তুই আর্য্য-অনার্য বুঝিস। কাহ্নপা থেকে শুরু করে রফিক আজাদ বুঝিস। সব বুঝিস। শুধু মানুষ বুঝিস না।
এতো সাহিত্য, এতো সেমিনার, এতো সংস্কৃতি তোকে কি শেখালো? তুই আলেকজান্ডারদের, ইংরেজদের, পাকিস্তানিদের হারিয়ে দিলি; আর সামান্য আত্নলোভের কাছে হেরে গেলি? বর্তমানে এতো যে নীতি; কি দিচ্ছে আমাদের? অশান্তি, মিথ্যাচার আর লাশ ছাড়া!
একটা দেশ ধ্বংস করাতে কোন মহত্ব নাই। মানুষকে ধ্বংস করাতে কোন বীরত্ব নাই। খুন করে উল্লাস করাতে কোন সুখ নাই। পারলে ভালোবেসে দেখা; যে তুইও পারিস।
শুধু আমার সোনার বাংলা গাইলে দেশপ্রেম হয় না; লাল সবুজ আঁকা টি শার্ট পড়ে শহীদ মিনারে গেলেই দেশপ্রেম হয় না। বুকের ভিতরে দেশের অস্তিত্ব থাকতে হয়; রক্তের পরোক্ষ গ্রুপের নাম বাংলাদেশ হতে হয়। তবেই না সেটা দেশপ্রেম।
রাস্তার পাশে সাধারণ মানুষকে লাথি মারাতে কোন কৃতিত্ব নাই; দুই টাকার জন্য রিক্সাওয়ালাকে চড় মারাতে কোন বাহাদুরী নাই। পারলে দূর্নীতিবাজ অসৎ রুই কাতলাদের থাপর মেরে দেখা; তুইও পারিস!
সিস্টেমকে শুধু শুধু গালাগালি করে কি লাভ? সিস্টেম কখনো সিস্টেম তৈরী করতে পারে না; সিস্টেমবাজ মানুষ লাগে। যারা জরাজীর্ণ ক্ষয়প্রাপ্ত শুধু তারাই পারে নিজের দূর্বলতাকে অন্য কিছুর উপর চাপিয়ে দিতে; আমিতো ভালো আছি বলে সবকিছুকে উপেক্ষা করতে। যারা আসল বীর; তাঁরা সিস্টেমের বুকের ভিতর দিয়ে ঢুকে পিঠ ফুড়ে বেড়িয়ে যায়। সিস্টেমকে দোষারোপ করে না।
হাত পা নাক কান চোখ থাকলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে বাহ্যিক চেহারার তুলনায় অদৃশ্য গুণাবলী বেশি প্রয়োজন। মানবতা, সততা, উদারতার প্রয়োজন। একজন মানুষকে মানুষ বানাতে; একটা দেশকে দেশ বানাতে; একটা পৃথিবীকে পৃথিবী বানাতে যার কোন বিকল্প নেই।