কিরে, রাগ করে চলেই গেলি?
কত কথা ছিল!
সেইতো শেষ কবে দেখা,
তারপর, কতটা সময় চলে গেল।
আর বসা হল না।
আড্ডার মাঝ থেকে এভাবে উঠে যাবি, ভাবতেই পারিনি!
অনেক রাগ জমে ছিল বুঝি বুকে?
তা থাকতেই পারে।
সেই যখন শেষ দেখা হল,
তারপর আর কোন খবরও নেওয়া হয়নি।
এবার দেশে যেয়েও দেখা হল না।
শুনলাম তুই নাকি গুটিয়ে নিয়েছিস নিজেকে।
অন্তঃত একটা ফোন...
যাক, আর ওসব ভেবে কি হবে!
জানিস, যখন খবরটা শুনলাম
মনে পড়ে গেল সেই রাতের কথা-
ওই যে,
নুরালদীনের সারা জীবন-
কি অভিনয়
কি গলা
সেই প্রথম জানলাম
মঞ্চের পেছনের ক্যানভাসে লেখা ছিল;
ভেবেছিলাম এটা আবার কি?
শেষে যখন তুই আওয়াজ দিলি –
‘জাগো বাহে, কোনঠে সবায়’
আর কোন বোঝার ঘাটতি ছিল না।
আমরা যারা যতসব নাদান শুধু বই পড়া ছাত্রবৃন্দ,
বুকটা নেচে উঠেছিল,
সবাই যেন ঝটকা মেরে শিরদাড়া সোজা করে বসেছিল।
সবাইকে জাগিয়ে দিয়ে
কোন ঘুমের রাজ্যে চলে গেলি অভিমানে?
কিন্তু এই জনপদে
নুরালদীনের উত্তরসুরীরা অনেকে এখনও ঘুমিয়ে আছে
ঝিম মেরে আছে;
কে জাগাবে তাদের
কে দেবে আওয়াজ
‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ –
...বন্ধুবরেষু জিয়াদ আল হাসান স্মরণে
ফেব্রুয়ারী ২, ২০১৩
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২