somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোল্ড অন!

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

থুথু যতক্ষণ নিজের গায়ে না পরে, অন্যের গায়ে পরে, ততক্ষণ ঠিক আছে;
নিজ গায়ে পরলেই না বিপত্তি বা আপত্তি।

যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে তারা নিষ্পাপ না, একদমই না, ফুলস্টপ!

এই আপাত বা অনাপাত দৃষ্টিতে পাপী লোকগুলো যখন কোনও রাষ্ট্রীয় কাজে যায়, তখন তারা কি কি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, সে সম্বন্ধে কিছু ফার্স্টহ্যান্ড ও সেকেন্ড হ্যান্ড অভিজ্ঞতা আছে।

দুয়েকটা উদাহরণ দেই:
★ এই প্রতিষ্ঠান এ আমার আসা যাওয়া সেই ১৯৫৩ সাল থেকে
★ আমার অমুক এখান, সমুক ওখানে
★ আমি ওমুক
★ অনকে ত হইল অভিজ্ঞতা
★ Do u know... Bla bla (ইংরেজি ছুড়ে শায়েস্তা করা)
★ কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণ
★ নিজের সন্তান/ কাছের কাউকে ছোট করে সম্মুখের ব্যক্তিকে তেল ⛽ দেয়া
★ আপনার কথা অনেক ভালো শুনেই আসছি
★ আগে ত আসতামই না, আপনি আছেন বইলাই
★ আপনার মত লোক থাকলে দেশই পাল্টে যেত
★ অনেক সুপারিশ
★ নগদ নারায়ন অফার

এর প্রত্যেকটা কাজই করে মূলত খানিক সুবিধা নেয়ার জন্য, এবং

এসবে কাজ না হলে,

★ উর্ধ্বতন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ
★ সরাসরি ধমক দেয়া এমনকি হুমকি প্রদান
★ ট্রান্সফারের হুমকি
★ রাস্তায় বের হইলে দেখে নেয়ার প্রকাশ্য হুমকি
★ পরিবারের উপর হামলার হুমকি
★ এমনকি হামলা (গত সপ্তাহে কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার এর উপর হামলা, খেলাপী ঋণের মামলায় খেলাপী জেল খাটছিল বইলা)

যদি ২য় ধাপের কোনো টায় আপনি একবার পরেন, সে আপনারে তার আর ও অনেক কইরা দেয়ার জন্য সুপারিশ, চাপ দিতে থাকবে, আজীবন মেয়াদ।

যতক্ষণ, আপনি তার কথা শুনবেন, রাখবেন, আপনি ভালো, খুব ভালো এবং সেফ, নইলেই

এবং শুরু থেকেই যদি আপনি এর বিপক্ষে কঠোর অবস্থান গ্রহন না করে, আখের মত কইরা আপনারে মেশিনে ছিবড়ে রস বের করা হবে

সেফটি মেকানিজম থেকে, শুরু থেকেই এসব আচরণের কাউন্টার দিলে সম্ভাবনা আছে এটলিস্ট কোমড় সোজা কইরা দাড়ায়া থাকবেন, আদারওয়াইজ, যদু মধু আইসা ধমকাইব

★ শক্তের ভক্ত নরমের যম!

ভাবতাছেন, ওয় ত দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, হ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওয় যা পায়, বর্তমান সময়ে ওতে চলা টাফ, আর এত চাপ হুমকি ধামকি ট্যাকল দেয়ার সাহস, মানসিক শক্তি সবার থাকে না, এবং ঝামেলায় পরলে মাশাল্লাহ পুরা দুইন্যা ওর বিপক্ষে, বানী অবতীর্ণ হয়, "ম্যানেজ কইরা চলতে পারে না", সো আপোষে যাওয়া ই ওর জন্য ভালো, সব দিকই রক্ষা হইল, উহা বড্ড প্র‍্যাক্টিক্যাল!
উহাতেই নিহিত ত্রিজাহানের শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য।

তথাপি ও যদি সে খানিক সোজা হয়া না দাড়ায়া কথা কয়, দেখা যাইব, ওরে কইব, মাগীর মাউল্লা, বিচিহীন

পার্ট ২ঃ
সাধারনের মধ্যে অ-সাধারন জনগন খেপল ক্যান!?
তারা নিজেরে ঐখানে ঐ মুরব্বির যায়াগায় নিজেগো রিলেট করছে, যেহেতু তারা সাধারনের মধ্যেও অ-সাধারন, এবং তারা সব যায়াগায় ঐরাম টুকটাক বা বেশী ব্যাকলাশ বা ঝাড়ি পেয়ে থাকেন, এমনকি ঐ মুরব্বি বা তার মতন লোকদের নিকট থেকেও ঝাড়ি পেয়ে থাকেন, তাই তার মনে হইছে, আরে এইটা ত আমি, আমারে এইভাবে কইতারল!

এবং, উক্ত ব্যক্তি বয়সে মুরব্বী, দাড়ি পাকনেওয়ালা, হাজ্বী সাব ও হইতে পারে, ২য়ত, উক্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, একে ত বয়সে নবীন, ৩য়ত, কর্মকর্তা, লাস্ট বাট নট লিস্ট, সে সাবেক এক স্বর্ণময় অতীতের সাক্ষী বর্তমান অপছন্দনীয় এক ছাত্র সংগঠনের সাবেক কর্মী, বিরোধিতা করার জন্য এর থেকে পার্ফেক্ট কম্বিনেশন আর হয় না!

সে বিরোধিতা যদি এই অ-সাধারন সাধারণ জনগনের জন্য কাজ করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়, তাতে ও বা কি!

এই যে মুক্ত বাজার অর্থনীতির কথা কচ্ছেন,
এই সূত্রে বাজারে পন্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঠিকাছে, আসলে সঠিক আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×