কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় জনগণের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক বিবৃতি দিয়েছেন। সেই ঘা এখনো শুকায়নি। তার উপরে নতুন করে ঘা বসিয়ে দিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এবং যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়।
আমরা তারেক মাসুদ- মিশুক মনিরের মত মানুষকে হারিয়ে যখন শোকে মুহ্যমান, তখন নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর মুখে এ ধরনের কথা সত্যিই আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলে। তবে কি এটা একটি গোপাল ভাঁড় সদৃশ মন্ত্রীসভা? আসলে স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৪০ বছরেও জনগণ বুঝল না, তারা ঠিক কি অপরাধ করেছে? যার জন্য এত নাই-নাই এর পরেও বোমাসদৃশ বাক্যবানে জর্জরিত হতে হয় !
দুর্ঘটনার জন্য চালকেরা দায়ী নন : শাজাহান খান
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্যাডে পরীক্ষা ছাড়াই সংগঠনের ২৪ হাজার সদস্যকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে-- এমন দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কাছে। আর তাতে মদদ দিচ্ছেন খোদ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো মাত্র ২৪ হাজার চালককে লাইসেন্স দেয়ার কথা বলেছি। আসলে লাইসেন্স দেয়া দরকার প্রায় আট লাখের মত।’
‘আমার টাকা নেই। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় আমরা কাজ করতে পারছি না।’-যোগাযোগ মন্ত্রী
মহাসড়কগুলোর কি বেহাল দশা তা পাঠক জ্ঞাত আছেন। তার উপর পরিবহন মালিকদের একের পর এক অবরোধ সাধারণ মানুষকে যে কি পরিমাণ দুর্দশার ভিতরে ফেলেছে, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমার প্রশ্ন, টাকা নেই কেন? বাজেটে কি যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়নি? এই প্রশ্ন বাতাসের সাথে মিলিয়ে যাবে জানি।
সম্প্রতি উত্তরার মত জায়গায়, তাও জনবহুল মাস্কট প্লাজার নিকটে যে মার্ডার হল, তাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কি অবস্থায় রয়েছে, সেটা সহজেই অনুধাবনীয়। তার উপরে এলাকাটি স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের নিজের এলাকা। এর পরেও কি তিনি বলবেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক ভাল?