হুমায়ুন আজাদের এই বইটা আমি পড়িনি,কিন্তু নামটা কেন জানি আমার খুব মনে ধরেছে।আসল বইটার বিষয়বস্তু কি জানিনা কিন্তু আমার লেখার শিরোনাম হিসেবে দিব্বি চালিয়ে দিছ্ছি।
কেন জানিনা নদী কিনিসটা আমাকে খুব টানে।সাতার জানিনা,নদীতে সাতার কাটা তাই হয়ে ওঠেনি,এমনকি নৌকায় চড়তেও ভয় পাই আমি, কিন্তু নদীর কাছে যেয়ে মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকি।পদ্মা,মেঘনা,যমুনা তো সবাই দেখেছে আমি দেখেছি ছোট্ট নদীগুলোও...কি সুন্দর নাম..চিত্রা,মধুমতি,রুপসা,বলেশ্বর,কী্র্তনখোলা,করতোয়া,তিস্তা,নাগর,সন্ধ্যা,ধরলা আরও কত!!
মনে আছে একবার রাতে পায়রা নদী পার হছ্ছিলাম ফেরীতে।চারপাশে অথৈ পানি,উপরে কাল আকাশের মাঝে ফুটে আছে তারারা..মনে হছ্ছিল আমি হারিয়ে গেছি।বরগুনা শহরে সাপের মত একটা নদী একেবেকে গেছে,নামটা জানিনা।গাড়ী নিয়ে যেদিকেই যাই,একটু পর পর তার সাথে দেখা হয়ে যায়।বেশ মনে আছে গনগনে দুপুরের সন্ধ্যা নদীকে।ভরদুপুরে চারদিকে কোন জনমানুষ নেই, দিগন্ত জুড়ে শুধু ফেরীর ধকধক শব্দ।কনকনে শীতে শীতলক্ষ্যার পারে বসে রুই মাছ খেয়েছিলাম..মুখে লেগে আছে।আর একবার ধরলা ব্রীজের কাছে যেতেই একটা কুকুর আমাদের দেখে দৌড়ানো শুরু করল।আমরা যতই কাছে যাই,সে তত জোরে দৌড়ায়।এক সময় আমাদের গাড়ী তাকে পেছনে ফেলল।সে দৌড় থামিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল,চোখে রাজ্যের বিস্ময়।সে কেন ভেবেছিল আমরা তার ক্ষতি করব?
নদীর কথা অনেক হল,সরোবর দিয়ে শেষ করি।রাজশাহী থেকে চাপাই নবাবগন্জ যাছ্ছিলাম।পথের বাম পাশে হথাৎ দেখি বিশাল বড় এক পুকুর।পুকরের এক পাশে একটা মাচায় একটা ছেলে ঘুমিয়ে আছে আম গাছের ছায়ায়।দারুন বাতাস,আম গাছের ডালে ডালে পাতায় পাতায় সরসর শব্দ,বাতাসে পুকুরে ওঠা ছোট্ট ঢেউ গুলোও আমি দেখতে পাছ্ছিলাম।খুব ইছ্ছে হছ্ছিল গাড়ী থামিয়ে একবার পুকুর পারে যেয়ে বসি,ঘাসের চাদরে শুয়ে মাটির গন্ধ নেই..কাজের চোখরাঙানিতে সেটা হয়ে ওঠেনি।আজ মনে হয় কি ক্ষতি ছিল একটু থামলে?আর কি কখনো পুকুরের পারে যাওয়া হবে?যদিবা যাই, বাতাস জড়ান,রোদ মেঘে মাখামাখির আশ্বিনের সেই মধ্যাহ্ন কি ফিরে পাব??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




