দুইমাসের প্রেম। ভালোবাসাবাসির
প্রথম
স্তর মোটামুটি শেষ। রোমান্টিক কথা,
আবেগঘন চ্যাটিং, তোমার জন্য এই
পারি -
সেই পারি; মরতে পারি, বাঁচতে
পারিও শেষ
...
এবার দ্বিতীয় স্তরেঃ মোবাইল, ইনবক্স
ছেড়ে প্রেম এবার মুখোমুখি। হাত ধরে
ঘোরাঘুরি, ডেটিং-
ফেটিং ( আধুনিক সংস্করণ) , জড়িয়ে
ধরা
অবশেষে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে লম্বা চুম্বন
...
দ্বিতীয় স্তর শেষে কাছাকাছি
আসার
প্রবণতা বাড়ে। বিপরীত মেরুর আকর্ষণে
কাছাকাছি হতে চায় দুটি শরীর !
মেয়েটি
অপেক্ষা করে, ছেলেটির অসহ্য লাগে
...
ছেলেটি বেহায়া হয়,
মেয়েটি খুশি হয়। এখন
আবেগী কথোপকথন কম হয়, যৌনকথন
বেশী
হয়
... বেশ !
অপেক্ষার পালা শেষ। এবার সুযোগ
আসে।
রুমডেট ! ( আধুনিক সংস্করণ) ! ছেলেটি
নিতে
চায়, মেয়েটি অভিনয় করে দিয়ে দেয়
...
অতঃপর .... হাসিমুখে বাড়ি ফিরে ,
হাসি
মলিন হতে সময় লাগেনা আর । প্রথমে শুরু
হয়
অপরাধবোধ! সেটা কাটিয়ে উঠতেই
অবিশ্বাস শব্দটা মাথায় জেঁকে বসে !
তিন
মাসেই যে মেয়ের দেহ পাওয়া যায়
অতিসহজে, গত সতের বছরে না জানি
কতবার
ওই দেহ কত বিছানায় লুটিয়েছে "
ছেলেটি ভাবে আনমনে ! শক্ত করে মন।
যত
যাই করি , এ
মেয়েকে বিয়ে করা যায়না, শুধু
রুমডেটই
সম্ভব !
বিচ্ছেদ! ব্রেকাপ ( স্মার্ট শব্দ)
অতিআধুনিক
মেয়েগুলো সামলে নেয় সহজেই। হয়তো
এসব
জেনেই শুধু ওই সাময়িক বিনোদনের
জন্যই এই
সম্পর্কে আসা ! হাফ ছেড়ে বাঁচে । নতুন
চিড়িয়া খোঁজে।
কিন্তু সাময়িক আবেগের
ঘোরে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া মধ্যবিত্ত
ঘরের
মেয়েদের কি হয় ?
এতখানি বিশ্বাসের পর এতবড় ধাক্কা
সহ্য
হয়না । প্রেমিককে বারবার
বোঝানোর
চেষ্টা চলে, সেও হয়তো এ সুযোগ
খুঁজছিলো
।
আবার যেতে হবে বন্ধঘরে ।
ভালোবাসা
টিকিয়ে রাখতেই হবে! দ্বিধা,
সংকোচ ভুলে
ভালোবাসার কাছে যায় মেয়েটি !
এই সুযোগ ছাড়বে কেন ছেলেটি?
একবার
ধোঁকা খেয়ে যে মেয়ে আবার আসতে
চায়
তাকে মা*
বলতে দ্বিধা নেই। বন্ধুরাও অনুরোধ
করে,
কতদিনের
শুকিয়ে যাওয়া গলাটা ভিজিয়ে
নিতে চায়
তারাও। বন্ধুদের অনুরোধ ফেলা
যায়না !
লজ্জ্বা, ঘৃণা ! বলার মত কেউ নেই,
যাওয়ার
জায়গা নেই তরুণীর। দেশ বা সমাজের
কোন
ক্ষতি হয়না এতে।
হয়তো একটা বেশ্যা বাড়ে সমাজে
নতুবা
বাড়ির পাশের কবরস্থানে নতুন
মাটি দেখা যায় !