ঘুম থেকে উঠবো উঠবো করেও তেমন একটা আগে উঠতে পারিনি। কারমাইকেল কলেজ কেম্দ্রে পৌছে দেখি এরই মধ্যে লাইন। মাঠের বাইরে ভোটার নম্বর জানবার জন্য হুরোহুরি। অনেক কষ্ট করে আমার আর বাবার ক্রমিক নম্বর নিলাম।
যখন লাইনে দাড়ালাম তখন সামনে দশ বারো জন। বাজে সোয়া আটটা। ভোট গ্রহন তখনো শুরু হয়নি। কারন টা জানা গেলনা।
সামনে দেখি কয়েকজন এদিক ওদিক ঘোরা ঘুরি করছে। ওরা বুঝতে পারছেনা কোন বুথে তাদের দাড়াতে হবে।
লাইনটা এগুচ্ছে তবে অনেক ধীরে। ভিতরে নাকি সিরিয়াল খুজতে সময় লাগছে।
অবশেষে আমার পালা। দেখি বয়স্ক তিনজন। একজনের হাতে ভোটার তালিকা। আরেক জনের হাতে কালো মার্কার। অন্য জনের হাতে ব্যালট পেপার। উনি বললেন বাবা হালকা করে একটা টিপসই দিতে। দিলাম।
সাদা পর্দা ঘেরা জায়গাটায় গিয়ে নির্ধারিত স্থানে সিলটা মেরে ভাজ করে বাক্সে ফেললাম। তারপর আর এক মুহুর্তও দেরি না করে বাসার দিকে হাটা দিলাম।
লোকজন আসছে। দলবেধে। চোখে মুখে আনন্দ। দিনটাকে কি ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে? কী জানি! অত ভেবে কাজ নাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



