somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকের মূলোৎপাটনঃ (৩য় পর্ব)

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চিত্রঃ এ আই

সেদিনকার মত আলাপ শেষ, অফিসের সকলেই অতি স্বাভাবিকভাবে
মেহেদী সাহেবকে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করল
যেহেতু, সে এই শাখার ইনচার্জ, এর ইম্প্যাক্ট আল্টিমেটলি সবার উপরেই পরবে।

উহার মাস দুয়েক পড়ে, বিভাগীয় আভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিষয়ক সভা
উপলক্ষে জেলা কার্যালয়ে মেহেদী সাহেবের গমন।

ডিজিএম এর রুম:

ডিজিএম: মেহেদী সাহেব, আপনি ঐদিন যে এক হিন্দু
ডাক্তারের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করলেন...
অফিসার: ঐ ডাক্তার হিন্দু?
সে তো আমি খেয়াল করি নাই।

ডিজিএম: ওনার পোস্ট ছিল, হুজুরেরা বেশী বেশী বাচ্চা নিতে উৎসাহ দেয়,
এর সমালোচনা করে, রাইট।
অফিসার: রাইট স্যার, এই অধিক জনসংখ্যা আমাদের জন্য অভিশাপ বলেই
আমি ঐটা শেয়ার দিছিলাম, ঐ ডাক্তার হিন্দু বলে না।
ডিজিএমঃ এই যে ফেসবুকে আছে…
অফিসারঃ স্যার দেখাতে হবে না, আমি জানি আমি ওটা শেয়ার করেছিলাম।
ডিজিএমঃ আপনি একজন হিন্দু ডাক্তারের লেখা মুসলিমদের বিপক্ষে,
সেটা শেয়ার করলেন?
অফিসারঃ তার লেখাটা তো মুসলিমদের বিরুদ্ধে না,
ডিজিএমঃ আমি তো দেখলাম, আমি কি মিথ্যে বলছি?
অফিসারঃ তার মূল লেখাটা ছিল জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ে,
অধিক সন্তান জন্মদান নিয়ে, কতিপয় ভেকধারী মোল্লা এইটারে প্রোমোট করছে,
সে এইটার কথা বলছে। সে একজন ডাক্তার,
তার প্রফেশনাল অবস্থান থেকে সে এইটা লিখছে।
ডিজিএমঃ সে কি তাদের হিন্দু ঠাকুরদের বিরুদ্ধে লিখছে?
অফিসারঃ সে যে আলাদাভাবে মোল্লাদের নিয়া লেখছে,
এইটা আমি আলাদা করে মার্ক করি নাই, আর হিন্দু ঠাকুরদের বিরুদ্ধে
লেখছে কিনা, সে জানা নাই।
ডিজিএমঃ এইখানে আপনার নিরপেক্ষতা কোথায় রইল?
অফিসারঃ লেখাটার মূল বিষয়, “জনসংখ্যার বৃদ্ধি”,
ধর্ম কখনোই ইস্যু ছিল না, সংগতকারণেই সেটা আমার ফোকাস ছিল না।

ডিজিএম: আপনি দেখি আজাহারি, ইব্রাহিম সাহেবকে নিয়া ও কি সব লিখছেন।
অফিসার: স্যার, তারা করোনা নিয়া যা বলছে আমি শুধু সেটুকুনই লিখেছি।
ডিজিএম: তারেক মনোয়ার কত জ্ঞানী একজন ব্যক্তি, জানেন সেটা আপনি। (চোখে মুখে প্রসংসা)
অফিসার: সে তো মিথ্যাবাদী, সে যেভাবে ইসলামের নামে মিথ্যাচার করে,
সেটা তো মারাত্মক অপরাধ।
ডিজিএমঃ তার অপরাধ নিয়ে আপনাকে লিখতে হবে না।
তাছাড়া, আপনি তো নামাজই পড়েন না, আপনি এই সব নিয়া কথা বলেন কেন?
(খুব রাগান্বিত ও উচ্চস্বরে, পুরো অফিস এখন শুনছে)
অফিসার: হ্যা, আমি নামাজ পড়ি না, তাই বলে এরা ইসলামের নামে যা খুশি তাই বলবে,
মিথ্যাচার করে যাবে, কিন্তু কিছু বলা যাবে না।
ডিজিএম: সে লাগলে আমরা বলব।
অফিসার: কিন্তু আপনাদেরকে তো মৌন দেখছি, বরং
আমি ইসলাম নিয়ে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বলায়, আপনি আমাকে থামাতে চাচ্ছেন।
বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তার আলোচনায় প্রবেশ,
এতক্ষণ পাশেই ছিলেন, শুনছিলেন।
বিনীকা: ঐ মিয়া, আপনি তো নামাজ ই পড়েন না,
আবার আইছেন, মাওলানাদের নিয়া কথা বলতে,
একজন নামাজী রিক্সাওয়ালা বলতে পারবে,
বাট আপনি বলতে পারেন না। (রাগত ও উত্তেজিত স্বরে)
অফিসার: মানে কি!
একজন অযোগ্য রিক্সাওয়ালা কি বলবে,
তার তো সেই জ্ঞান ই থাকার কথা না, আর আমি বলতে পারব না!
ডিজিএম: না, আপনি কথা বলবেন না, ও লিখবেন ন।
অফিসারঃ ব্যাপারটা এমন হয়ে যাচ্ছে না, একজন রিক্সাওয়ালা ব্যাংকিং সেবা
ও এর দুর্বলতা নিয়ে কথা বলবে, বাট একজন ব্যাংকার বলতে পারবে না!
ডিজিএমঃ না, আপনি বলতে পারবেন না। (হুমকির সুরে)

খানিক পরে, মেহেদী সাহেবের উপলব্ধি হল, ব্যাপারটা খুব বাজে পর্যায়ে পৌছে গেছে, খুব বাজে পর্যায়ে।

অফিসার: স্যার, এতক্ষণ আমি আপনাদের সাথে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম,
বাট সেটা শেষ মুহূর্তে যেভাবে এস্কেলেট হইল,
এইটায় তো আমি এখন উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতা ফিল করছি।
ডিজিএম: আপনি ফেসবুকে আর কিছুই লিখবেন না, কোথাও কিছু বলবেন না,
আপনাকে কেউই কিছুই বলবে না।

মেহেদী সাহেবকে কি কেউ কিছু বলেছিল?
জানেন কিছু আপনারা...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×