somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনাবাহিনীকে মুক্ত করতে পারে সাধারণ মানুষ :: চালিয়ে যাও সত্যের লড়াই!!!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি সত্য অন্যটি মিথ্যা। সত্য আর মিথ্যার লড়াই নিত্যদিনের। কিন্তু একজন মুক্ত মানবই সত্য উপলব্ধি করতে পারে। সংসারের মায়া, বিলাস বাসনার কাছে অনেক গুণীকে তার প্রকৃত ইচ্ছা ও স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। আমি এক বাধঁন হারা। সত্য ও সুন্দরকে কোনো বাঁধনে বাধা যায় না। আমরা বাংলাদেশ সেনবাহিনীর শক্তিটাই শুধু দেখি। তাদের অসহায়ত্ব দেখি না। আমরা সামরিক শাসন আসার প্রতিক্ষায় থাকছি কিন্তু বুঝতে পারছি না সামরিক বাহিনী আসে না কেনো? আরে ঐ অসৎ রাজনৈতিক কিংবা সেনাবাহিনী তোমার আমার সম্পদ দিয়েই তো লালন পালন করছি। আজ তাকিয়ে দেখো ওদের অসহায়ত্ব? তোমরা কলামিস্টদের প্রতিনিয়ত দেখো, তোমরা টকশোতে নিয়মিত কিছু বুদ্ধিজিবীর নাম করে পরজিবী দেখো, স্টার জলসায় ডেইলী সোপ দেখ। কিন্ত দেখ না পণ্যের বাহার। তোমরা শুধু টিভি কিংবাং ইলেকট্রিক মিডিয়ার এ্যাডভেটাইজ গুলোকে দেখো কিংবা এরিয়ে যাও কিন্তু বোঝনা এই মিডিয়াগুলো গুলোই ২৪ঘন্টা এ্যাডেভেডাইজ দেয়ার জন্যই জন্ম নেয় কিংবা জন্ম দেয়া হয়। তোমরা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, কিংবা ওয়েসলিং বলো নাটোক বলো মুভি বলো সবকিছুযে ওদের মদদপুষ্ট তা বুঝছো না? বাংলাদেশ সেনাবাহিনির অস্ত্রগুলো দেখে তোমার খুব গর্ব হয় তাই না? তোমরা কি জানো, ঐ অস্ত্র যারা দিয়েছে তারা তাদের অস্ত্র পাহারা দেবার জন্য তাদের লোকও দিয়ে দিয়েছেন। তোমারা নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে দেখে বিনোদন পাও কিন্তু বোঝ না সিরাজুদ্দৌলার সাথে যে মিরজাফর আর যে ফরাসী ইংরেজ কে তোমাদের প্রতিনিয়ত দেখানো হচ্ছে ওরা সবাই এক। ওরা সিরাজুদ্দৌলা নামের কোনো পালিয়ে যাওয়া স্বাক্ষী কে বাচিয়ে রাখে নি ঠিক তেমনি আজও রাখছে না। দেখো না স্বাক্ষীদের কিভাবে মারা হচ্ছে। আজ দেখো ঐ ব্রটিশ, ফরাসী নামের শক্তি আমাদের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর নাম করে আমাদের রক্তে উপার্জিত টাকা দিয়ে তাদের মদ বানাচ্ছে। বিশ্ব সন্ত্রাবাস এর দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন বিশ্ব মিডিয়ায় ওরা কি দেখাচ্ছ? বালাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান কিংবা রাজনীতিক নেতাদের তোমরা স্বাধীন মনে করছো? দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু রাজনীতিক বা সামরিক বেসামরিক বাহিনী নয়। হে সনাপতি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিংবা রাজনীতিবিদ যে যেখানে আছো তোমাকে এই মূহুর্তে আমি আদেশ করছি তোমার যে বডিগার্ড তাকে তুমি সিকিউরিটি দাও। তোমার বডিগার্ডরা যে ওদের লোক। ওরাও যে আমার মতো সমাজের মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। ওকে তুমি যদি না বাচাও ওদের গোয়েন্দ সংস্থা ঐ গার্ডকে মেরে নতুন গার্ড বসাবে। আজ জাগবার দিন আজ কারও বসে থাকলে চলবে না। তোমার বন্ধু আজ সচিব আর তুমি স্কুলের শিক্ষক হয়ে তোমার ছাত্রদের ঐ সচিব বন্ধুর কেরামতির গল্প শুনাচ্ছো? আর মনে মনে তোমার ঘরে বাজার সদায় , অভাব অনটনের কথা বলছো। আজ তোমাদের জয়গাঁথার ইতিহাস রচনা করার দিন। এখন জাগার সময় এসেছে। কে ঐ শিক্ষকদের সংসারের দুঃখ দরদাশা দুর করবেন। ঐ সচিব বন্ধু ইচ্ছে করলেও ঐ স্কুলটিকে সরকারী করতে পারছেন না। শিক্ষকের অপমান জ্বাল তিনিও অনুভব করেন। কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করতে পারেন না। তার সীমাবদ্ধতার কথা শুধু তিনিই জানেন। হায়রে অভাগা জাত। আজ সব স্কুল কলেজকে সরকারী করার সময় এসেছে। এ শুধু আমার দাবি না আমার পূর্বপুরুষদের দাবি। আমার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। মা একজন প্রাইমারী শিক্ষিকা আমি দেখেছি তাদের নিত্যদিন ঋণ করে জীবন যাপন। ঋনে আবদ্ধ হওয়া আর মুক্ত হওয়ার জন্যই কি এই দুনিয়ায় এসেছো বন্ধু। এখন সময় হয়েছে ভেঙ্গে ফেলো সকল দেয়াল, চুরমার করে দাও ঐ সাজানো নাটক। মানুষের শক্তি অসীম। যারা মৃতকে ভয় পায় তারাই প্রজা। আরে মৃত্যু যে একটি পর্দার নাম। সত্য শুধু এক মন থেকে অন্য মনে প্রবেশ করে। হে সুবিধা বঞ্চিত সরকারী কর্মকর্তা তোমরা ঘুষ খাও জাতি জানে। তোমাদের কে ঘুষ খাওয়া কে শিখিয়েছে তা বলার সময় আজ এসেছে। খুলে দাও ঐ সয়তানদের মুখোশ। হে ডাক্তার, তোমার মা বাবা অনেক অনেক কষ্ট করে তোমাকে ডাক্তার বানিয়েছে। তিলে তিলে গড়া তাদের সংসারের সঞ্চয় দিয়ে তোমাদের মানুষ বানিয়েছে। আজ তোমরা কেনো ফেনসিডিলে আসক্ত হবে। ওষুধ নামের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর কাছে তোমরা কেনো বন্দি থাকবে। আসো গুরিয়ে দাও সবকিছু। আজ বাংলাদেশের রাস্তায় এতো পাগল কেনো। তোমার কাছে প্রতিদিন ক’জন ভিক্ষুক আসে। নিত্য নতুন হকার কি তোমার নজরে পরে না? হে শিক্ষিত সমাজ আসো ভিক্ষুক ও পাগলদের পূর্নবাসন করি। ওদের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিশ্ব গোয়েন্দা সংস্থার লোক। তুমি এবার সত্যের চোখ খোলো দেখবে সব কিছু ঝকঝকে পরিষ্কার। মাদ্রাসা লিল্লাহ বডিং এর নাম করে মুসলিম সমাজকে এতিম বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয় টাকা লাগে এই ভিক্ষুক, এতিম, মিস্কিনদের পূর্ণাবাসন করতে? শুধু মাত্র চেষ্টার অভাব। আজ সময় এসেছে জাগ্রত হবার। আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সকল সত্যের সাথে সবযুগে আমি এসেছি। বাংলাদেশের মানুষকে আর ডাবিয়ে রাখা যাবে না। তোমরা মিডিয়ার দখল নিয়ে নাও। তোমরা আজও কেনো বুঝছো না তোমাদের চুকুরী খোঁজার নাম করে কিংবা মাদকের আড়ালে ঐ মাল্টিন্যাশনালরাই বন্দি করে রেখেছে। আমাদের টাকাই আমাদের হাতে ঋণ হয়ে ফিরে আসছে। হায়রে অভাগা জাতি। আজ জেগে ওঠো। হে রাজনীতিবিদ ও সমাজের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী সমাজ তুমি কি আজ এতিম মিস্কিনদের হক নষ্ট করে, কিবাং জমিজমা লুটে নেয়ার দন্ডে দন্ডিত? তাহলে আজ এই কলংকের তকমা মাথায় নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছো কেনো? আজ যে বাঁধন হারাদের দিন এসেছে। এতিমের আসল হক নষ্টকারিদের চিনিয়ে দেবার দিন এসেছে। আসো এই সমৃদ্ধ সমাজটিকে ঢেলে সাজাই। আমরা সবাই যে বিশ্ব মায়ের সন্তান। আসো গুরিয়ে দাও ঐ সব সয়তানদের দুর্গ। জাতিসংঘ কেনো ইউএসএ তে থাকবে? জাতিসংঘ প্রধান দপ্তর কেনো বাংলাদেশে হতে পারে না। আরে ঐ অত্যাচারী সমাজ যে ওটাকে সেই সাদ্দাতের তৈরি করা বেহেশত ভাবছে। আমাদের লুটে ওরা যে আরও ধনী হচ্ছে। ওরা বুজছে না রক্ত মাংসের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। ঐ কঙ্কালদের মানুষ চিনে ফেলেছে। কঙ্কাল দিয়ে শুধু ডাক্তারি বিদ্যা অর্জন করা যায় আসোল পড়া উদ্দেশ্য যে ঐ রক্তমাংসের মানুষের উপরই প্রিস্কৃপশন করা। জেগে ওঠো আর ঘুমিয়ে থেকো না। আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দাও বাংলাদেশীরা পুরো বিশ্ব শাসনের ক্ষমতা রাখে। ওরা আর দূর্বল নয়। পৃথিবীর সকল বঞ্চিতদের আজে জাগিয়ে তোলো। যারা ভালো ইংরেজী জানো আমার লেখা ইংরেজীতে রুপান্তর করে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌছে দাও। তোমাদের বাপ দাদা দের ওরা বোকা বানিয়েছে তোমাদের পারবে না। আমি খুব দ্রুত লিখি তাই ভুল শুদ্ধ প্রুফ দেখতে ইচ্ছে হয় না। বানান ভুল দেখলে ঠিক করে দিও। সবার মাঝে সত্যকে বিকাশিত করো। মানুষ মানুষকে মারবে এ হয় না। আমরা আর ওদের হাতের পুতুল হয়ে বাঁচতে চাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে চেতনাকে শেষ করা যায় না। পরমাত্মার আবির্ভাব তোমার হৃদয়কে প্রভাবিত করে। সমাজে হঠাৎ হঠাৎ কিছু কিছু ঝার ফু দেয়ার মানুষ বের হয়, আবার হারিয়ে যায়। আবার কিছু জতিষ্যির দেখা মেলে ওরা আসলে বিশ্বগোয়েন্দা সংস্থার লোক ওদের এরিয়ে চলবে। সব সময় তোমার নিজের ভিতরের বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেবে। নিজের মধ্যের সত্য বিশ্বাস তোমাকে অনেক ঊদ্ধে নিয়ে যাবে। আর ওখানে যেতে পারলে আইন তোমার কাছে ফাইন হয়ে হাস্যকর রূপ ধারণ করবে। আজ খুব বেশী মনে পড়ছে হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে যিনি সারাজীবন ঘৃহবন্দিই ছিলেন। উপন্যাস নাটকে আমাদের জাগাতে চেয়েছে আমরা তাকে অনেক পরে বুজেছি। ডঃ জাফর ইকবার স্যার সায়েন্স ফিকশনের নামে আমাদের মাঝে বর্তমান সময়কে তুলে দিয়েছেন। আসুন আজ সময় এসেছে জাগ্রত হবার।

সামনে যখন এগিয়েছি আর পিছু হাটার সময় নেই :: কয়েকটি লেখা একসাথে আপনাদের হাতে দিলাম

জাগাও সেই সুন্দরকে। মানুষের মাঝে ফিরে এসো সত্যসুন্দর হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×