' জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের দাবী আদায়ে ট্রাক মিছিল '
একই ব্যানার লাগানো সব টেরাকের সামনে। মটর সাইকেলে বইয়া টেরাক মিছিলরে যারা লিড দিতাছে হেগো ভাবসাব দেইখ্যা কিন্তু মনে অইলনা হেরা জাহাজ ভাইঙ্গা জীবন চালায়। একেক জনের ভাব-সাবই আলাদা। চউক্ষে বিলাতী চশমা লাগানো এক সাহেবে(?) হের দামী বাইক থামায়া কিছু বুঝনের আগেই আমাগো সি এন জি আলারে দিল ঠাঠায়া এক চড়।
'ওই ........ পোলা। মিছিল দেহসনা চউক্ষে? সরা পিছনে তোর সি এন জি। হা....র জাত।'
সি এন জি আলা করুণ চউক্ষে একটু সাপোর্টের আশায়ই মনে লয় চাইল আমাগো দিকে। আমরা সাহসী তিন মরদ চায়া চায়া দেখলাম শুধু। বিপদে পরুম নাকি কিছু কইয়া? সি এন জি আলা আস্তে কইরা কি একখান দীর্ঘ:শ্বাস ছাড়ল?
একটু আগাইতেই দুই গুণ উৎসাহ লইয়া আরেক সাব(?) আইয়া দিল আরো এক থাপ্পড়! জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক গো লাইগ্যা যাগো এত দরদ, গরীব সি এন জি আলার প্রতি হেগো এত বিরুপ আচরণের কোন কারণ খুইজ্যা পাওয়া গেল না।
মনটা ভার হইয়া থাকল বাকিটা পথ।
কুমিরায় জায়গামত পৌছাইলাম। সি এন জি থিক্যা নাইম্যা ভাড়ার লগে বিশটা টেকা বাড়ায়া দিয়া সাবিত ভাই আমাগো অপরাধবোধ হালকা করনের লাইগ্যাই মনে লয় সি এন জি আলার কান্ধে হাত রাইখ্যা কইলেন- 'সরি ভাই'।
জোয়ারের বাধ মনে লয় ভাইঙ্গা গেল এতক্ষণে। দেখলাম শক্ত সমর্থ মানুষটার দুই চক্ষু ভাইঙ্গা পড়া পানির ফোটা গুলা মুখের ঘামের লগে মিশ্যা বুক ভিজায়া দিতাছে।
মাথা নিচু কইর্যা যখন ফিরা আইতেছি, মানুষটার কান্দনের শব্দ ততক্ষণেও বাতাসে মিলায় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




