somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুরারোগ্য ক্যান্সারঃ সুস্থ্য থাকুক আপনার আপনজন

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগে বলা হতো, যার হয় যক্ষা তার নেই রক্ষা; মানুষ যক্ষা থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু ক্যান্সারের কোন এনসার উদ্ধার করতে পারেনি। মানুষের রক্ত মাংসের শরীরে অনেকগুলো কোষের সমন্বয় থাকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেগুলোর মৃত্যু এবং নতুন কোষের জন্ম হয়। সার্কেলের মধ্য দিয়ে কোষের জীবন চক্র চলতে থাকে। যদি কখনো কোষের মৃত্যু হার অপেক্ষা জন্ম হার বৃদ্ধি পায় তবে, তখন ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একে টিউমার বলে। টিউমার প্রধাণত দুই ধরণের হয়ে থাকে। বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট। বিনাইন টিউমারকে নিরীহ হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হতে পারে। অপরদিকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। যা কলা ভেদকারী কোষের বৃদ্ধিসহায়ক; ম্যালিগন্যান্ট টিউমার নামে পরিচিত।

ক্যান্সার কেন হয় এই প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান মানুষকে এখনো উজ্জ্বল আলোয় নিয়ে আসতে পারেনি। অতিরিক্ত আমিষ বা পুষ্টি গ্রহণ; পান জর্দা, ধুমপান বা মদপান; বয়স বৃদ্ধি; পারিবারিক জীনগত বৈশিষ্ট্য; রাসায়নিক তেজস্ক্রিয়তা; অতিবেগুনী রশ্মি; অন্যকোন অসুখের প্রভাব; কিছু হরমোনের অযৌক্তিক আচরণসহ বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে।

অন্যান্য রোগের মতোই ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিত করা যায় তবে তা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণগুলো হলো- খুব ক্লান্ত বোধ করা; ক্ষুধা কমে যাওয়া; শরীরের যে কোনজায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া; অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া; দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙ্গা; জ্বর সর্দিসহ রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া; অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা; ত্বকের পরিবর্তন হওয়া। এরকম লক্ষণগুলো বার বার দেখতে পেলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

একজন মানুষের দেহের বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সার হতে পারে। তবে তা মহিলা পুরুষ ভেদে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়। ত্বকের ক্যান্সার পৃথিবীর সব থেকে বেশি লোকের হয়ে থাকে। এ ক্যান্সারের প্রাদূর্ভাব সাদা বর্ণের লোকদের চেয়ে কালোদের অনেক কম। তুলনামূলকভাবে মহিলাদের চেয়ে পুরুষরাই এই ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং যারা রোদে বেশি কাজ করেন তাদেরই এই ক্যান্সার বেশি হতে দেখা যায়। এই ক্যান্সার ত্বকের বাইরের আবরণ অর্থাৎ বহিস্তক থেকেই উৎপত্তি হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাথা, মুখমন্ডল, ঘাড় ও হাতে বেশি হতে দেখা যায়। কারণ এই স্থানগুলোই সাধারণত পোশাক দিয়ে অনাবৃত থাকে এবং এখানেই রোদ পড়ে সব চেয়ে বেশি। ফলে রোদের প্রভাবে এই উন্মুক্ত ত্বকে ক্যান্সার হয় বেশি। দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত বা ঘা, যা কিনা চিকিৎসা করিয়েও ভাল হয় না। যার থেকে খুব অল্পতেই রক্তপাত ঘটতে থাকে এবং তা যদি আবার রৌদ্র প্রাপ্ত স্থানে হয় তাহলে অবশ্যই তা ক্যান্সার কিনা বিবেচনায় আনতে হবে এবং আক্রান্ত স্থান থেকে ত্বক কেটে নিয়ে বায়োপসি পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।


চিত্রঃ ত্বক ক্যান্সারের লক্ষণ।

শুধুমাত্র পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারকেই প্রস্টেট ক্যান্সার বলে। পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। প্রস্টেট গ্রন্থির মধ্যে কোষগুলো যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে তখনই ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছরের পর পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর চাইতে কম বয়সেও প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু সেটা সচরাচর দেখা যায় না। বয়স যতো বাড়তে থাকে, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততোই বেড়ে যায়। পরিবারের কারো যদি (ভাই কিংবা বাবার) প্রস্টেট ক্যান্সার থাকে তাহলেও ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।


চিত্রঃ প্রস্টেট ক্যান্সার।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার ১৫-৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। তবে সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সাধারণত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের নারীরা স্বাস্থ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন না বলে এই রোগের বিস্তার বেশি। তবে উন্নত দেশের নারীরা এবিষয়ে সচেতন এবং উন্নত জীবনযাপনের কারণে অনেকটাই এই রোগ থেকে নিরাপদ। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য ‘পেপস স্মেয়ার টেস্ট’ রয়েছে, যা উন্নত দেশের নারীরা দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করতে পারেন, যা অনুন্নত দেশে গ্রহণ করতে অনেক পারিবারিক ও সামাজিক বাধা রয়েছে। পেপস স্মেয়ার টেস্ট বা প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট, এজাতীয় ক্যান্সার সনাক্তকরণের একটি সহজ পরীক্ষা। জরায়ুমুখ থেকে রস নিয়ে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে ক্যান্সার, ক্যান্সার হওয়ার পূর্বাবস্থা ও জরায়ুমুখের অন্যান্য রোগ যেমন প্রদাহ সনাক্ত করা যায়। এটি একটি ব্যথামুক্ত ও সাশ্রয়ী পরীক্ষা পদ্ধতি।


চিত্রঃ জরায়ুমুখ ক্যান্সার।

সারা পৃথিবীতেই লিভার ক্যানসার ক্যানসারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। আশঙ্কাজনক সত্যটি এই যে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লিভার ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব পৃথিবীর অন্য যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যানসারের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আর অ্যালকোহল। আমাদের দেশে অবশ্য হেপাটাইটিস বি মূল কারণ। লিভার ক্যানসার নির্ণয়ের সহজ উপায় একটি নির্ভরযোগ্য আলট্রাসনোগ্রাম। তবে কখনো কখনো সিটিস্ক্যানেরও দরকার পড়ে।


চিত্রঃ লিভার ক্যান্সার।

খাদ্যনালির নিচের দিকের অংশ বৃহদান্ত্র ও মলাশয়। এ অংশটুকুর ক্যানসারকে ইংরেজি পরিভাষায় কোলোরেকটাল ক্যানসার বলা হয়। কোলন দেখতে অনেকটা টিউব আকৃতির মতো। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের কোলন প্রায় চার থেকে ছয় ফুট লম্বা হয় এবং এর গড় ডায়ামিটার বা ব্যাস প্রায় আড়াই ইঞ্চির মতো। কোলন হয়ে রেক্টামের মাধ্যমে শরীর থেকে মল নিষ্কাশিত হয়। এই প্রক্রিয়ার আগে শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যেমন নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন, লবণ, পুষ্টিকর পদার্থ এবং পানি কোলন শুষে নেয়। কোলন শরীরের মধ্যে প্রবাহমান তরল পদার্থের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বহুবিধ কারণে মানুষের শরীরে এই ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব হয়। যেমন, লাল মাংস (গরু ও খাসি), ঝলসানো মাংস ও প্রসেস করা মাংস বেশি খেলে কোলোরেকটাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি আছে, তাদেরও কোলোরেকটাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকিমিয়ার ক্ষেত্রে রক্তের শ্বেত কনিকা তৈরীতে সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে অস্বাভাবিক শ্বেত কনিকা তৈরী হতে থাকে ফলে রক্তের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকিমিয়া লক্ষন প্রধানত নির্ভর করে রক্তে কি পরিমান অস্বাভাবিক শ্বেত কনিকা আছে তার ওপর। ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকিমিয়া চিন্হিত করার জন্য কিছু পরীক্ষা করা হয়। রক্তের কোষ পরীক্ষা , বায়োপসি বা হাড়ের মজ্জা পরীক্ষার মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার চিন্হিত করা হয়।


চিত্রঃ লিউকিমিয়া।

স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশী বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। নিজের স্তনের ব্যাপারে প্রত্যেকটি নারীকে সচেতন হওয়ার ব্যাপারে জোর দেন চিকিৎসকরা। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, স্তনের আকার পরিবর্তন; স্তন বড় হয়ে যাওয়া বা ঝুলে পড়া; অন্য জায়গার তুলনায় স্তনের কোন জায়গায় চাকা হয়ে ওঠা অথবা স্তনের ত্বক পুরু বা মোটাভাব অনুভব করা; স্তনের ত্বক ভেতরের দিকে চলে যাওয়া বা ত্বকে ভাঁজ পরা; স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে চলে যাওয়া অথবা তার আকার বা আকৃতির পরিবর্তন দেখা দেয়া; এক বা উভয় স্তনবৃন্ত থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া প্রভৃতি। ঋতুস্রাবের সময় অনেকের স্তনের আকার বা স্তনবৃন্তের রঙ পরিবর্তন, স্তন ফোলা ইত্যাদি হতে পারে। এসময় অনেকের স্তনে ব্যাথাও করে। তার জন্য সেটা স্বাভাবিক। তাই সেগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।


চিত্রঃ স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ।

পূর্ব কিছু সতর্কতা ক্যান্সার থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারে। এ ব্যপারে প্রধাণ যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো সচেতনতা। নিজের শরীরের কোন পরিবর্তনে সজাগ থাকা, নিয়মিত চেকআপ করানো এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখা জরুরী। আমিষ জাতীয় খাবার পরিমানে কম গ্রহণ; নেশাজাতীয় খাবার বর্জন করা উচিৎ। আর নির্দিষ্ট কিছু ব্যয়াম মানুষকে সহজেই ক্যান্সারসহ আরো অনেক রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম।

ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। ক্যান্সার যদি অল্প একটু জায়গা জুড়ে থাকে বা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে, যে জায়গাটি ক্যান্সার আক্রান্ত হয় সেটির ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো এবং তার আশেপাশের কোষগুলোকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। তা সম্ভব না হলে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে শরীরের অংশবিশেষে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে সেই জায়গার কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়। অথবা কেমোথেরাপি ব্যবস্থায় ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে অ্যান্টি-ক্যান্সার (সাইটোটক্সিক) ড্রাগস বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ৫০টিরও বেশি ধরনের কেমিওথেরাপি ওষুধ রয়েছে। এগুলোর কোন কোনটা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ওষুধগুলোকে স্যালাইনের সাথে বা অন্য কোনভাবে সরাসরি রক্তে দিয়ে দেয়া হয়। রক্তের সাথে মিশে এই ওষুধগুলো শরীরের যেখানে যেখানে ক্যান্সার কোষ রয়েছে সেখানে গিয়ে ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। হরমোন থেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার অন্য একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শরীরের কিছু হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। শরীরের বৃদ্ধির সাথে হরমোনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কোন কোন ক্যান্সার এই হরমোনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে হরমোন থেরাপি ব্যবহৃত হয়। ক্যান্সারের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের মানসিক চিকিৎসার ব্যাপারে এখন জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা বেশ মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান, অনেকে মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পরেন। এই কারণে অনেক সময়ে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর না হলেও অনেকে দ্রুত মারা যান।


চিত্রঃ কেমোথেরাপি।

ক্যান্সার কয়েক প্রকারের হতে পারে। যার মধ্যে সবথেকে ভয়ংকর হলো লিউকেমিয়া। রক্ত কোষের ক্যান্সারকেই লিউকেমিয়া বলে। এই রক্তকোষগুলো হাড়ের মজ্জা থেকে জন্ম নেয়। কার্সিনোমা খুব সাধারন ধরনের ক্যান্সার। ফুসফুস, মলদ্বার, স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এর অন্তর্ভুক্ত। অন্য আর একটি ক্যান্সার হলো সার্কোমা। সাধারণত হাড়ের, কশেরুকা, চর্বি বা মাংসপেশির ক্যান্সারকে সার্কোমা বলে। এছাড়াও লিম্ফোমা ক্যান্সার উল্লেখযোগ্য। প্রত্যেকটা মানুষের শরীর জুড়ে লিম্ফ নোড ছড়ানো রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই লিম্ফ নোডের সাথে জড়িত। লিম্ফ নোডের ক্যান্সারকেই লিম্ফোমা বলে।

ক্যান্সার কাউকে গ্রাস করে ফেললে; চোখের সামনে আপনজনকে ব্যথায় কাতরানো দেখা ছাড়া আর তেমন কিছুই করার থাকে না। যেহেতু এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের পরিপূর্ণ কোন ওষুধ যেহেতু আবিষ্কৃত হয়নি; তাই আমাদের পূর্ব সতর্ক থাকা খুবই জরুরী। এবং আমাদের চারপাশের মানুষগুলোকে সচেতন করা আবশ্যক। কেননা কথায় আছে, Prevention is better than cure.

দায়স্বীকারঃ ছবিগুলো গুগল থেকে নেয়া এবং উপরের বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেট ও স্বাস্থ্য জার্নাল থেকে সংগৃহীত।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×