ধর্মের নামে অধর্ম হচ্ছে সর্বত্র। ইসলাম, হিন্দু, এমনকি নাস্তিক্য ধর্মেও এর প্রভাব বিস্তর। যার উদাহরণ বিভিন্ন যোগাযোগ সাইট গুলোতে বেশি। বিশেষ করে ফেসবুকে। কাবার ছবি পোস্ট করে আল্লাহর ওয়াস্তে লাইক চাওয়া হচ্ছে। ফটোশপে এডিট করা ছবিতে লেখা হচ্ছে মাশাআল্লাহ। মাছের গায়ে আল্লাহর নাম। লাইক দিন। ফলের ভিতর আল্লাহর নাম। লাইক দিন। মেঘের গায়ে আল্লাহর নাম। লাইক দিন। অস্থির অবস্থা। শিবলিঙ্গের ছবিতে লাইক দিন। কৃষ্ণের ছবিতে লাইক দিন। চারদিকে শুধু পূণ্য আর সোয়াব। এতো সহজ হতো যদি সবকিছু তাহলে তো আর নামাজ, রোজা করা লাগতো না। অন্যদিকে নাস্তিক্য ধর্ম আরো বেশি খারাপ। তারা এই ধর্মের খারাপ দিক; সেই ধর্মের পচা দিক নিয়েই ব্যস্ত। নিজেদের করুণ ধর্মের দিকে কোন খেয়াল নাই। তবে সব ক্ষেত্রেই যৌক্তিক মানুষ আছেন। যার ফলেই দুনিয়াটা এখনো সুন্দর।
বেশি সহজ সরল এবং মূর্খতা কোন ভালো গুণ হতে পারে না। ছোট বেলায় দেখতাম, ইশকুলের বন্ধুরা মাঝে মধ্যে কিছু কাগজ বিলি করতো। কবরের আজাব, মৃত্যু ভয়, পুরুস্কারের লোভ, স্বপ্ন দেখাসহ বিস্তর বর্ণনার পর বলা হতো এই কাগজ একশ কপি ছাপিয়ে বিলি করুন। মনোবাসনা পূর্ণ হবে। আর কেউ যদি অবিশ্বাস করে তো তার সাতদিনের মধ্যে মৃত্যু হবে। আমি ভয় পেতাম এবং অবিশ্বাস করতাম। যেহেতু আজ পর্যন্ত বেচে আছি সেহেতু ওই কাগজগুলোর কোন ক্ষমতা ছিলো না বলেই প্রামাণিত হয়।
ধর্ম মানে ধারণ করা। সেক্ষেত্রে ভালো কিছুকে ধারণ করা কি যৌক্তিক নয়? মানুষের মঙ্গল করতে বলে যে ধর্ম; পৃথিবীর কল্যানের জন্য যে ধর্ম; যে ধর্মে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় সেটাই তো আসল ধর্ম। আমরা কাজের কাজ কিছু করছি না শুধু বাড়াবাড়িটাই করতে শিখেছি। আমার ধর্মের এই জিনিসটা উত্তম, সেই জিনিসটা বেস্ট, তোমার ধর্মের সবকিছু খারাপ; আর এভাবে তর্কেই ধর্ম পালন করে থাকি। একবার নিরপেক্ষ মন নিয়ে ভেবে দেখলেই তো বোঝা যাবে যে, অন্যের দই হয়তো টক না।