somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম এবং মাজার সংস্কৃতি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাজারের নামে মানত করা; গাছে সুতো বেঁধে দেয়া; কুমিরকে খাওয়ানো; কচ্ছপের শরীরের ছোঁয়া লাগানো পানি পান করা; আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইতে কাউকে দালাল হিসেবে মধ্যখানে নিয়ে আসা উচিৎ নয়। ইসলামে এর কোন বৈধতা নেই। তবে রেফারেন্স হিসেবে কারো কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কেউ যদি প্রার্থনা করেন, হে আল্লাহ শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমাকে মাফ করে দাও। তবে তা বৈধ। এখানে রেফারেন্স এবং মিডলম্যানের পার্থক্যকটা বুঝতে হবে। আল্লাহর কথা,
‘‘জেনে রাখো, নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে এবং বলে যে, আমরা তাদের ইবাদত এজন্যই করি যেনো তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাদের মধ্যে তাদের পারষ্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দিবেন। আল্লাহ্ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’’ (সূরা আয্-যুমার ৩৯, আয়াত ৩)



একটা উদাহরণ দেয়া যাক। সরকারী অফিসে আপনার একটা জরুরী ডকুমেন্টে সাইন লাগবে। আপনি কোন এক পিয়ন বা ব্যক্তির নিকট ডকুমেন্টটা দিলেন বসকে দেয়ার জন্য। সেই ব্যক্তি হয়তো আপনার কাজ করবে। তবে সেটাতে সময় বেশি লাগার বা ভূলে যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যায়। এছাড়াও আপনি যদি সরাসরি বসের কাছে কাজটা নিয়ে যান এতে যে রকম গূরুত্ব পাবে অন্য কেউ নিয়ে গেলে এতো গূরুত্ব না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। ঠিক তেমনিভাবে নিজেই আল্লাহর কাছে চাওয়াটা কি বেশি যুক্তিপূর্ণ নয়?

মূল কথা হলো আল্লাহ সার্বজনীন। সবার কথাই শুনতে পারেন। সুতরাং মধ্যস্ততাকারী হিসেবে এই বাবা সেই বাবার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। বিশ্বাসও করি না। আমি বিশ্বাস করি, আমার কথা আমার আল্লাহ সরাসরি শুনতে পারেন। আমার মনের আকুতি বুঝতে পারেন। তো মিডলম্যান হিসেবে গাছ, কুমির, গজার মাছকে নিয়ে আসার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। আল্লাহর বাণী,
‘‘তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্ত্তর উপাসনা করে, যা তাদের না করতে পারে কোনো ক্ষতি, না করতে পারে কোনো উপকার। আর তারা বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে অবহিত করতে চাও, যে সম্পর্কে তিনি আসমান ও জমীনের মাঝে অবহিত নন? তিনি পুতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত জিনিস থেকে, যে গুলোকে তোমরা শরীক করছো।’’ (সূরা ইউনুছ ১০, আয়াত ১৮)



আমরা বুঝে না বুঝে অনেক ধরনের শিরক করে থাকি। কাফের হয়ে যাই। ইসলাম খুব কঠিন বা সহজ নয়। পরিপূর্ণ জীবন বিধান। মেনে চললে সহজ; না মানলে কঠিন। এ ব্যপারে কোরআনের আয়াতের সরল অনুবাদ,
‘‘আল্লাহ কেবল শিরকের গুনাহই মাফ করেন না; উহা ব্যতিত আর যত গুনাহ আছে তা যার জন্য ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে লোক আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও শরীক করল; সে তো বড় মিথ্যা রচনা করল, এবং বড় কঠিন গুনাহের কাজ করল।’’ (সূরা আন-নিসা ৪, আয়াত ৪৮)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×