অজপাড়া গাঁয়ের ছেলেটাকে তুমি শিখিয়েছো,
বাম হাতে কাটা চামুচ ডান হাতে চাকু কিভাবে ধরতে হয়।
এক্সকিউজ মি বলা কতো সহজ তোমার কাছে! আর আমি?
এবরোথেবরো ইংরেজী শব্দে হোচট খাই প্রতিনিয়ত।
ভূল উচ্চারনে তোমাকে শোনাই, ভালোবাসি!
ডাগর চোখে বিস্ময় ভরা অবিশ্বাসে তুমি আমার কবিতা শোনো; রবীন্দ্রনাথ শোনাও।
দুষ্ট হাসিতে খুন হয়ে যায় আমার প্রসন্ন নির্জন দুপুর; বিষন্ন গোধুলী; দীর্ঘায়িত রাত।
বৃষ্টির মাদকতায় তোমার স্পর্শে জেগে ওঠে সবুজ আমিত্ব!
আমার চোখে পাহাড় সমুদ্রের রোমাঞ্চে তুমি বিস্মিত হও; বিস্মিত হও
কাপ্তাই লেক আর নীলগিরিতে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ দেখে!
শুভলংয়ের ঝর্ণা অথবা চাঁদের গাড়ীতে তোমার সাহস আমাকে সিন্দাবাদ বানিয়ে তোলে।
মনের ভেলায় আমি বাণিজ্যে নামি তোমার আত্মার ছায়াতে; দুই হাতে আকড়ে ধরি
আমার টারজানিক বৈশিষ্ট্য; এরাবিয়ান নাইটের সেই রাজকন্যা হয়ে তুমি গেয়ে ওঠো,
“তোমার সুতোয় বাঁধা আকাশ.........”
আমি ভেবে অস্থির হয়ে উঠি! মেয়েটার আকাশের সাথে আমার আকাশ জড়িয়ে গেছে।
এখন এক মেঘে দুই আসমানে বৃষ্টি হয়;
নিঝুম অরন্যের হাওয়ার মতো বুকের ভেতর ছুটে বেড়ায় মেয়েটা।
মানুষের ভিতর যে মানুষ থাকে; আমার ভিতর যে অস্তিত্ব থাকে;
সে শুধু মায়াবী মেয়ে; অতন্দ্রিলা।
আমার শান্তির সতেজতা এবং শুভ্রতা ক্রমবিকাশ।