ছবিঃ nightcafe.studio
মেহেদী সাহেব, একজন ইয়াং অফিসার, এনার্জেটিক, চটপটে,
কিছুদিন পূর্বেই ম্যানেজারের দায়িত্ব পেয়েছে,
এই দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে ও সমালোচনা কম হয় নি।
মেহেদী সাহেব সকল সমালোচনার জবাব তার কাজের মাধ্যমে দিয়েছেন ঈর্ষাতীত পার্ফর্ম্যান্স করে।
কর্তৃপক্ষ তার এই অভূতপূর্ব পার্ফর্ম্যান্সে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে আরও বড় দায়িত্ব দিয়ে
খুব বাজে ও ঝামেলা পূর্ণ শাখায় পোস্টিং দিল।
সেখানটায় সে ব্যাপক আকারে ঝামেলা পোহাল, স্থানীয় দালালচক্র, প্রশাসন,
রাজনৈতিক প্রভাব, চেয়ারম্যান, কমিশনার কেউই বাদ গেল না।
সে তার অবস্থানে অনড় ও সফল।
ইভেন সে একাধিক লাইফ থ্রেট ও মাড়ামাড়ি ও সফলতার সাথে সামলাল।
তার এই সফলতার পরে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ১ম বারের মত তার শাখা পরিদর্শনে আসা।
সকল কিছু পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি অর্জন করার পরে দুপুরের খাবার খেতে বসে আলাপটা একটু ব্যক্তিগত পর্যায়ে গেল।
বলে রাখা ভালো, ডিজিএম মহোদয়, একজন ধার্মিক, উদারমনা, সৎ ব্যক্তি হিসেবে খুব পরিচিত।
আজকের গল্প উপরোক্ত ঝামেলা বা অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে গল্প হচ্ছে না,
সে নাহয় অন্য কোন ও এক সময়ের জন্য তোলা থাকল; আজকের গল্প হোক বিশ্বাস নিয়ে,
মেহেদী সাহেবের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে।
ডিজিএম: আচ্ছা, মেহেদী সাহেব, আপনাকে একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি।
অফিসার: প্লিজ স্যার।
ডিজিএম: আপনি ইয়াং মানুষ, ইয়াং অফিসার, কাজেকর্মেও বেশ দক্ষ,
আইটি নলেজ ও আছে, মুখে দাড়ি আছে, পাঞ্জাবি ও পরেন, তা নামাজ পড়েন না কেন?
অফিসার: স্যার, এমনিই পড়া হয় না।
ডিজিএম: না, এমনি তো আর হতে পারে না, নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে,
নাকি আনিছ সাহেব।
আনিছ সাহেব: কারণ না থাকাই অস্বাভাবিক।
অফিসার: আসলে ঐরকম কোনও কারণ নাই।
ডিজিএম: ঐরকম নাই, কিছু একটা তো আছে, সেইটা ই শুনি (হাসতে হাসতে)।