কি?? শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন না তাইতো??
কিভাবেই বুঝবেন বলেন???
আমাদের দেশি মিডিয়া তো অতটা ফলাও করে প্রচার করেনি যে নামটা বলার সাথে সাথেই চিনে ফেলবেন!!
বাস্তব গল্পটা আমিই বলছি.....
সিদ্দিক..... পুরো নাম জানা নেই.. বাবা নেই ছেলেটার।বাড়িতে বৃদ্ধা মা। ঢাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিতুমীর কলেজে অনার্স এ ভর্তি হয়েছিলো হাজারো স্বপ্ন নিয়ে।চলতে থাকে এভাবেই ২টি বছর।আর সিদ্দিকও ভাবতে থাকে কখন সে পড়াশুনা শেষ করে ভালো একটা চাকুরী নিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে বলবে - মাগো তোমার আজ থেকে আর কোন কষ্ট থাকবেনা মা।তোমার ছেলে ভালো চাকুরী পেয়েছে।
মা ও খুশি হয়ে বেহেশতি হাসি দিয়ে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিবে।
।
কিন্তু না!!!!!! হলোনা!!!! কিচ্ছু হলোনা!!!
তার স্বপ্নের মাঝে বাধা হয়ে দাড়ালো অনেক বড় দেয়াল.
।
জাতীয় বিশ্বিদ্যালয় যখন সেশনজট নিরসনে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ঠিক সেই মুহুর্তে ঢাবি গড়পরতা ভাবে কোন কারিকুলাম না বানিয়ে তিতুমির সহ ঢাকার বড় বড় ৬টি কলেজ তাদের অধিনে নিয়ে নেয়।যা এখন বাঘের গলায় হাড় আটকে যাবার মত।
এখানে উল্লেখ্য যে,১৯৯১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ঢাবি সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমানোর উদ্দেশ্যে।সেই ঢাবিই নাকি আবার ঢাকার কলেজগুলো তাদের অধিনে নিচ্ছে সেই সেশনজট কমাতে!!!! যদিও হাস্যকর ব্যাপার!!!তবুও কিছু বলার নেই।যাই হোক,
সাত কলেজ নেয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা ও তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।সেশনজট নিরসনের কথা বলে সেশনজটে আটকে ফেলছে সবার জীবন!!
।
এরই পরিপেক্ষিতে,গতকাল বৃহষ্পতিবার সাত কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা শাহাবাগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে, না কোন গাড়ি ভাংচুর না কোন উশৃংখলতা,,,তবুও তাদের উপর পুলিশ নজিরবিহীন হামলা চালায় যার ফলে সিদ্দিক নামের তিতুমির কলেজের ৩য় বর্ষের এক ছাত্রের দু চোখ ফেটে যায় এবং সে এখন অন্ধ!!!!!!!!!!!!!
।
আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন এটা কেমন দেশ??? যে দেশে শিক্ষার অধিকারের আন্দোলন করলে অন্ধ হতে হয়!!!!! ছিঃ ছিঃ ঘৃণা হয় আপনাদের প্রতি।ধিক্কার জানাই।থু থু দেই।
।
যে হাত দিয়ে অন্যের সন্তানের দুচোখ নষ্ট করে দিয়েছেন সে হাত দিয়ে নিজের সন্তানকে কোন মুখে স্পর্শ করবেন???
হাতটা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিবেন কারণ ওই হাতেই লেগে আছে একজন দেশ গড়ার কারিগরের তাজা রক্ত!!! ওই হাত দিয়ে খুন করেছেন ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দেখা দুটি নিরপরাধ চোখ কে।।
আরে আপনারা কিভাবে বুঝবেন সিদ্দিকের পড়াশুনা করে এতদুর আসতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে??? আপনারা তো ৮ম শ্রেনী পাস।আপনারা বুঝবেননা অনার্স এর মূল্য কি!!!!
।
জানিনা সিদ্দিক তার ওই চোখ দিয়ে এ দুনিয়ার আলো দেখতে পাবে কিনা,দেখতে পাবে কিনা তার বৃদ্ধা মায়ের নিশ্পাপ মুখ খানি যা দেখে তার প্রাণ জুড়াতো!!!!
।
তবে স্রষ্টার কাছে একটাই আকুতি, যে যে সিদ্দিকের চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে তুমি তাকে হেদায়েত দান করো আর যদি সে হেদায়েত না হয় তবে তাকে এমন শাস্তি দাও যেন তাকে দেখে আর কখনো এমন করার কেউ সাহস না পায়।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



