শিক্ষা ব্যাবস্থা স্বাধীনতার পর বেশ ধীর গতিতে এগুলেও গত ১০ বছরে শিক্ষার হার বেড়েছে চোখে পড়ার মত। ছোট বেলা থেকেই আট দশটা ছেলের মত আমারও ইচ্ছা ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভাল একটা চাকরি করব,পরিবারকে সাপোর্ট করব। ছাএ হিসাবে খুব ভাল না হলেও একেবারে খারাপও ছিলাম না।এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশ করার পর ভর্তী হলাম জাতীয় বিশ্ববীদ্যালয়এ আর হয়ত সেটাই আমার জীবনের কাল হয়ে দাড়াল।অনার্স ২০০৮-০৯ শিক্ষা বর্ষের ছাএ হয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তী হলাম। মোট ছাএ ছাএী ছিল ১৬৫ জন,যদিও অনার্স শেসে পাশ করে বের হই মাএ ৩০ জন বা তার থেকেও কম। এদিকে আমার কিছু বন্ধু ভর্তী হয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়তে। প্রথম বছর টা কেটে গেলেও উঠা হয় নাই দ্বিতীয় ক্লাসে কিভাবে উঠব প্রথম বর্ষের পরীক্ষা হল টানা দেড় বছর পর। দ্বিতীয় বছর ও শেষ হয় ১৭ মাস পরে তবে মজার বিষয় হচ্ছে পরীক্ষার খাতায় লিখতে হয় গত বছর এর সাল। অথাৎ আমি খাতা কলমে ইতিমধ্যে ১ বছর পিছিয়ে।এদিকে সংসার এর বড় ছেলে হওয়াতে টাকা উপার্জন এর চাপ টাও দিন দিন বাড়ছে। আমি যখন তৃতীয় বর্ষে পরিক্ষা দিব তখন প্রাইভেট এ পরা বন্ধুরা আমার চাকরি খুজতাছে,অনেকেরত হয়েও গেছে। হতাশাগ্রস্ত হয়ে অনেক বন্ধু পরাশুনা ছেরেও দিছে দ্বিতীয় বর্ষে থাকার সময়। যখন স্নাতক পাশ করে বের হলাম তখন আমার বয়স ২৫ এর বেশি,প্রাইভেট বা পাবলিক এ পড়া বন্ধুরা চাকরি করছে দেড় বছর যাবৎ,অনেকে আবার বাড়ির বড় ছেলে বিধায় বিয়ের পিরিতেও বসেছে। আর আমি হতভাগা ৪ বছর এর অনার্স করলাম ৬ বছর যাবৎ,কিন্তু চাকরির CV তে লিখতে হয় শিক্ষা বর্ষ ২০০৮-২০১২ তাহলে পরের দুই বছর কই আমার।আমিত পাশ করেছি ২০১৪ তে। জীবনের সব কিছুতে দুই বছর স্নাতক আর ছয় মাস স্নাতকোত্তর মোট দেড় বছর পিছিয়ে গেলাম। এই সময় টাত ফিরে পাবনা কখনো, তার উপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর সার্টিফিকেট এর যে কি মূল্য চাকরির বাজারে সেটা আর নাই বললাম। তাইত জীবনের এই প্রান্তে এসে ভাবছি এইচ এস সি পাশ করে যদি বিদেশ এ চলে যেতাম বা কোন গার্মেন্টস এ চাকরি করতাম at list অভিজ্ঞতার ঝুলিতে কিছু লিখতে পারতাম।বাবা মার কষ্টটা একটু হলেও লাঘব করতে পারতাম। কষ্টটা আজীবন বুকের বাম পাশেই থেকে যাবে। দয়া করে শিক্ষামন্ত্রী সাহেব একটু নজর দেন প্লিজ।।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭