বেদনাকে বলি, তুমি হাসো, প্রান খুলে হাসো
ঘোমটা খুলে হাসো, রেখে লাজ দূরে সরায়ে
চোখের মুখের পর্দা ছুড়ে ফেলে, হাসো
লোকে কি বলবে, ভেবো না,
লোকে কি ভাববে, ভেবো না
ভেবো না, তোমারে নিয়া কোথাকার কোন কবি
কোথাকার কোন নবি, বলে গেছে কোথায় কি
কোন গায়ক গেয়ে গেছে তোমার বদনাম!
কোন গল্পকার, তার চরিত্ররে করেছে নীলাম্বরী
নীল! বলে তোমার দুর্নাম বা সুনাম, বিশ্বব্যাপী,
উপভোগ করো, ওরে তাড়িয়ে তাড়িয়ে
যেখানে কবির কালো কলমে তুমি নীল
চিত্রকরের রঙীন তুলিতে তুমি নীল
রঙহীণ বেদনাতে তুমি নীল!
তুমি নীল! সাগরের মত, বিশাল, কূলহীন
তুমি নীল! নীলাকাশ সীমাহীন! দৃষ্টিতে
তুমি নীল! বাতাসের বেগে, ঝড়েতে
তুমি নীল! অসময়ে অফুরন্ত সময়
তুমি নীল! চোখের তারায়, বাবার- মায়ের
তুমি নীল! চোখের তারায়, প্রেমিকার
তুমি নীল! চোখের তারায়, বোনেদের
তুমি নীল! চোখের তারায়, সোনামনিদের
বেদনাগো, তোমার ক্রুর হাসি, চাবুকে
সপাং সপাং শব্দ যেন: বুকে, পিঠে, মনে
কেটে যায় গভীর, খুব গভীর: চির অমোচনীয়
দাগহীন, চিহ্ন হীন সে দগদগে ক্ষত
বেদনা, তুমি মহান কত!
আঘাত দাও, কষ্ট দাও, দাও বেদন
হাসিমুখ, হাসিমুখে চালাও ছুড়ি হৃদয়পুরে
বোঝে না কেউ, দেখে না কেউ সে রক্তক্ষরণ
বেদনা, তোমার দেয়া উপহার
বাস, খুব নিরবে ভেতরে আমার
ভাগ্যিস দেখে না কেউ, দেখলে বরং
প্রলেপ দিত ওরা লংকা-নুন
বেদনা, তোমারে ছুয়ে রাধা লিন কৃষ্ণে
বেদনা, তোমারে ছুয়ে কালো মানিক কেষ্ট ঠাকুর
কৃষ্ণ ও হয়ে যায় নীল,
ভূমিপুত্র কৃষ্ণ, হয়ে ওঠে আর্য্য-ভগবান
বেদনা, ছুয়ে তোমার ঠোটে ঠোট,
পান করি হেমলোক
এভাবে নীল হয়ে যাই, সব দেনা চুকিয়ে
এভাবেই বেদনার রঙ নীল, বেদনার রঙ নীল
সকাল ৯.০০ টা
বুধবার
দশমিনা, পটুয়াখালী
২৭ মার্চ ২৪
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৪