somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্প : ম্যানিয়াক

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েটি পড়ে রয়েছে অন্ধকার ঘরে ; বিবস্ত্র । টিনের চালের ফুটো দিয়ে দু'এক চিলতে আলো এসে পরিবেশটাকে আরও অসহায় করে তুলছে । ঢাকার কোথায় টিনের ঘর থাকে , মেয়েটি তা জানেনা । তাছাড়া তলপেটে আর দুই উরুর সন্ধিস্থলের প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে এত কিছু ভাবারও সময় নেই তার । কি করে ব্যথা কমবে , দাঁতে দাঁত চেপে শুধু সেটাই ভাবছে । কিছুক্ষন পর জ্ঞান হারালো মেয়েটি ।

- " মেয়েটিকে ১৩ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে বস । " __ বলল ভ্রুহীন কালো চশমা পরা লোকটি ।
- " হুম , হেভি দম আছে মেয়েটার । সাতজনের চোদা খেয়েও কেমন সয়ে গেছে দেখলি ? "
কালো চশমা উত্তরে এমন তরল কথা আশা করেনি । কারন বস গম্ভীর মানুষ । এর অর্থ বস আজ ফুর্তিতে আছেন ।
- " জিনিস গুলো রেডি রাখ , আজই পার্টিটা শেষ করতে হবে । "
বসের আদেশ পেয়ে কালো চশমা চলে গেলো । সে খুব উত্তেজিত । দারুন পার্টি হবে আজ রাতে । তার অপেক্ষায় আছে সবাই ।
লোকগুলো তাকিয়ে আছে বিশাল টিভি স্ক্রিনের দিকে । গতকাল রাতটা তাদের খুব চমৎকার কেটেছে । তেরো বছরের একটা মেয়ের উপর সাতটা পুরুষ যেই অনায়াস ভঙ্গিতে তাদের কার্য সম্পাদন করেছে , তা অনবদ্য । তার উপর মেয়েটির প্রচন্ড আর্তনাদ _ সব মিলিয়ে যেন সর্গীয় সুধা পান করছিল । আজকের পার্টিতে নাকি আরও চমক আছে ।
জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে তীব্র আলোর নিচে আবিষ্কার করলো মেয়েটি । মাথাটা ব্যথা করছে খুব । সেই সাথে তলপেট আর যোনির ব্যথা তো রয়েছেই । দু'জন লোক এসে মেয়েটিকে ক্রুশ শেপের একটা বাঁশে বেঁধে ফেলল । আর সামনে একটা টেবিলের উপর নানা ধরনের যন্ত্রপাতি । লোক দু'টো সরে যাওয়ার পরেই বসের আগমন ঘটল ঘরে । লোকটিকে দেখেই ভীষণ চমকে উঠলো মেয়েটি ।
- " বা-বা-বাবা , তুমি ? "


আজ সকালে রামপুরা ব্রীজের নিচে একটি কিশোরীর লাশ পাওয়া গেছে । কিশোরীর হাত-পায়ের নখ সব প্লায়ার্স দিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে । স্তনবৃন্ত কেটে ফেলা হয়েছে ধারালো ছুরি বা কাঁচি জাতীয় কিছু দিয়ে । আর লম্বা একটা রড তার যোনীতে প্রবেশ করানো হয়েছে যা তার মুখ অবদি লম্বা । পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী উপর্যুপরি ধর্ষনের পর প্রচন্ড নির্যাতন করে মারা হয়েছে মেয়েটিকে । পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী একটা ম্যানিয়াক সংগঠন এই কাজগুলো করছে । কিন্তু তাদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ এখনও অন্ধকারে । ধারণা করা হচ্ছে সমাজের উঁচুতলার প্রভাবশালী কিছু মানুষ এই সংগঠনের সাথে জড়িত ।
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×