somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বগুড়া সদর থানার অন্তর্ভুক্ত অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক একটি স্থান গোকুল মেধ

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সদর থানার অন্তর্গত মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে গোকুল নামক গ্রাম এবং গোকুল, রামশহর ও পলাশবাড়ি গ্রাম তিনটির সংযোগ স্থলে অবস্থিত খননকৃত এই স্থাপনা গোকুল মেধ,আর আমাদের অনেকের কাছে এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত। অনেকে অবশ্য এটাকে লক্ষ্মীন্দরের মেধ বলেও থাকেন।


এই স্থাপনাটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।

ইষ্টক নির্মিত এই স্তপটি পূর্ব পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত ভাবে দীর্ঘ। এখানে ত্রিকোণ বিশিষ্ট ১৭২ টি কক্ষ আছে। সেই কক্ষগুলো দেখতে অনেক অস্বাভাবিক এবং এর এলোমেলো নির্মাণশৈলী এর বোধগম্যতাকে আরো দুর্বোধ্য করে তোলে। এই স্তূপটি বাসর ঘর নয়। এই স্তূপটির পশ্চিম অংশে আছে বাসর ঘরের প্রবাদ স্মৃতিচিহ্ন।


এর পূর্ব অংশে রয়েছে ২৪টি কোণ বিশিষ্ট চৌবাচ্চাসদৃশ একটি স্নানাগার। উক্ত স্নানাগারের মধ্যে ছিল ৮ ফুট গভীর একটি কূপ।
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তররের মতে এই স্থাপনাটি আনুমানিক খৃস্টাব্দ ৭ম শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে এখানে বেহুলার বাসর হয়েছিল। যা সেন যুগের অনেক পূর্বেকার ঘটনা। তবে বর্তমান বিশেষকদের মতে এই কীর্তিস্তম্ভ ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৌদ্ধমঠ। এখানে বহু গর্তযুক্ত একটি ছোট প্রস্তর খণ্ডের সঙ্গে ষাঁড়ের প্রতিকৃতির একটি স্বর্ণ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। আর সেটা থেকেই ধারণা করা হয় যে এটি একটি বর্গাকৃতির শিব মন্দির ছিলো। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা এবং হিউয়েন সাং তাদের ভ্রমণ কাহিনীতে এটাকে বৌদ্ধ মঠ রূপে উল্লেখ করেছিলেন বলেও জানা যায়। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই মেধকে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রূপে উল্লেখ করা হয়েছে যা নির্মাণ করা হয়েছিল পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানীকে বাইরের শত্রু থেকে রক্ষা করার জন্য।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।ছবি কৃতজ্ঞতা বাংলা উইকি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২
১০টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×