somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামের নামে রাজনীতি কতটুকু ইসলামসম্মত?

২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ ও এই উপমহাদেশসহ সারা পৃথিবীতে ইসলামের নামে যে আন্দোলনগুলো প্রচলিত রাজনীতিক প্রক্রিয়ায় কাজ করছে সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে ইসলামিক মুভমেন্ট বা ইসলামী আন্দোলন। এগুলো আসলে কী? কয়েকশত বছর আগে বিশ্বের মুসলিম এলাকাগুলো ইউরোপীয় খ্রিষ্টান জাতিগুলোর পদানত হয়। এই দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বহুভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মীয় চেতনার ভিত্তিতেও আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। প্রভুরা তাদের উদ্ভাবিত যে রাজনীতিক প্রক্রিয়াগুলো এ জাতির উপরে চাপিয়ে দিয়েছিল, ইসলামিক আন্দোলনগুলোও সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের কার্যক্রম নির্বাহ করতে শুরু করল। এগুলো ছিল মূলত কয়েকশ বছরের গোলামি থেকে জাতিকে উদ্ধার করে ইসলামী শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ।
হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী কথিত এই আন্দোলনগুলোর প্রসঙ্গে বলেছেন যে, প্রথমত তারা যেটাকে প্রতিষ্ঠার করার জন্য চেষ্টা করছে সেটা আল্লাহ রসুলের ইসলামই নয়। সেটা হল ১৩০০ বছরের বিকৃতির ফসল হিসাবে যে ইসলামটা এ জাতির হাতে এসেছে সেই ইসলাম। উপরন্তু ব্রিটিশরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে তাদের নিজেদের তৈরি সিলেবাস ও কারিকুলামের মাধ্যমে তাদেরই তৈরি একটি বিকৃত ও বিপরীতমুখী ইসলাম এ জাতিকে শিক্ষা দিয়েছে শতাধিক বছর ধরে। ব্রিটিশরা তাদের জাতীয় জীবন থেকে ধর্মটাকে বাদ দিয়ে নিজেদের সামষ্টিক জীবন পরিচালনা করছে। তারা পুঁজিবাদী সুদভিত্তিক অর্থনীতি অনুসরণ করছে। তারা ব্যক্তিগত জীবনে খ্রিষ্টধর্ম ইত্যাদি পালন করছে কিন্তু জাতীয় জীবনে ধর্মের কোনো বিধান তারা মানতে অস্বীকার করছে। তাদের অনুকরণে মুসলিম জনগোষ্ঠীটিও ইসলামে যে জনকল্যাণ মূলক রাষ্ট্রনীতি রয়েছে তা বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নামায, রোযা, হজ্ব ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের মতোই আরেকটি ধর্মে পরিণত করে ফেলেছে। কিন্তু ইসলাম তো তা নয়, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যেটা মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এ জাতিকে সম্পূর্ণরূপে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসান আল বান্না, সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী, আল্লামা কারযাভী প্রমুখ আলেমগণ আবার এ কথাটি এ জাতিকে মনে করিয়ে দিলেন। তারা বললেন, না ইসলাম একটা দীন, জীবন ব্যবস্থা। ইসলামে রাষ্ট্রনীতিও আছে, সমাজ নীতিও আছে, জীবনব্যবস্থার মৌলিক নীতি যা লাগে সবই আছে। এই ধারণাটিকে তারা পূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টা (উবাবষড়ঢ়) করলেন। এটার জন্য অবশ্যই তারা প্রশংসার দাবি রাখেন। কিন্তু পশ্চিমা প্রভুদের শেখানো ধাপ্পাবাজির রাজনৈতিক সিস্টেম মিথ্যাপূর্ণ, সেই সিস্টেম ধারণ করলে সত্যের সঙ্গে মিথ্যার মিশ্রণ না ঘটিয়ে উপায় থাকে না। এজন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনে আল্লাহর সত্যদীন পশ্চিমা কায়দায় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সূত্রপাত ঘটল ইসলামের নামে এক কাল অধ্যায়ের। শুরু হলো ইসলামের নামে ধাপ্পাবাজির রাজনীতি, তারা মুখে ইসলামের নাম বললেও কার্যত জনগণের ধর্মবিশ্বাস তথা ঈমানকে পুঁজি করে, ঈমানকে মিথ্যা দ্বারা প্রভাবিত করে ক্ষমতালাভের পাঁয়তারা শুরু করল। ‘ইসলামের রাজনীতি আছে’, ‘জেহাদ মানেই কৌশল, হেকমত’ ইত্যাদি কথাকে হীনস্বার্থে ব্যবহার করে প্রতারণামূলক রাজনীতি ইসলামসিদ্ধ নয়। এ জাতির ইসলামী চেতনা ব্রিটিশদের যাঁতাকলে ২০০ বছর পিষ্ট হয়েও পুরো জাতিটা কিন্তু মরে যায় নি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে, জাতীয় পর্যায়ে, শাসনকার্যে ইসলামকে পূর্ণ রূপে দেখার, ইসলামের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনার একটি আকাক্সক্ষাা ও আকুতি একটা শ্রেণীর মধ্যে ছিল, সেটি এখনো আছে। সেই শ্রেণিটির ঈমানকে কার্যত হাইজ্যাক করেছে এই ইসলামী রাজনীতির নামে গড়ে ওঠা দলগুলোর নেতৃত্ব। তারা মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন যে, আমরা ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে যাব। ফলে ইসলামী আন্দোলনের নামে লক্ষ লক্ষ তরুণ তাদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে দিয়েছে আল্লাহর দীনের জন্য। তারা বুঝতে পারে নি যে, গন্তব্য বা উদ্দেশ্য সঠিক থাকলেও পথ ভুল, ভুল পথে কখনো গন্তব্যে পৌঁছা যায় না। পথ যে ভুল তা দলের নেতৃত্ব তাদের বুঝতে দেয় নি, নিজেদের স্বার্থে ঈমানী চেতনাকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। ফলে লক্ষ কোটি মানুষ ইসলামের নামে ধাপ্পাবাজ রাজনীতির স্বীকার হয়েছে। কোন রাজনীতি? যে রাজনীতি পশ্চিমা প্রভুরা তৈরি করেছে। এই সিস্টেমের যে বিষয়গুলো ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তার প্রথমটি হচ্ছে প্রার্থী হওয়া।
কোনো পদের জন্য প্রার্থী হওয়া ইসলামের প্রথম অযোগ্যতার শর্ত। এ বিষয়ে অনেক হাদীস আছে এবং এটা রাজনীতিক দলের নেতৃবৃন্দ সেগুলো জানেন কিন্তু সেগুলোর অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে প্রচলিত রাজনীতির নিয়ম মেনেই প্রার্থী হন। অথচ আল্লাহ বলেছেন, সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মিশ্রিত করবে না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করবে না (সুরা বাকারা ৪২)। ওমর (রা.) এর মনোনয়নের পূর্বে গঠিত মজলিশে শুরার দ্বারা খলিফা মনোনয়নের পদ্ধতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সঙ্গে ইচ্ছা করে তালগোল পাকিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে ইসলামি দলের প্রার্থীও বলছে, আমি যোগ্য, আমাকে ভোট দাও। এইভাবে নিজের যোগ্যতা বলাই হল ইসলামে প্রথম অযোগ্যতা।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, প্রতিপক্ষের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে অস্পষ্টতা। ইসলামিক দলগুলো যে গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সেই দলগুলো কি মো’মেন না কাফের তা সুস্পষ্ট করা হয় না। যেহেতু আল্লাহর রসুল কোনোদিন মার্কা নিয়ে ভোটাভোটি করেন নি তাই সাধারণ মানুষকে বুঝ দেওয়ার জন্য বলা হয়ে থাকে নির্বাচনই এখন জেহাদ, ব্যালটই এখন বুলেট। আল্লাহর রসুল জেহাদ করেছেন কাফেরের বিরুদ্ধে, হোদায়বিয়ার সন্ধিও করেছেন কাফেরের সঙ্গে সুতরাং ভোটযুদ্ধও কি কাফেরের বিরুদ্ধে হবে না? ইসলামের নীতি যার বিরুদ্ধে লড়াইতে অবতীর্ণ হতে হবে তাকে অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে কাফের বা ইসলামের শত্র“ হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে, তারপর সেখানে ইসলামের মূলনীতি বর্তাবে। কারণ সংঘাতরত উভয়েই যদি মোমেন হয়, তাহলে একে অন্যের বিরুদ্ধাচারণ করা কুফর, উভয়েই ইসলাম থেকে বহিস্কৃত। কিন্তু প্রতিপক্ষকে কাফের বলার মতো সৎ সাহস আজ পর্যন্ত কোনো ইসলামী রাজনীতিক দল দেখিয়েছে কি? না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেন আবার একটু পরে একই সঙ্গে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়েন, নিজেদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়েন যেন ক্ষমতার পালাবদলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঠিক থাকে। লড়াইতে হেরে গেলে আবার প্রতিপক্ষের দলে যোগদান করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এই ধাপ্পাবাজির রাজনীতিকে ইসলাম বলা আল্লাহ ও রসুলের উপর অপবাদ আরোপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
তৃতীয় প্রতারণা হল জনগণকে মিথ্যা ওয়াদা প্রদান। আমাকে ভোট দিলে এটা করব সেটা করব এভাবে বহু ওয়াদা করা হয় কিন্তু বাস্তবে সেটা করা হয় না। গণতান্ত্রিক রাজনীতির রীতিই হচ্ছে সেখানে চলে বেসুমার মিথ্যার বাণিজ্য। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ইসলামিক দলগুলোও এই মিথ্যা আর ওয়াদা খেলাফের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়। ভেজাল পণ্যে যখন বাজার সয়লাব তখন সৎ ব্যবসায়ীও অস্তিত্বের স্বার্থে অসৎ হতে বাধ্য হন। আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন, নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করে ও কসম খেয়ে (ওয়াদা) তার বিনিময়ে তুচ্ছ পার্থিব স্বার্থ হাসিল করে, পরকালে তাদের কিছুই থাকবে না, আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে দৃষ্টি দেবেন না, এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না। তাছাড়া তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সুরা আল ইমরান-৭৮)
রসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি নিজের কসম (ওয়াদা) দ্বারা কোন মুসলমানদের সম্পদ কুক্ষিগত করতে চায়, সে নিজের জন্য জাহান্নাম অবধারিত ও জান্নাত হারাম করে ফেলে। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রসুল (স.) যদি তা খুব নগণ্য জিনিস হয় তবুও? তিনি বললেন, যদি একটা গাছের ডালও হয় তবুও (মুসলিম, নাসায়ী, ইবনে মাযাহ)।
ইসলামের নামে চলমান রাজনীতিতে ইস্তেহারের মধ্যে প্রদত্ত শত শত অঙ্গীকার ক্ষমতায় গেলে ভুলে যাওয়া হয়। আবার দলগুলোর নেতৃত্ব কর্মীদেরকে জেহাদের আহ্বান করে ওয়াজ করেন আর নিজেরা রাজার হালে আরাম-আয়েশের মধ্যে জৌলুসপূর্ণ জীবনযাপন করতে ভালোবাসেন। তারা নিজেদের ছেলে মেয়েদেরকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে পড়ান। আন্দোলনের চেয়ে আর্থিক সমৃদ্ধি, চাকুরি, ব্যবসা ইত্যাদিই তাদের মূল ব্যস্ততার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে জঘন্য মিথ্যা হলো যে মিথ্যা ধর্মের নামে করা হয়। পলিটিক্যাল ইসলামিস্টরা এই জঘন্য মিথ্যাটিকেই তাদের রোজগারের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছেন। কার্যক্ষেত্রে পলিটিক্যাল ইসলাম তাই একপ্রকার ধর্মব্যবসা ছাড়া কিছুই নয়।
চতুর্থ প্রতারণা হল টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা, এটা ঘুষ ও হারাম। তাছাড়া ইসলামে অন্ধ বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। যে বিষয়ের ভালোমন্দ সম্পর্কে কারো জ্ঞান নেই, সেটা অনুসরণ করাকে ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ মানুষের চোখ, কান ও বিবেককে প্রশ্ন করবেন (বনি ইসরাইল ৩৬)। টাকা বিনিময়ে ভোট দেওয়ার চেয়ে বড় অন্ধত্ব আর হতে পারে না। মানুষকে আল্লাহ দৃষ্টি দিয়েছেন সে পরীক্ষা করে দেখবে, কান দিয়েছে শুনবে, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করবে। তারপর যেটা সত্য, ন্যায় সেটা করবে। তার বুদ্ধির বেশি পুরস্কার কখনোই তাকে দেওয়া হবে না। সেখানে ভালোমন্দ যাচাই না করে শুধু টাকার কাছে মাথা বিক্রি করতে প্ররোচিত করার প্রক্রিয়া ধাপ্পাবাজের রাজনীতির অন্যতম কৌশল। সে রাজনীতিটা ইসলামিক দলগুলো নিয়েছে।
পঞ্চম প্রতারণা হলো, গণতান্ত্রিক রাজনীতির মত মিছিল, মিটিং, ঘেরাও, ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও, সাধারণ মানুষের জীবন-সম্পদকে জিম্মি করে আন্দোলন ইত্যাদি সিস্টেমগুলো আজ ইসলামী আন্দোলনের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলো ইসলামে অনুমতি দেয় না। এগুলো ইসলামে নেই। আল্লাহর রসুল মক্কায় থাকতে অর্থাৎ রাষ্ট্র গঠনের আগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধ ঘোষণা করেন নি। অন্যদিকে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে একবারও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াওয়ের কর্মসূচি নিয়েছেন এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেন না। রসুল তা করেন নি, কারণ এটা হচ্ছে সন্ত্রাস। ইসলামের নীতি হল সত্য ও মিথ্যা মানুষের সামনে উপস্থাপন করা এবং সত্যের পথে যারা আসবে তাদেরকে দৃঢ়তার সাথে সংগঠিত করা। একটা পর্যায় আসবে যখন সত্য বিজয়ী হবে। সত্য বিজয়ী হতে গেলে মিথ্যার সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাত হবে, সেটা হল যুদ্ধ, জেহাদ, কেতাল। সেটার জন্য একটা রাষ্ট্রীয় কাঠামো লাগবে, জনগোষ্ঠী লাগবে অনেকগুলো নীতি পালন করতে হবে। কিন্তু এই যে একটা সহিংসতা সৃষ্টি, গাড়ি, ট্রেনে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়া এটা কি ইসলামের যুদ্ধনীতিতে বৈধ। যারা রসুলের উম্মত দাবিদার, মো’মেন দাবিদার তারা পালাতে পারবে না। তাদের দাবি মোতাবেক এই প্রচেষ্টা যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জেহাদ হয়ে থাকে তাহলে জেহাদের মাঠ থেকে পালালে আল্লাহর গজব আপতিত হবে বলে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন (সুরা আনফাল ১৬)। এই ইসলামিক দলগুলো ইতোমধ্যেই সেই গজবের শিকার হয়ে একে একে মানুষের হৃদয় থেকে হারিয়ে নির্মূলের পথে চলে যাচ্ছে।
আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যে রাজনীতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে সেটা দিয়ে কোনো দিন কাক্সিক্ষত সাফল্য আসবে না। প্রমাণ, ইখওয়ানুল মুসলিমিন, ইসলামিক সালভেশন ফ্রন্ট, জামায়াতে ইসলাম ইত্যাদি। মেয়াদ শেষে ভোটে হেরে নতুবা সামরিক ক্যু-এর মাধ্যমে নতুবা পশ্চিমা প্রভুদের চাপে স্বপ্নের খেলাফত ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। পলিটিক্যাল ইসলামের প্রসার ঘটতে দেওয়া আসলে পশ্চিমাদের ছেলে ভুলানোর জন্য হাতে ললিপপ ধরিয়ে দেওয়ার মতো একটি কৌশলমাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×