বাল্যকালে আমাদের স্বপ্ন ছিল অনেক, কে কি হবো তার, যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার।
স্বপ্নগুলো অবশ্য আমাদের ছিল না, ছিলা আমাদের মাতাপিতার। অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের পূরণ না হওয়া স্বপ্ন আমাদের দিয়া পূরণ করাতে চাইছেন, আবার অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের সোশ্যাল স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য আমাদের স্বপ্ন ঠিক করে দিতেন।
না, এই স্বপন ঠিক করে দেয়া বা দেখায়া দেয়ারে খারাপ বলছি না, বরং ভালো, একটা গোল থাকে অন্তত।
আমরা এই জাতীয় বিবিধ স্বপ্ন দেখতে দেখতে বড় হইতে থাকলাম, আর ধীরে আমাদের সামনে পৃথিবী নতুন করে উন্মোচিত হইতে থাকল।
প্রতিটা দিন ই আমাদের সামনে দিগন্ত গতদিনের থেকে বড় হয়া দেখা দিতে লাগল, সেই সাথে বেড়ে গেল আমাদের দেখা ও বোঝার দৃষ্টিসীমা।
এই নতুন পাওয়া দৃষ্টিসীমায় আমাদের সামনে আর ও নতুন জগৎ আসল, উন্মোচিত হল, আর ও নতুন নতুন স্বপ্ন।
আর আমরা ও নতুন নতুন স্বপ্নর পেছনে দৌড়াইতে লাগলাম।
একটা সময় অবধি মানুষের জীবনের ট্রাঞ্জেকশন হইতে ছিল বেশ স্লো প্রসেসে, বাট জ্যামিতিক হারে।
এই জ্যামিতিক হারের পরিবর্তনের সাথে আমাদের স্বপ্ন খুব সামান্য লোকই ছুইতে পারলাম, তথাপি, আমরা আমাদের জীবনে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় দাড়ানোর পর্যায়ে...
আর এইখানে আইসা দিগন্তের কোনও এক কোনায় আইসা দাড়াইল নতুন গন্তব্য, সেইটা হইল মানুষ! হওয়া
অর্থাৎ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জজ ব্যারিস্টার হওয়াটা মুখ্য কোনও বিষয় না, আমাকে মানুষ হইতে হবে।
জীবনের এই পর্যায়ে আইসা আমরা দ্বিধায় পইরা গ্যালাম, আমরা আসলে কোনটা হবো, মানুষ নাকি ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, এক কথায় পেশাজীবি।
এই দ্বন্দ্বে আমরা না হইলাম মানুষ, না হইলাম পেশাজীবি, হইলাম এর মাঝামাঝি কিছু একটা, সেইটা ন-মানুষ!
প্রশ্ন জাগে, এই পেশাজীবিরে মানুষ থেকে আলাদা করল কে বা কারা আর কেন?
একজন ব্যক্তি, সে কি একই সাথে মানুষ ও পেশাজীবি হইতে পারে না?
মানুষ আমরা তাকেই বুঝি, যার মাঝে মানবীয় গুনাবলী বিদ্যমান, তার সাথে তার পেশাগত যোগ্যতা তাকে মানুষ হিসেবে আর ও অধিক যোগ্য করে তুলবে।
তার পেশাগত দক্ষতা দ্বারা সে মানুষ ও প্রকৃতির জন্য কাজ করবে।
সেটা না হয়ে এখানে মানুষ ও পেশাজীবি আলাদা হয়ে গেল!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২১