রেঁনেসার ফলে ইউরোপে যে আধুনিকতার জন্ম হয় তা একসময় সাম্রাজ্যবাদকে ইন্ধন যোগায় এবং পরে উপনিবেশ বিস্তারে মূল্যবান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাম্রাজ্যবাদে শক্তিশালী কেন্দ্র দূরবর্তী কোন অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব অনুশীলন করে। অপরদিকে উপনিবেশবাদ বলতে বুঝায়,
…imposition of political control through conquest and territorial expansion over people and places located at a distance from the metropolitan power.”১
ব্লান্ট উপনিবেশবাদে তিনটি পর্যায়কে চিহিৃত করেছেন ২। প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে ষোল শতকে । এসময় ইউরোপীয় শক্তিগুলো বিভিন্ন রক্তয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে তীব্র আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়। এ সংকট নিরসনের জন্য প্রয়োজন ছিল প্রচুর পরিমাণ স্বর্ন ও রোপ্য যা পাওয়া গিয়েছিল দণি আমেরিকায় । ফলে স্পেনীয় ও পর্তুগীজরা দলে দলে গিয়ে দণি আমেরিকায় স্থাপনা তৈরী করে
যা ক্রমে উপনিবেশে রূপ লাভ করে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আফ্রিকা থেকে প্রচুর দাস ধরে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর ও দণি আমেরিকার উপনিবেশের অধীনে অমানবিক পরিশ্রমের কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য । এসময় বিভিন্ন উপনিবেশে উৎপন্ন কাঁচামাল ও দ্রব্য অন্যান্য উপনিবেশে ও ইউরোপে বিক্রয় করা হতো।
তৃতীয় পর্যায়ে ,দ্রুত শিল্পায়নের ফলে ইউরোপে প্রচুর পরিমান দ্রব্য উৎপাদিত হয়; উৎপনিবেশগুলো ছিল এসব দ্রব্যের বাজার এবং কাঁচামালের উৎস। প্রথমদিকে পর্তুগাল , স্পেন, ইংল্যান্ড ফ্রান্স প্রভৃতি দেশগুলোই উপনিবেশিক বাজার বিস্তারে অগ্রণী ছিলো। পরবর্তীতে শিল্পায়িত অন্যান্য দেশগুলোও এ পদাঙ্ক অনুসরণ করে। উপনিবেশ হতে স্বাধীনতা লাভকারী ও দাসপ্রথা বিলুপ্তকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , নব্যসৃষ্ট জার্মানী এমনকি প্রাচ্যের দেশ জাপানও বাজার বিস্তারের জন্য উপনিবেশ স্থাপনে তৎপর হয়।
২
উপনিবেশিক শক্তি সমূহ কেবল অস্ত্রের জোরে শত শত বছর টিকে থাকেনি। তারা সাথে নিয়ে এসেছিল বিভিন্ন ধারণা ও মতবাদ। তাদের নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী উপনিবেশীত অঞ্চলে সৃষ্টি করেছিল একদল তথাকথিত শিতি শ্রেণী যারা শাসকদের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। শাসকদের তৈরী মতবাদসমূহ প্রচার করতো তাদের শ্রেষ্টত্ব এবং উপনিবেশিত জনগনের নিকৃষ্টতা । যার ফলে উপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণী শাসকদের বিরুদ্ধে কখনো মাথা তুলে দাড়াঁয়নি এবং উপনিবেশিক বাস্তবতাকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছে। উদাহরণস্বরুপ , উপনিবেশিক শিাব্যবস্থার গুরু লর্ড মেকলের কথা উল্লেখ করা যায়। কোন ভারতীয় বা আরবী ভাষা না জেনেই সেকালে মন্তব্য করেছিলেন; “ভারত ও আরবের সমস্ত দেশীয় সাহিত্যের যা মূল্য তা ইউরোপের ভাল গ্রন্থাগারের একটিমাত্র সেলফে সাজানো বইয়ের সমান”৩। এদেশীয় শিতি শ্রেণী এধরনের মন্তব্যে বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং ইংরেজ শাসনকে দেখেছিল ‘ অসভ্য’ ভারতকে ‘সভ্য’ করার মিশন হিসেবে। তাই মেকলে যখন ঘোষনা করেন- “আমরা নিশ্চিত যে ভারতবর্ষ একটি অবাধ সরকার পেতে পারে না, কিন্তু ভারতবর্ষ ঠিক পরের শ্রেষ্ঠ জিনিসটা পেতে পারে - একটি সুদৃঢ় পপাতহীন স্বৈরাচার ” ৪ , তখনও ‘ভদ্রলোক’ শ্রেণি কেঁপে উঠে নি। রাজা রামমোহন রায় , বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী , নওয়ার আবদুল লতিফ, সৈয়দ আহমদ খান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ ইংরেজসৃষ্ঠ রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতারা ইংরেজ শাসনকে চ্যালেঞ্জ করার দু:সাহস দেখাতে পারে নি । তারা কেউ স্বাধীন ভারত চায়নি , বরং স্বরাজ, স্বায়ত্বশাসন, দায়িত্বশীল সরকার, ডমিনিয়ন স্টাটাস ইত্যাদির নামে দান্যি ভিা করেছিল। ল-উদ্দেশ্য , সাফল্য - ব্যর্থতা যাই হোক না কেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র আঘাত সবসময় এসেছিল তথাকথিত অশিতি নিম্নশ্রেনীর জনগনের নিকট থেকে। তীতুমীরের সংগ্রাম, ফরায়েজী আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ থেকে ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে উচ্চশ্রেণীর শিতি হিন্দু বা মুসলমান কারো সমর্থন ছিলে না। শিতি শ্রেণির লোকেরা বরং ইংরেজদের সহযোগী হয়ে এসব ‘বিদ্রোহ’ দমনে ভূমিকা রাখেন। রবীন্দ্রনাথ যখন তাঁর ‘কন্ঠরোধ’ প্রবন্ধে নিম্নোক্ত মন্তব্য করেন তখন তাঁকে ইংরেজদের সহযোগীই মনে হয় , “সিপাহী যুদ্ধের সময় অনেক রাজপুত ও মহারাষ্ট্রীয় বীর তাঁহাদের বীর্য অযথা পথে নিয়োজিত করিয়াছিলেন..... তাহাদের কার্য লইয়া গৌরব করিবার আমাদিগের অধিকার নাই”। তিনি কতটুকু হীনম্মন্যতাবোধে আক্রাক্ত হয়েছিলেন তা বোঝা যায় উপরোক্ত প্রবন্ধে ব্যবহৃত তার শব্দগুচ্ছের দিকে নজর দিলে। তিনি বলেছেন, আমারা ‘স্তন্যপায়ী উদ্ভিজ্জাশী জীব, আমরা শান্ত— সহিষ্ণু উদাসীন’, ‘সম্পূর্ন নি:সত্ত্ব নিস্তেজ জাতি’ ’আমরা দুর্বল জাতি‘ ইত্যাদি। ইংরেজদেরকে অভিহিত করেছেন, ‘ইংরাজ আমাদের একেশ্বর রাজা ; স্বাধীনতা পুজক ইংরেজ’ প্রভৃতি বিশেষণে। ভারতের জাতির জনক গান্ধীও ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্কটিকে ভালোবাসার ‘রেশমী সুতোর’ বন্ধন বলে উল্লেখ করেছেন। ৫ গান্ধী ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চাননি, চেয়েছেন ‘অহিংসা’র পথে আপোসের মাধ্যমে ইংরেজদের নিকট থেকে কিছু সুবিধা আদায়ের । গান্ধী তাঁর আন্দালনের কর্মসূচিকে সবসময় ইংরেজের আইনে ‘বৈধ’ রাখার চেষ্ঠা করতেন এবং আন্দালনের বিষয়ে বড়লাঠকে আগেই জানিয়ে রাখতেন। আন্দোলন কোন সময় জনগণের চাপে ‘বৈধতা’র সীমা অতিক্রম করলেই তিনি কর্মসূচি বাতিল করতেন। গান্ধীর ষড়যন্ত্রের কারনেই সুভাষচন্দ্রের মতো বিপ্লবী নেতাকে অল্পবয়সে মূলধারার রাজনীতি থেকে সরে যেতে হয়েছিল।
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ দু’দলই ছিল মূলত সামন্ত ও বুর্জোয়া পরিচালিত । দু’দলের নেতারাই গণআন্দোলনকে ভয় পেত কারণ সাধারণ জনগণ জেগে উঠলেই তাদের অস্তিত্বের সংকট শুরু হয়ে যাবে।
৩
আজ উপনিবেশবাদ নেই কিন্তু রয়ে গেছে উপনিবেশী মন এবং এসেছে নব্য উপনিবেশবাদ। দৈনিক প্রথম আলো যখন দেশের আনাচে কানাচে ’সাদা মনের মানুষ’ খোঁজে তখন মনে পড়ে যার ইউরোপসৃষ্ট সাদা বর্ণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা । যেকোন ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন মানেই ‘সাদা’র শ্রেষ্ঠত্বের প্রচার। অবৈধ অর্থকে আমরা এখনো বলি কালো টাকা ।
উপনিবেশিক কালের বর্ণবাদী জ্ঞান চর্চা উপনিবেশ - উত্তরযুগেও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমা মিডিয়ায় ‘ইসলাম’ কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন এবং, একমাত্র ‘রাজনীতিপ্রবন’ ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করা উপনিবেশিক জ্ঞানচর্চার ধারাবাহিকতা। এেেত্র একবাল আহমেদ প্রদত্ত ইরানী বিপ্লবের উদাহরণ দেয়া যায়। ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জিমি কার্টার থেকে শুরু করে ওয়াল্টার ক্রনকাইটকে অবাক করেছিল ইরানে বৈপ্লবিক উত্থান সম্পর্কে ভবিষ্যৎবানী করার েেত্র বিশেষজ্ঞদের ব্যর্থতা । বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞগণ ইরান ও তার ইতিহাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে এসেছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা প্রফেসর লিওনার্ড বিল্ডার যেমন লিখেছেন।
“একটি জাতি হিসেবে ইরান অতীতকাল থেকে অন্য জাতি কতৃক শাসিত হয়ে এসেছে। তার ধর্ম নিজের জন্য প্রতিকূল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এই ধর্ম ( শিয়া মতবাদ) তার উপর কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল যেটিকে তারা পরবর্তীতে পরবর্তীতে বিকৃত করেছিল ,আরব আক্রমনকারীদের ফাঁকি দেওয়ার ল্েয। ইরানী জনগণের কোন যুদ্ধ- বীর নেই। সে দেশ কবি ও চি›তাবিদদের উপর ভরসা করে না, এবং- নিজ ভাগ্য পরিবর্তনে তাদের সহায়তা থেকেও তারা বঞ্চিত”।
ইরানের শাহ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বন্ধু । তিনি ছিলেন আধুনিক, ইসলাম বিরোধী এবং তথাকথিত বিশেজ্ঞদের প্রতি উদার। ইরান সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মারভিন জেনিসের মতে,
“বিদেশী পন্ডিতদের প্রতি শাহ’র রাজকীয় উদারতা ছিল সাহসী এবং অভিনন্দনযোগ্য। শাহেন শাহ’র অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে পুরোমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ ছিল। সন্দেহাতীতভাবে সত্য যে ১৯৭৪ সালে রেজা শাহ পেহলভী অন্য যে কোন শাহ’র তুলনায় এবং, যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক দতার সাথে এ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিচালনা করেছে”। এ ধরনের মন্তব্য সমূহ যে কত বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ছিল, ইরানের বিপ্লবই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। একবাল আরো বলেন,
”ভাসা ভাসা জ্ঞান, পরিবর্তনশীল বিষয় ও পদ্ধতির প্রতি অতিমাত্রায় আকর্ষন, সরকার ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশেষ অনুকুল্য প্রদর্শনে পারদর্শী এবং নিজের গবেষণার বিষয়বস্তুর প্রতি ভালবাসার অভাববোধ, এই হলো উপনিবেশ- উত্তর প্রাচ্য বিশারদদের সমষ্টিগত বৈশিষ্ঠ”। ৬
ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তি ভারতবর্ষে মতালাভের পর পূর্বের মুসলিম রাজশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হিন্দুদের সামনের সারিতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিকাশমান জাতীয়তাবাদকে নিজের সীমার ভেতর আবদ্ধ রাখার জন্য তৈরী করে কংগ্রেস । কংগ্রেসের কিছু অংশ বিপ্লবী হয়ে গেলে ব্রিটিশরা শক্তিসাম্য করার জন্য মুসলিম ধর্মীয় রাজনীতিতে ইন্ধন যোগায়। তাদের ভাগ করে শাসন করার নীতির কারণে উপমহাদেশে সাস্প্রদায়িক রাজনীতির সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যায়। বর্তমানে, উপমহাদেশে সা¤প্রদায়িক সংঘাত নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ভাষায় ,
“ One may safely conclude that before the days of British rule, there was no such thing as the Hindu-Muslim problem in India” ৭
বর্তমানে সারাবিশ্বে যে আল কায়েদা ও তালেবান নিয়ে এতো মাতামাতি হচ্ছে তাও নব্য - উপনিবেশবাদী সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি । আশির দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনীকে তাড়ানোর জন্য যাদেরকে অস্ত্র ও প্রশিণ দিয়ে লালন করা হয়েছিল তারাই পরবর্তীতে আল কায়েদা , তালেবান সহ আরো অনেক নামধারন করে সহ্নিংস কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে।
৪
একদা উপনিবেশ আক্রান্ত বেশিরভাগ দেশ বর্তমানে তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের অন্তভূক্ত । এসব দেশের অধিকাংশই অসংখ্য সমস্যায় নিমজ্জিত। সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের বেশিরভাগ সমস্যার মূল উপনিবেশিক অতীত এবং নব্য উপনিবেশিক বর্তমানের মধ্যে নিহিত।
ডেরেক গ্রেগরী বলেছেন, উপনিবেশবাদ ও এর উত্তরাধিকার , "not as purely intellectual concerns but as matters of everyday practice" ৮
আমাদের চিন্তায় কথায়, আচরনে, অভ্যাসে, সামাজিকতার ,চেতনে- অবচেতনে উপনিবেশিক প্রভাব প্রচ্ছন্ন কিংবা প্রকট ভাবে এখনো বিদ্যমান। উপনিবেশিক শাসকরা এদেশে কতিপয় পুঁজিপতি তৈরী করে তীব্র সামাজিক অসাম্য সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানের নব্য উপনিবেশী শক্তিগুলো ও ‘বিশ্বায়ন’ ’উদারীকরণ’ এর নামে সেই অসাম্যকে আরো বৃদ্ধি করছে। (সচরাচর বিশ্বায়ন এর উৎপত্তি হিসেবে ১৯৬০ এর দশককে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু মূলত ,বিশ্বয়নের উৎপত্তি হয়েছিল ষোল শতকে ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে । ৯ তাই বলা যায় ,উপনিবেশবাদ ও বিশ্বায়ন শুরু হয়েছে একসাথে এবং তারা পরষ্পরের পরিপূরক।) উপনিবেশিক আইনব্যবস্থা এদেশীয় বাস্তবতায় অপরাধ দমনে ব্যর্থ হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনো পশ্চিমের স্কেল দিয়ে মেপে মান বিচার করা হয়। পশ্চিমের শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়^নের প্রচেষ্ঠা নিরন্তর ব্যার্থতার ঘূর্ণিপাকে আবর্তন করছে। আমাদের এই মাটিতে যে হাজার বছর আগেই নালন্দা, পন্ডিত বিহারের মত বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তা আমরা ভুলে গেছি। এ ভারতবর্ষেই যে সমগ্র বিশ্বে প্রথম লোকায়ত দার্শনিকরা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেছিলেন, তাও আমরা স্মরন করতে পারি না। দেহ আমাদের, রোগ আমাদের, তাই ঔষধও আবিষ্কার করতে হবে এই মাটি থেকে।
তথ্যসূত্র:-
১.1. A Blunt and J. Wills, Dissident geographies : An introduction to radical ideas and practice, prentice Hall , Harlow, 2000.
২. ঐ
৩. উদ্ধৃতি , সৈয়দ আবুল কালাম, রাজনীতির রবীন্দ্রনাথ, নতুন দিগন্ত, এপ্্িরল- জুন, ২০০৮
৪. ঐ
৫. উদ্ধৃতি , সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদ, সা¤প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি, নতুন দিগন্ত, জানিয়ারী- মার্চ,২০০৯
৬. একবাল আহমেদ , ইসলাম ও রাজনীতি (অনুবাদ : বদরুল আলম খান), প্রবন্ধটি মোহাম্মদ আজগর খান সম্পাদিত ‘ইসলাম, রাজনীতি ও রাষ্ট্র : পাকিস্তান অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ।
৭. উদ্ধৃতি , সালাউদ্দীন আহ্মদ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, ২০০৪
৮.M. Gilmartin and L.D. Berg, Locating postcolonialism, Royal Geographical Society, 2007.
৯. A. Woestenburg and S.v.d Graaf, postcalonial Geography, 2006.
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




