কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যেরই মাঝার। হাসন রাজা হুতাশ কইরা কইছিলেন। এই হুতাশ করার যে যোগ্যতা লাগে, সেইটা আমার নাই। অনেকেরই নাই। যাদের বেশি বেশি নাই, তারাই পৃথিবীতে প্রমোটার হইয়া জন্মায়। আমি জন্মাইলাম অগা হইয়া। তবুও পোলার কথা শুনতে লাগে। তার কথায়, এখন যে বাঁশের বেড়ার ঘরে আমাদের বাস তাতে তেমন জুৎ হয় না। তার ইশকুলের বন্ধুদের সবার দালানবাড়ি আছে। সে আবার ইতিমধ্যে এইটাও লক্ষ করছে, বাবার বন্ধুরাও দালানকোঠাতে থাকে। একে দালানকোঠা, তায় রঙিন। সুতরাং তার একখান এমন বাড়ি লাগবো, যাতে তার সম্মান বাঁচে। এখন তো আবার অ্যডোলস্যান্স আগে আইয়া পড়ছে। আগে যেসব কথা বারো বছরে মাথায় আইতো, এখন সেটা নয় বছরে আসে। সুতরাং আমরা দুইজন স্বামী-স্ত্রী বসে গেলাম হিসাব লইয়া। বহু রাতের ঘুম মাইর দিয়া যে জিনিস বাইর হইল, তাতে চিরঋণী হইয়া হইলেও একখান ঘর বানানো দরকার বোধ হইল।
বাপের বাড়িটির দিকে তাকাই। আজকালের তুলনায় সেটা বেশ বড়। বড় বইল্যাই অনেকে বাবারে জিগ্যাসা করে, এত বড় বাড়ি দিয়া কিতা করবেন মেসো বেইচ্চা দেন। বাবা চমৎকার একটা জবাব ছাড়েন, ‘ শুন যেসব লোক মুরগা দেইখ্যা কাইট্টা মাংসের পরিমানের অনুমান লাগায়, গাছ দেখলে কাইট্টা কত কাঠ পাওয়া যাইব কল্পনা করে তাদের লগে আমি খুনির পার্থক্য দেখি না।’ যারা এই কথা একবার শুনেছে, তারা বুইজ্যা হোক না বুইজ্যা হোক আর বাড়ির জায়গা বেচনের কথা তোলে না। এখন এই বাড়িতে আমার একখান ঘর তোলার লাগে। তাহলেই কাটতে হবে অনেকগুলো গাছ। কত যে গাছ এই বাড়িতে আছে, তা আমরাই জানি না। বাঁশ, টেকরই, মণ্ডাফল, আম-জাম-কাঁঠাল-পেয়ারা-কমলা থেকে শুরু কইরা কত গাছ! একটা নাম না জানা গাছে আছে তোতাদের সংসার। একটা ‘হোয়াইট ব্রেস্টেড হক’-এর জুটি এসে বয়রা গাছের মগডালে বাসা বানাইছিল। এই পাখির নাম যে এইটা সেই কথা বুক অব ফ্যাক্টস থিকা বাইর করছে শ্রীমান। তাদের দেখলেই দুনিয়ার কাক আইয়া পেছনে লাগত। একটা করুই গাছে থাকতো চামচিকার দল। মাথা নিচু করা সেইসব পাখির ভয় দেখাইয়া পোলওে তার শিশুবেলায় খাওয়ানো সহজ হইত। তাদের বিষ্ঠার জ্বালায় সেই গাছ একদিন কাটা হইল। পেছনে আছে একটা দেশি আমড়ার গাছ। তাতে আছে দুইটা পেঁচা। আমার দুই বছরের ভাইপো পেঁচার মুখভঙ্গি নকল কইরা দেখাইতে পারে। পেঁচা কেমনে থাকে জিগ্যাসা করলে সে বারবার সেটা কইরা দেখায়। তা দেখাইয়া সে পাড়ায় বেশ জনপ্রিয় শিশু হইতে পারছে। এই গাছগুলোর অনেককে কাটতে হইব। বাড়ি করতে হইলে তাদের মাইরা ফালাইতে হইব। একটা শূন্য না বানাইলে, কী ঘর বানাইমু? তাই একদিন করাতি আইলো।
করাতিরা আসলে বড় কামুক হয়। তাই বাড়ির মেয়েলোক নিয়া আমার চিন্তা হইল। সেই চিন্তা কারও কাছে প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু এমন কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নাই, করাতিরা কামুক হয়। কিন্তু যেভাবে তারা গাছ কাটে, পরে একটা পাটাতনে গাছের গোল শরীর শোয়ায় আর তার উপরে একজন আর নিচে দুইজন দাঁড়াইয়া করাত টানে, তাতে যেকোনও চক্ষুষ্মান তাদের কামুক ভাবতে বাধ্য। কিন্তু সব কাম তো আর মেয়েদের দিকে ধায় না। তাই রক্ষা। করাতি এসে গাছগুলি কাটলো। তারপর তৈরি হল একটি শূন্য। সেখান থেকে আকাশের চাঁদ স্পষ্ট দেখা যায়। এই জায়গায় একটি ঘর হইব।
(চলবে)
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।