংগার
এ দ্রোহে, তবু আশা বেচে থাকার
কাল বোশেখী ঝড় এ আগমন
হারায়ে যায় নিমিষে মনের গহীন
২৭ মাঘ ১৪২৯
১০ ফেব্রুয়ারি ২৩
রাত ১১.৫৫
শুক্রবার
মেহেন্দীগঞ্জ, বরিশাল
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




