আমাদের গর্ব আমাদের আহংকার আমাদের সেনাবাহিনী। বর্তমানে এই বাহিনীর সামর্থ্য প্রায় ৩০০,০০০ সদস্য। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য সেনাবাহিনীর মতো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আদলে গঠিত হয়েছে এই বাহিনী সাতটি ডিভিশন নিয়ে। আমাদের দেশের সেনা সদস্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রথিস্থার লক্ষে জাতিসঙ্গের অধিনে কাজ করছে। আমাদের দেশের সেনা সদস্যদের দক্ষতা ও নিষ্ঠার কারনে তাদের সুনাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পরেছে। অবশ্য এই বাহিনী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কৌশলগত পরিকল্পনা কার্যপ্রণালী, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং নন-কমিশন্ড অফিসার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে৷ এটি গোলন্দাজ, সাঁজোয়া ও পদাতিক ইউনিট দ্বারা সজ্জিত। আমাদের দেশের সেনা সদস্যরা দক্ষ এবং চৌকস, অফিসার গুলো খুব মেধাবী হলেও আমাদের দেশের সেনা সদস্যদের সরঞ্জামের ঘাতটি আছে। বিশ্বের সব দেশের সেনা সদস্যদের অত্তাধনিক সরঞ্জাম আছে। কিন্তু আই দিক থাকে বাংলাদেশ একটু পিছিয়ে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা (ইউএনপিএসও)-এর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ১ম উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২,১৯৩ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি দল সৌদি আরব এবং কুয়েতের শান্তি রক্ষা কাজের পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা/রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, পশ্চিম সাহারা, সিয়েরা লিওন, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট ও ইথিওপিয়ায় শান্তি রক্ষা কাজে অংশগ্রহণ করে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রায় ১০,৮৫৫ সৈন্য সারা বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তি-রক্ষী বাহিনীতে কর্মরত আছে, যা পৃথিবীর অন্য যে-কোন দেশ হতে বেশি।
দেখেনিন বিশ্বের সেরা ১০ টি সেনাবাহিনী
সেরা ১০ টি সেনাবাহিনী