somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষ নবীকে কি বিষ প্রয়োগ হত্যা করা হয়েছিল ?? - আরেফিন ও নামহীন যুবক

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (স) বারবার বলে গেছেন -ইসলামের প্রকাশ্য দুশমনি করবে প্রধানত ইহুদিরা। তারা জানত যে, তিনি শেষ নবী। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌ বলেন “ইহুদিরা মোহাম্মেদ কে (সত্য নবী হিসাবে) এমনভাবে চিনে, যেভাবে তাদের সন্তানকে চেনে ” (সুরা আন-আম ২০)
আল্লাহ্‌ আরও বলেন” আপনি (রাসুল) সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু হিসাবেপাবেন ইহুদী ও মুশরেকদেরকে । (সুরা মায়িদা ৮২)



আল্লাহ্‌ই সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী এবং একমাত্র তিনিই ভবিষ্যতের জ্ঞান রাখেন এই ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার সম্ভাবনা নেই।অনেকেই বলতে পারে যে এইভাবে মানুষে মানুষে কোন্দল সৃষ্টির মানে কি ?? মানবতা বলে কিছুই কি নেই ?? তারা জেনে রাখুন,নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহ্‌র চেয়ে বেশীজ্ঞান রাখি না । যেখানে আল্লাহ্‌ নিজেই ঘোষণা করছেন যে ইহুদিরাই ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু সেক্ষেত্রে আমার আপনার আপত্তি থাকার কথা না । আর এই জাতির ষড়যন্ত্রের কথা যদি জানতে চান তবে আমি তাদের ব্যাপারে ধারাবাহিক সিরিজ তৈরি করছি, একে একে পোস্ট হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ। আশা করি পড়বেন আর প্রতিবার আকাশ থেকে পরবেন এই জাতির পৃথিবী নিয়ন্ত্রনের গুপ্ত রহস্য শুনলে।

যেটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, মুসা(আ) এর তাওরাতে শেষ নবীর ভবিষ্যৎবাণী আছে। ঈসা(আ) এর ইঞ্জিলে আছে। বলা হয় আল্লাহ্‌ এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরেদুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসুল প্রেরন করেছেন দুনিয়াতে শুধু মানব জাতিকে এইসংবাদ পোঁছানোর জন্য যে – কে তাদের রব !! কার উপাসনা করতে হবে !! কার কাছে সাহায্য চাইতে হবে !! যুগে যুগে মানুষ তাদের রব কে ভুলে গেছে, ভুলে গেছে তাদের সাহায্য কারীকে। যখনই মানুষ ভুলে যায় তাদের রবের কথা তখন মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ্‌ যুগে যুগে প্রতিটি জাতির কাছে শিক্ষক(নবী-রাসুল) পাঠিয়েছেন যার শুরু হয়েছিল আদাম(আ) এবং শেষ হয় মোহাম্মদ(সঃ) এর মাধ্যমে, তার পর আর কোন নবী আসবে না। প্রশ্ন হতে পারে –এখন যদি মানুষ তাদের রবকে ভুলে যায় তাহলে কি হবে ?? প্রশ্ন হতে পারে-আল্লাহ্‌ তো আর কোন সতর্ককারী পাঠাবেন না কিয়ামত পর্যন্ত, যদি তারা পথভ্রষ্ট হয় কে তাদের সত্য পথে আনবে ?? তার উত্তর এই পোস্ট এ লিখলে অনেক বিস্তারিত হয়ে যাবে তাই লিখলাম না, যদি জানার আগ্রহ থাকে বলবেন আমি দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।
অনেকের হয়ত মনে মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে, যদি ইহুদিরা জেনেই থাকে যে মোহাম্মেদ শেষ নবী তাহলে কেন তারামেনে নিতে পারছিল না ??
এর মূল কারন হল- তারা জাতিগত অহংকারেরকারনে মেনে নিতে চাচ্ছিল না । তাদের ধারনাছিল শেষ নবী আসবেন তাদের মত সম্ভ্রান্ত বনী-ইসরাইল বংশে (ইহুদি), কিন্তু তা না করে আল্লাহ্‌ শেষ নবীকে পাঠালেন পোত্তলিক আরব বংশে যারা কিনা মূর্তিপুজা করে, এইটাই ছিল ইহুদিদের শেষ নবীকে না মানার মুল কারন। তাই তারা উঠে পড়ে লাগে শেষ নবীকে হত্যা করতে। তারা অনেকভাবে চেষ্টা করেছিল। কালো জাদুতে তারা বেশ পারদর্শী ছিল , কিন্তু তাদের এই “ঐতিহ্যবাহী” কালো জাদু দিয়ে হত্যার চেষ্টাকরেও সফল হতে পারেনি।

নিচের যে ছবি দেখতে পাচ্ছেন এটা আফ্রিকার কোন জঙ্গলিদেরনয়, জায়গাটি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াই নাম রেড ফরেস্ট (redforest) ছবিতে যাদের দেখছেন তারা কোন মূর্খঅশিক্ষিত জংলী নয় , তারা সবাই সেই সব ব্যক্তিত্ব যারা নিয়ন্ত্রণ করছে পৃথিবীরস্বর্গ আমেরিকা তথা গোটা বিশ্ব। আমেরিকারপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুশ তাদের একজন। red forest এর জায়গাটিকে বহিমিয়ান গ্রুভ(Bohemian Grove) বলে.
বিস্তারিত জানতে উইকি দেখতে পারেন



কিন্তু একবার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সেটাই আজকের টপিক।
বিষয়টা খুব সেনসিটিভ। তাই, কেউ যদি বিশ্বাস করতে না চায়, কোন সমস্যা নেই, কারণ এটার উপর আমাদের ঈমান নির্ভর করবে না। কেবল সত্য জানানোর জন্য বলা ।
তবে, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই নবী (স) সেই কষ্ট সহ্য করেই মারা গেছেন। তিনি মৃত্যুশয্যায় অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন এরকারনে।

আসুন সেই ঘটনাটা আগে দেখিঃ
৬২৮ সালের জুন মাস। (হিজরি সালের সাথে আমরা কম পরিচিত বলে আমি খ্রিস্টীয় সাল ব্যবহার করলাম) মুহাম্মাদ (স) খায়বার জয় করেন। সেখানকার এক ইহুদী নারী জায়নাব বিনতে আল হারিস নবী এবং তার সাহাবীদের দাওয়াত করে। কিন্তু তার মনে ছিল নবী (স) কে হত্যা করার মতলব। সে বিশেষ উপায়ে খোজ নিয়ে জানতে পারল, নবী (স) এর প্রিয় খাবার মেষশাবকের কাঁধের গোশত। তাই সে মেষশাবক মেরে রান্না করল। কিন্তু, তার সাথে মিশিয়ে দিল খুবই শক্তিশালী প্রাণঘাতী বিষ। দাওয়াতের দিন, সে নবী (স) এবং সাহাবাদের সামনে পরিবেশন করল। মুহাম্মাদ (স) এক টুকরো গোশত মুখে দিলেন। অন্যদিকে, বিসর ইবনে আল বারা নামের এক সাহাবীও মুখে দিলেন। মুহাম্মাদ (স) সাথে সাথে বললেন, “খেও না!! এটা বিষাক্ত।” কিন্তু ততক্ষণে তিনি খেয়ে ফেলছেন, পরে বিসর(র) মারা যান ।
রাসুল (স) জায়নাব কে আড়ালে ডেকে নিয়ে কৈফিয়ত চাইলেন। কিন্তু সে কেবল বলল, “আমি আপনাকে খুন করতে চেয়েছিলাম।” নবী (স) ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে মাফ করে দেন। কিন্তু ঐ সাহাবির পরিবার কিসাস দাবি করলে জায়নাবকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় খুনের অভিযোগে।
(সাহিহ আল বুখারি, হাদিস ৩৭৮৬, ৪৩৯৪)

এই ছিল নবী (স) কে হত্যা চেষ্টার সবচেয়ে সফল ঘটনা। তিনি আল্লাহ্‌র নবী হওয়ায় আল্লাহ্‌ তাঁকে সেই বিষ এর প্রভাব থেকে রক্ষা করেছেন । ৪ বছর পর তার নবুওয়াতের কর্মের সমাপ্তি ঘোষিত হয়, “আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” (মায়িদা, ৫:৩)

এরপর রাসুল (স) অসুস্থ হয়ে পড়েন, খুবই অসুস্থ। তিনি মৃত্যুশয্যায় শায়িত হন। খেয়াল করে দেখুনঃ
তিনি কিসের ব্যথায় ভুগছিলেন ??? আল-বুখারির একটা হাদিস দিলাম আপনাদের জন্য-

“হযরত আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) তার মৃত্যুশয্যায় প্রায়ই বলতেন, ‘হে আয়িশা!! খায়বার এ যে খাবার আমি খেয়েছিলাম সেই (ইহুদীর বিষের) বেদনা আমি এখনো অনুভব করছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার রক্তনালী যেন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই বিষের কারণে...’
{সাহিহ বুখারি, ৫ম খণ্ড, বই ৫৯, হাদিস ৭১৩}

এই কষ্ট নিয়েই আমাদের প্রিয় নবী (স) ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সেটা ছিল ৬৩২ সাল।
রাসুলের যে কয়জন ঘনিষ্ঠসাহাবা ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রা) তাদের মধ্যে অন্যতম আপনারা যারা তার বর্ণিত হাদিস পড়েছেন তারা জানেন। তিনি বলেছিলেন,
“আমি দরকার হলে ৯ বার কসম খেয়ে বলতে পারব, রাসুল (স) কে হত্যা করা হয়েছে, কারণ আল্লাহ্‌ তায়ালা তাঁকে নবী করেছেন, আর করেছেন শহীদ।”

মুহাম্মাদ (স) নবী ছিলেন দেখে তাঁকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, এমন কোন কথা হতে পারে না। এক যুদ্ধের সময়ই রাসুলের মৃত্যুর গুজব রটে গেলে সাহাবিরা মানসিক ভাবেদুর্বল হয়ে পরে, তার প্রেক্ষিতে আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে কী বলেছেন এ নিয়ে দেখুনঃ
“আর মুহাম্মদ তো একজন রাসুল ব্যতীত কিছু নন! তাঁর আগেও বহু রাসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা তাঁকে ‘হত্যা’ করা হয়, তবে কি তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে ?”
(আলে ইমরান, ৩:১৪৪)
আল্লাহ্‌ এখানে ২টি ক্ষেত্রের কথাই বলেছেন!! তিনি স্বাভাবিক মারাও যেতে পারেন, তাঁকে হত্যাও করা হতে পারে। তবে, কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না, যে তিনি কেবল বিষের কারণে মারা গেছেন, অথবা, কেবল বার্ধক্য এর কারণে মারা গেছেন। বরং, এটা বলা যায়, তিনি বার্ধক্যের কারণে মারা গিয়েছেন, কিন্তু তিনি মৃত্যুশয্যায় বিষের যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কারণ তিনি নবী, কিন্তু মানুষ বলে বিষের যন্ত্রণা হওয়াটাই স্বাভাবিক।।
একমাত্র আল্লাহ্‌ই সব জানেন।
তাঁর আগেও কি অনেক নাবীকে হত্যা করা হইনি ?? প্রমান দেখুন-
মুহাম্মাদ (স) এর ঠিক আগের নবী ঈসা (আ) কে হত্যা চেষ্টা করেছে ইহুদীরা, যদিও অলৌকিকভাবে আল্লাহ্‌ তাঁকে বাঁচিয়ে তুলে নেন। তাঁর অপমৃত্যু হয়নি।
তাঁর আগের জন, ইয়াহিয়া (আ) এর শিরশ্ছেদ করে মাথা আলাদা প্লেটে করে পরিবেশন করা হয়েছিল।
তাঁর আগের ইয়াহিয়া (আ) পিতা জাকারিয়া (আ) কে ইহুদীরা বাইতুল মুকাদ্দাস এর কাছেই করাত দিয়ে দু টুকরা করে হত্যা করে।
এর আগের অনেক নবীকেই হত্যা করা হয়। ইসরায়েল এর বাদশাহ আহাব এর স্ত্রী ইসাবেল এর আদেশে অসংখ্য নবীকে হত্যা করা হয়।
ইসরায়েল এর নবী আরিয়াহ (আ) কে শিরশ্ছেদ করা হয়।
এরকম উদাহরন দিয়ে হয়ত শেষ করা যাবে না।

ইহুদীরা সর্বদাই চেষ্টা করে এসেছে মুহাম্মাদ(স) কে দুনিয়া থেকে সরাতে, তাঁর বংশধরদের হত্যা করতে। কারণ, মুহাম্মাদ (স) এর Direct Bloodline হবেন মুহাম্মাদ আল মাহদি যাকে আমরা ইমাম মাহদি বলে চিনি, যিনি ইহুদিদের ত্রাণকর্তা দাজ্জাল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন। এইকথা রাসুল বলে গেছেন,তারাও জানে এটা সত্যি।
ইমাম মাহদি কেমন হবেন ?? তিনি যে দেশ থেকে আসবেন সে দেশ দেখতে কেমন হবে ?? দাজ্জাল কে হবে ? কোথা থেকে আসবে ? কোথাই ঈসা(আ) দুই ফেরেশতার কাঁধে ভর দিয়ে নামবেন ? কোথাই মারবেন দাজ্জাল কে ?? এইসব নিয়ে আমি পড়ছি, বেশ কিছু আর্টিকেলও দাঁড় করিয়েছি। জানতে চাইলে জানাবো ইনশাআল্লাহ।



one eye symbol of Dajjal


তাই মুহাম্মাদ (স) বংশকে এখনই নিশ্চিহ্ন করতে পারলে সেই ইমাম মাহাদিআসার আশঙ্কা থাকে না।
আশ্চর্য যে, আমরা মুসলিম, আমরা মুহাম্মাদ (স)কে এত ভালবাসি, কিন্তু আমরা জানি না যে, তাঁর বংশধরদের কী হয়েছিল? এখন কোথায় তারা ? এমনকি আমরা অনেকেই তাঁর বংশধরদের নাম পর্যন্ত বলতে পারব না । পরিণতি তো পরের কথা!

তাদের কী হয়েছিল জানলেই আপনি ষড়যন্ত্রের প্যাটার্নটা ধরতে পারবেন, তারা জানত কার মাধ্যমে মুহাম্মাদ (স) এর বংশ থেকে ইমাম মাহাদি আসতে পারে । তারা ধরে নিয়েছে এটা একমাত্র জীবিত মেয়ে ফাতিমা (রা) মাধ্যমেই হবে কারণ রাসুলের কোন ছেলে সন্তান ছিল না। দেখুন তাদের জেনারেশনকে কিভাবে সরান হয়েছে --

১. ফাতেমার স্বামী আলি(র) নামাজ পড়া অবস্থায় ঘাতক এর তরবারির আঘাতে মারা যান। জানুয়ারি ২৮, ৬৬১
২. ছেলে হাসান (রা) বিষ দিয়ে হত্যা করে. মার্চ ৬, ৬৭০।
৩.আরেক ছেলে হুসাইন (রা) কারবালায় নিহত হন ইয়াজিদবাহিনীর হাতে। ১০ অক্টোবর, ৬৮০।

৪.হুসাইন এর ছেলে আলি ইবনে হুসাইন। অন্য নাম জইনুল আবেদিন। মারা যান কীভাবে ? সেই একইভাবে বিষ দিয়ে ৭১২ সাল।

তার সম্পর্কে জানতে উইকি দেখতে পারেন
৫. তাঁর ছেলে, মুহাম্মাদ আল বাকির। মারা যান ৭৩৩ সাল। বিষ প্রয়োগে বিস্তারিত জানুন
৬.তাঁর ছেলে, জাফর সাদিক। (শিয়ারা ইমাম জাফর বলে থাকে) মারা যান কীভাবে ? বিষ প্রয়োগে ১৪ ডিসেম্বর, ৭৬৫। বিস্তারিত জানুন
৭.তাঁর ছেলে, মুসা আল কাজিম মারা যান বিষ প্রয়োগে ১ সেপ্টেম্বর, ৭৯৯। বিস্তারিত জানতে পারেন
৮.তাঁর ছেলে আলি আর রিযা। মারা যান বিষ প্রয়োগে ২৩ অগাস্ট, ৮১৮।

বিস্তারিত জানতে পারেন

৯.তাঁর ছেলে মুহাম্মাদ আল জাওয়াদ আল-তাকি নামেওপরিচিত। মারা যান বিষ প্রয়োগে ২৪ নভেম্বর, ৮৩৫।
বিস্তারিত জানুন
১০. তাঁর ছেলে, আল হাদি। মারা যান বিষ প্রয়োগে. ৮৬৮ সাল।
১১.তাঁর ছেলে, হাসান আল আস্কারি। মারা যান বিষ প্রয়োগে. ১ জানুয়ারি, ৮৭৪।
বিস্তারিত জানুন উইকি তে (http://en.wikipedia.org/wiki/Ali_al-Hadi) (http://en.wikipedia.org/wiki/Hasan_al-Askari)

হাসান আল আস্কারি শিশু অবস্থায় তার ছেলেকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে দেন, যেন এ বংশ টিকে থাকে, নয়ত তাকেও হত্যা করা হবে। শিয়ারা বলে থাকে তার বংশ থেকেই হইত শেষ ইমাম আসবে।আমরা এ পর্যন্ত জানি রাসুল (স) এর bloodline. আর কোন হদিস পাওয়া যাইনি। শেষ সময়ে আবারো প্রকাশিত হবে এ bloodline, আমাদের সাহায্যের জন্য, ইমাম আল মাহদি এর মাধ্যমে।


কী মনে হচ্ছে? এইসবই কি co-incident ?? না সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ??।
তবে একটা কথা বলে রাখা ভাল, অনেকেই হইত শিয়াদের ব্যাপারে জানেন আবার অনেকের মোটেও এইসব ব্যাপারে ধারণা নেই, তাদের জন্য বলছি , শিয়ারা ১২ ইমামে বিশ্বাস করে,আর আমি এখানে যে ১১ জনের নাম উল্লেখ করেছি তারাই সে ১২ জনের ১১জন। বাকি থাকে ১ জন তিনি এখনো আসেননি এবং তিনই হবেন মুহাম্মাদ আল মাহদি।

কেন এত হত্যা প্রচেষ্টা মুহাম্মাদ (স) থেকে শেষ বংশধর পর্যন্ত পরবর্তীতে তারউম্মাতের উপর । প্রশ্ন হল -এ বংশ নিশ্চিহ্ন করে লাভ কাদের ?? কারা লাভবান হয়েছে বা হচ্ছে ? কারা হবে দাজ্জালের সাহায্যকারী ?? ৯/১১ অ্যাটাক সাজিয়ে মুসলিমদের দোষ দিয়ে কারা সবচেয়েবেশী লাভবান হয়েছে ?


নিচের ছবিতে ইহুদিরা জেরুজালেমে প্রার্থনা করছে তাওরাত নিয়ে, পাশে ইহুদি আলেম যাদের তারা রাব্বি(rabbi) বলে থাকে।



২৯টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×